ইঞ্জিলের ভাষ্যমতে যোহন বাপ্তাইজক যীশুর ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার অনেক আগেই নিহত হন। গালীলের শাসক হেরোদ এন্টিপাস তাকে হত্যা করেন। (মার্ক ৬/১৭-২৭)। যীশু যখন অলৌকিক কর্মকা- দেখাতে শুরু করলেন তখন হেরোদ নিজে এবং অন্যান্য মানুষ বলাবলি করতে থাকেন যে, যোহন বাপ্তাইজক মৃত্যুর পরে পুনরুজ্জীবিত হয়েছেন: ‘ইনি বাপ্তিস্মদাতা যোহন; মৃত্যু থেকে বেঁচে উঠেছেন। সেই জন্যই উনি এই সব আশ্চর্য কাজ করছেন। (মথি ১৪/২; মার্ক ৬/১৪, ৮/২৮; লূক ৯/৭)।
যীশু ৩১ বা ৩৩ খ্রিষ্টাব্দে ক্রুশবিদ্ধ হন। তাহলে বাইবেলের বর্ণনা অনুসারে যোহন নিহত হয়েছিলেন ২৯ খ্রিষ্টাব্দের দিকে। কিন্তু প্রথম খ্রিষ্টীয় শতকের প্রসিদ্ধ ইহুদি ঐতিহাসিক যোশেফাসের বিস্তারিত আলোচনা থেকে জানা যায় যে, যোহন বাপ্তাইজক ৩৭ খ্রিষ্টাব্দের দিকে নিহত হন। এভাবে আমরা দেখছি যে, ঐতিহাসিক বিচারে যোহনের মৃত্যু বিষয়ক ইঞ্জিলীয় তথ্য ভুল বলে প্রমাণিত।[1]