যিহিস্কেল লেখেছেন, ঈশ্বর মিসরকে বলেন: ‘‘সেজন্য আমি আল্লাহ মালিক বলছি যে, আমি তোমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ নিয়ে এসে তোমার লোকদের ও পশুদের মেরে ফেলব। মিসর হবে একটা জনশূন্য ধ্বংসস্থান । তখন তোমার লোকেরা জানবে যে, আমিই মাবুদ। তুমি বলেছ যে, নীল নদ তোমার আর তুমিই সেটা তৈরী করেছ। সেজন্য আমি তোমার ও তোমার নদীর সমস্ত পানির বিরুদ্ধে। আমি মিগদোল থেকে আসওয়ান, অর্থাৎ ইথিওপিয়ার সীমানা পর্যন্ত মিসর দেশকে জনশূন্য ও ধ্বংসস্থান করে দেব। তার মধ্য দিয়ে কোন মানুষ বা পশু চলাফেরা করবে না; চল্লিশ বছর ধরে সেখানে কেউ বাস করবে না। ধ্বংস হয়ে যাওয়া সমস্ত দেশগুলোর মধ্যে আমি মিসর দেশের অবস্থা আরও বেশী খারাপ করে দেব; ধ্বংস হয়ে যাওয়া শহরগুলোর মধ্যে তার শহরগুলোর অবস্থা চল্লিশ বছর ধরে আরও খারাপ হয়ে থাকবে। আমি নানা জাতি ও দেশের মধ্যে মিসরীয়দের ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দেব। চল্লিশ বছরের শেষে আমি নানা দেশে ছড়িয়ে থাকা মিসরীয়দের জমায়েত করব। আমি তাদের অবস্থা ফিরিয়ে তাদের পূর্বপরুষদের দেশ পথ্রোষে নিয়ে যাব। সেখানে তাদের রাজ্য হবে দুর্বল। পথ্রোষ হবে সবচেয়ে দুর্বল রাজ্য; অন্যান্য জাতিদের উপরে সে কখনও নিজেকে উঁচু করবে না। আমি তাকে এত দুর্বল করব যে, সে আর কখনও অন্যান্য জাতিদের উপরে রাজত্ব করবে না। ... আমি ব্যাবিলনের বাদশাহ্ বখতে-নাসারকে মিসর দেশটা দেব আর সে তার ধন-সম্পদ নিয়ে যাবে। তার সৈন্যদলের বেতনের জন্য সে সেই দেশটা লুটপাট করবে। (যিহিস্কেল ২৯/৮-১৯)
এ ভবিষ্যদ্বাণীটা পুরোপুরিই ব্যর্থ ও মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পল টবিন (Paul Tobin) লেখেছেন:
‘‘ভুল প্রমাণিত ভবিষ্যদ্বাণীগুলোর মধ্যে এটাই শ্রেষ্ঠ পুরস্কারের দাবিদার:
- মিসর কখনোই জনশূন্য ধ্বংসস্থান হয়নি।
- কখনোই তাতে মানুষ ও পশুর চলাফেরা বন্ধ হয়নি।
- চল্লিশ বছর সেখানে কেউ বসবাস না করা তো অনেক দূরের কথা, এক দিনের জন্যও মিসর বসবাসকারী শূণ্য হয়নি।
- মিসর কখনোই চারিপাশে ধ্বংস হয়ে যাওয়া দেশগুলোর মধ্যে থাকেনি।
- চল্লিশ বছর তো দূরের কথা এক দিনের জন্যও মিসরের শহরগুলো অধিবাসী-শূন্য, জনমানব শূন্য বা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়নি।
- কখনোই মিসরবাসীদের ‘নির্বাসনে’ যেতে হয়নি: কেউ কখনো মিসরের অধিবাসীদেরকে নানা জাতি ও দেশের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয়নি।
- যিহিস্কেল মিসরের ধ্বংস নেবুকাদনেজারের সাথে সম্পৃক্ত করেন। তা মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে। তিনি কখনোই মিসর জয় করতে পারেননি।’’[1]
[1] http://www.rejectionofpascalswager.net/prophecies.html