যদি কেউ মার্ক ১ম অধ্যায়, মথি ৪র্থ অধ্যায় ও যোহন ১ম অধ্যায় তুলনা করেন তবে যীশুর শিষ্যদের সাক্ষাৎ, ঈমানগ্রহণ ও শিষ্যত্ব গ্রহণের পদ্ধতির বর্ণনায় তিনটা বৈপরীত্য দেখতে পাবেন (মথি ৪/১৮-২২, মার্ক ১/১৬-২০ ও যোহন ১/৩৫-৫০)
প্রথমত: মথি ও মার্ক উভয়েই লেখেছেন যে, যীশু পিতর, আন্দ্রিয়, যাকোব ও যোহন এ চারজনকে গালীল সমুদ্রের তীরে দেখতে পান। তখন তিনি তাদেরকে বিশ্বাসের আহবান জানান। তাঁরা তাঁর আহবানে সাড়া দিয়ে তাঁর অনুগমন করেন। কিন্তু যোহন লেখছেন যে, যাকোব ছাড়া বাকি তিনজনের সাথে যীশুর সাক্ষাত হয় যর্দন নদীর পরপারে (বৈথনিয়াতে)।
দ্বিতীয়ত: মথি ও মার্ক লেখেছেন যে, গালীলের সমুদ্রের তীরে প্রথমে পিতর ও আন্দ্রিয়র সাথে যীশুর সাক্ষাত হয়। এর অল্প পরেই এ সমুদ্রতীরেই তাঁর সাথে যাকোব ও যোহনের সাক্ষাত হয়।
কিন্তু যোহন লেখেছেন যে, যোহন ও আন্দ্রিয় প্রথমে যীশুর সাথে সাক্ষাত করেন। এরপর আন্দ্রিয় তার ভাই পিতরকে যীশুর নিকট ডেকে আনেন। এরপর পরদিন যখন যীশু গালীলে গমনের ইচ্ছা করলেন তখন তিনি ফিলিপের দেখা পেলেন। এরপর ফিলিপের কথায় নথনেল যীশুর নিকট আগমন করেন। যোহনের সুসমাচারে এখানে যাকোবের কোনো উল্লেখই নেই। নথনেলের কথা যোহন ছাড়া কেউ উল্লেখ করেননি।
তৃতীয়ত: মথি ও মার্ক লেখেছেন যে, যীশুর সাথে যখন পিতর, আন্দ্রিয়, যাকোব ও যোহন এ চারজনের প্রথম সাক্ষাত হয় তখন প্রথম দুজন সমুদ্রে জাল ফেলছিলেন এবং শেষ দুজন নৌকায় জাল মেরামত করছিলেন। যোহন জালের কোনোরূপ উল্লেখ করেননি। বরং তিনি লেখেছেন যে, যোহন ও আন্দ্রিয় যোহন বাপ্তাইজকের মুখে যীশুর বিবরণ শুনে যীশুর কাছে আগমন করেন। এরপর আন্দ্রিয়র আহবানে তার ভাই পিতর আগমন করেন।