মথি ২৭ অধ্যায়, মার্ক ১৫ অধ্যায় ও যোহন ১৮-১৯ অধ্যায় পাঠ করলে পাঠক নিশ্চিত হবেন যে, পীলাতের দরবারে একটা সেশন বা একটা পর্বেই যীশুর বিচার সম্পন্ন হয়। পীলাত যীশুকে নির্দোষ মনে করছিলেন। কিন্তু ইহুদিদের চাপে তাঁকে হত্যার জন্য মানুষদের হাতে সমর্পণ করেন। সৈন্যরা তাঁকে অপমান ও মারধর করার পর তাঁকে ক্রুশে চড়ায়। পক্ষান্তরে লূক লেখেছেন যে, তিনটা সেশন বা সভার মাধ্যমে যীশুর বিচার সম্পন্ন হয়। প্রথমে পীলাতের দরবারে কিছু সময় বিচার চলে। পীলাত যীশুকে নির্দোষ বলে মনে করছিলেন। কিন্তু ইহুদিরা তাঁকে হত্যার জন্য চাপ দিচ্ছিল। এক পর্যায়ে পীলাত জানতে পারেন যে, যীশু গালীল প্রদেশের মানুষ। এজন্য তিনি যীশুকে বিচারের জন্য গালীলের গভর্নর হেরোদের নিকট প্রেরণ করেন।
হেরোদের দরবারে বিচারের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। ‘‘ঈসাকে দেখে রাজা হেরোদ (Herod Antipas) খুব খুশি হলেন। তিনি ঈসার সম্বন্ধে অনেক কথা শুনেছিলেন, তাই তিনি অনেক দিন ধরে তাঁকে দেখতে চাইছিলেন। হেরোদ আশা করেছিলেন ঈসা তাকে কোনো অলৌকিক কাজ করে দেখাবেন। তিনি ঈসাকে অনেক প্রশ্ন করলেন, কিন্তু ঈসা কোন কথারই জবাব দিলেন না। প্রধান ইমামেরা এবং আলেমেরা সেখানে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে ঈসাকে দোষ দিতে লাগলেন। তখন হেরোদ ঈসাকে অপমান ও ঠাট্টা করলেন, আর তাঁর সৈন্যরাও তা-ই করল। তার পরে ঈসাকে জমকালো একটি পোশাক পরিয়ে তিনি তাঁকে পীলাতের কাছে পাঠিয়ে দিলেন।’’ (লুক ২৩/৮-১১, মো.-০৬)
তৃতীয় পর্বের বিচারে ইহুদিদের চাপে পীলাত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।