৪. ১. ২০. আহস রাজা বিষয়ক ভবিষ্যদ্বাণী

ইহুদিদের দু’টো রাজ্য এহূদা এবং ইসরাইল। আর পার্শ্ববর্তী আরেকটা রাজ্য সিরিয়া। যোথমের ছেলে আহস (Ahaz) যখন এহূদা রাজ্যের রাজা হলেন তখন সিরিয়া ও ইসরইলের রাজাদ্বয় তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের আয়োজন করেন। এতে এহুদা রাজা আহস ভীত হন। তখন যিশাইয়/ ইশাইয়া ভবিষ্যদ্বাণী করেন, আহস যেন ভয় না পান। তাঁর কোনোই ক্ষতি হবে না। এমনকি যুদ্ধ হবেও না, ঘটবেও না। কিন্তু বাস্তবে যুদ্ধ হয়, ঘটে ও আহস রাজা মহা-পরাজিত হন। যিশাইয় ৭ অধ্যায় এবং ২ বংশাবলি ২৮ অধ্যায়ে পাঠক তা জানতে পারবেন।  এখানে সংক্ষেপ উদ্ধৃতি দেখুন:

‘‘যোথমের ছেলে আহস যখন এহূদা দেশের বাদশাহ হলেন তখন সিরিয়ার বাদশাহ রৎসীন ইসরাইলের বাদশাহ রমলিয়ের ছেলে পেকহকে সংগে নিয়ে জেরুজালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলেন, কিন্তু তাঁরা তা জয় করতে পারলেন না। তখন দাঊদের বংশের লোকদের বলা হল, ‘সিরিয়ার সৈন্যদল বন্ধু হিসেবে আফরাহীমে ছাউনী ফেলে আছে।’ এই কথা শুনে আহস ও তাঁর লোকদের দিল ভয়ে বাতাসে দুলে-ওঠা বনের গাছের মতই দুলে উঠল। তখন মাবুদ ইশাইয়াকে বললেন ... তাকে এই কথা বল, সতর্ক হও, স্থির থাক ও ভয় কোরো না।... কিন্তু আমি আল্লাহ মালিক বলছি যে, এই যুদ্ধ হবেও না, ঘটবেও না।’ (ইশাইয়া ৭/১-৭, মো.-০৬)

কিন্তু ২ বংশাবলি/ খান্দাননামা নিশ্চিত করছে যে, যিশাইয়র মাধ্যমে দেওয়া মাবুদের ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে: ‘‘আহস বিশ বছর বয়সে বাদশাহ হয়েছিলেন এবং জেরুজালেমে ষোল বছর রাজত্ব করেন। ... এইজন্য তাঁর মাবুদ আল্লাহ তাঁকে সিরিয়ার বাদশাহ্র হাতে তুলে দিলেন। সিরীয়রা তাঁকে হারিয়ে দিল এবং তাঁর অনেক লোককে বন্দী করে দামেস্কে নিয়ে গেল। তাঁকেও ইসরাইলের বাদশাহ পেকহের হাতে তুলে দেওয়া হল (কেরি: আবার তিনি ইস্রায়েলের রাজার হস্তেও সমর্পিত হইলেন)। ইসরাইলের বাদশাহ তাঁর অনেক লোককে হত্যা করলেন। রমলিয়ের ছেলে পেকহ একদিনের মধ্যে এহূদার এক লক্ষ বিশ হাজার সৈন্যকে হত্যা করলেন।’’ (২ বংশাবলি/খান্দাননামা ২৮/১-৬)