নতুন নিয়মের কোথাও বলা হয়েছে যে, যীশুর জন্মের পূর্বে, পরে ও তাঁর জীবদ্দশায় পবিত্র আত্মা বা পাক-রূহ বারবার আগমন করেছেন। এর বিপরীতে অন্যত্র বলা হয়েছে যে, যীশুর তিরোধানের পরেই শুধু পবিত্র আত্মা আগমন করবেন।
লূক (১/১৫) লেখেছেন যে, যীশুর জন্মের পূর্বে, এবং যোহন বাপ্তাইজকের জন্মেরও পূর্বে যোহন বাপ্তাইজক ‘মাতার গর্ভ হইতেই পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ’ (filled with the Holy Ghost/ Holy Spirit, even from his mother’s womb) ছিলেন। এরপর যীশুর জন্মের পূর্বেই, মরিয়ম যখন গর্ভবতী অবস্থায় যোহন বাপ্তাইজকের মাতা এলিজাবেথের বাড়িতে বেড়াতে গেলেন তখন ‘ইলিশাবেথ পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হইলেন।’ (লূক ১/৪১)। যীশুর জন্মের পূর্বেই যোহন বাপ্তাইজকের পিতা সখরিয় ‘পবিত্র আত্মায় পরিপূর্ণ হইলেন।’ (লূক ১/৬৭)। শিমিয়ন (Simeon) নামক ধার্মিক মানুষটি যীশুর জন্মের পূর্ব থেকেই পবিত্র আত্মা প্রাপ্ত ছিলেন (লূক ২/২৫)।
অন্যত্র যীশু বলেন: ‘‘অতএব তোমরা মন্দ হয়েও যদি তোমাদের সন্তানদেরকে উত্তম উত্তম দ্রব্য দান করতে জান, তবে এটা কত বেশি নিশ্চিত যে, বেহেশতী পিতা, যারা তাঁর কাছে যাচ্ঞা করে, তাদেরকে পাক-রূহ (পবিত্র আত্মা Holy Spirit) দান করবেন’’ (লূক ১১/১৩, মো.-১৩)। এ থেকে স্পষ্ট, যে কোনো সময়ে, ভাল অথবা মন্দ, যে কোনো ব্যক্তি প্রার্থনার মাধ্যমে পবিত্র আত্মা বা পাক-রূহ লাভ করতে পারে।
কিন্তু বাইবেল অন্যত্র বলছে, ক্রুশে মৃত্যুর মাধ্যমে যীশুর মহিমাপ্রাপ্তির পূর্বে পবিত্র আত্মা আগমন করেননি: ‘‘যারা তাঁর উপর ঈমান এনে যে রূহকে পাবে, তিনি সেই রূহের বিষয়ে এই কথা বললেন; কারণ তখনও রূহ (পাক-রূহ/ পবিত্র আত্মা) দেওয়া হয়নি, কেননা তখনও ঈসা মহিমান্বিত হননি: for the Holy Ghost was not yet given; because that Jesus was not yet glorified।’’ (ইউহোন্না ৭/৩৯, মো.-১৩)
যীশু বলেন: ‘‘তবুও আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি, আমার যাওয়া তোমাদের পক্ষে ভাল, কারণ আমি না গেলে সেই সহায় তোমাদের কাছে আসবেন না; কিন্তু আমি যদি যাই, তবে তোমাদের কাছে তাঁকে পাঠিয়ে দেব।’’ (ইউহোন্না ১৬/৭, মো.-১৩)
এ বক্তব্যগুলো উপরের বক্তব্যগুলোর সাথে সাংঘর্ষিক। এগুলো নিশ্চিত করছে যে, যীশুর মহিমাপ্রাপ্তি ও তিরোধানের পরেই কেবল পবিত্র আত্মা আগমন করেছেন।