এ বিষয়েও বাইবেলে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য বিদ্যমান। ১ তীমথিয় ২/৩-৪ মো.-১৩: ‘‘আমাদের নাজাতদাতা আল্লাহর সম্মুখে তা উত্তম ও গ্রহণযোগ্য; তাঁর ইচ্ছা এই, যেন সমস্ত মানুষ নাজাত পায় ও সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পর্যন্ত পৌঁছিতে পারে।’’
এর বিপরীতে ২ থিষলনীকীয় ২/১১-১২: ‘‘আর সেই জন্য ঈশ্বর তাহাদের কাছে ভ্রান্তির কার্যসাধন পাঠান, যাহাতে তাহারা সেই মিথ্যায় বিশ্বাস করিবে; যেন সেই সকলের বিচার হয়, যাহারা সত্যে বিশ্বাস করিত না, কিন্তু অধার্মিকতায় প্রীত হইত।’’
প্রথম বক্তব্য থেকে জানা যায় যে, ঈশ্বর ইচ্ছা করেন যে, সকল মানুষই পরিত্রাণ লাভ করুক এবং সত্যের তত্ত্বজ্ঞানে পৌঁছাক। আর দ্বিতীয় বক্তব্য থেকে জানা যায় যে, ঈশ্বরের ইচ্ছা যে, মানুষ বিভ্রান্ত হোক যেন তিনি অবিশ্বাস ও বিভ্রান্তির কারণে তিনি তাদের শাস্তি দিতে পারেন। আর এজন্য তিনি মানুষদের কাছে ‘ভ্রান্তির কার্যসাধন’ বা ‘ভ্রান্তির শক্তি’ প্রেরণ করেন। উভয় বক্তব্যের মধ্যে বৈপরীত্য সুস্পষ্ট।