মথি, লূক ও যোহনের বর্ণনা অনুসারে মহিলারা শিষ্যদেরকে সংবাদ প্রদান করেন। মথি লেখেছেন যে, কবরের সামনে স্বর্গদূত বা ফেরেশতার মুখ থেকে যীশুর জীবিত হওয়ার সংবাদ পেয়ে মরিয়মদ্বয় ‘‘অবশ্য ভয় পেয়েছিলেন, কিন্তু তবুও খুব আনন্দের সংগে তাড়াতাড়ি কবরের কাছ থেকে চলে গেলেন এবং ঈসার সাহাবীদের এই সংবাদ দেবার জন্য দৌড়াতে লাগলেন। এমন সময় ঈসা হঠাৎ সেই স্ত্রীলোকদের সামনে এসে বললেন: আস-সালামু আলাইকুম। ... ‘ভয় কোরো না; তোমরা গিয়ে ভাইদের গালীলে যেতে বল। তারা সেখানেই আমাকে দেখতে পাবে।’’ মথি (২৮/৮-১০)
লূক লেখেছেন: ‘‘তাঁরা কবর থেকে ফিরে গিয়ে সেই এগারোজন সাহাবী (শিষ্য) এবং অন্য সকলকে এই সব কথা জানালেন ।’’ (লূক ২৪/৯)
যোহনের বর্ণনা অনুসারে মগ্দলীনী মরিয়ম স্বয়ং যীশুর সাক্ষাৎ লাভ করেন এবং তাঁর নির্দেশ শিষ্যদেরকে জানান ( যোহন ২০/১৮)
এর বিপরীতে মার্কের বর্ণনা অনুসারে মহিলারা ভয়ে কাউকে কিছুই বলেননি। তিনি লেখেছেন যে, স্বর্গদূতের মুখে যীশুর জীবিত হওয়ার সংবাদ পেয়ে ‘‘সেই স্ত্রীলোকেরা কিছু বুঝতে না পেরে কাঁপতে কাঁপতে কবরের গুহা থেকে বের হয়ে আসলেন। এবং সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে গেলেন। তাঁরা এত ভয় পেয়েছিলেন যে, কাউকে কিছু বললেন না।’’ (মার্ক ১৫/৮)