যীশু বলেন: ‘‘আর যারা ঈমান আনে, এই চিহ্নগুলো তাদের অনুবর্তী হবে; তারা আমার নামে বদ-রূহ ছাড়াবে, তারা নতুন নতুন ভাষায় কথা বলবে, তারা সাপ তুলবে, এবং প্রাণনাশক কিছু পান করলেও তাতে কোন মতে তাদের ক্ষতি হবে না; তারা অসুস্থদের উপরে হাত রাখবে, আর তারা সুস্থ হবে।’’ (মার্ক ১৬/১৭-১৮, মো.-১৩)
যীশু বলেন: ‘‘সত্যি, সত্যি, আমি তোমাদেরকে বলছি, যে আমার উপর ঈমান আনে, আমি যে সব কাজ করছি, সেও তা করবে, এমন কি, এ সব হতেও বড় বড় কাজ করবে....।’’ (ইউহোন্না/ যোহন ১৪/১২, মো.-১৩)
এ কথাগুলোও একইভবে বাস্তবতার আলোকে ভুল বলে প্রমাণিত। বর্তমানে কোটি কোটি খ্রিষ্টান, প্রচারক, পাদরি ও পোপ কেউই না শিখে ইচ্ছামত বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে, বিষধর সাপ বহন করে বা বিষ পান করে এ কথাগুলোর সত্যতা প্রমাণ করতে পারছেন না। আর প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তা ভুল বলে গণ্য।
শুধু ভুত তাড়ানো ও রোগ সারানোর কাজ ধর্মগুরুরা করেন। এ কাজটা জংলি ওঝা থেকে শুরু করে সকল ধর্মের গুরুরাই করেন। এমনকি ধর্মহীন যাদুকর, ওঝা ও ধ্যান-পন্থীরাও করেন। যীশু যেমন অলৌকিক কর্ম করেছেন তার চেয়ে বড় কর্ম তো দূরের কথা তদ্রূপ কর্ম করার মত কাউকেই আমরা পাচ্ছি না।
‘বাইবেলের মারাত্মক খুঁত?’ (Fatal Bible Flaws?) প্রবন্ধে ডোনাল্ড মরগান (Donald Morgan) লেখেছেন: “Many unfortunate believers have died as a result of handling snakes and drinking poison. This kind of assertion negates the Bible as a useful guidebook for life.”
‘‘অনেক হতভাগা ঈমানদার সাপ হাতে নিয়ে এবং বিষ পান করে মৃত্যুবরণ করেছেন। বিশ্বাসী কেউ সাপ ধরলে বা বিষ পান করলে মরবে না- এ জাতীয় দাবি প্রমাণ করে যে, বাইবেল জীবনের জন্য কোনো উপকারী পথ নির্দেশক নয়।’’[1]