বাইবেলে বলা হয়েছে যে, যাজক, পুরোহিত, ইমাম বা পাদরিরা অবশ্যই কুমারী মেয়ে বিবাহ করবেন। কোনো বেশ্যা বা তালাকপ্রাপ্তা মহিলাকে কোনো পাদরি বা যাজক বিবাহ করতে পারবেন না। ‘‘বেশ্যা, পতিতা বা স্বামীর তালাক দেওয়া কোন স্ত্রীলোক তাদের বিয়ে করা চলবে না। যিনি তাদের আল্লাহ তাঁর উদ্দেশ্যে তারা পাক-পবিত্র। ... একমাত্র কুমারী মেয়েকে সে বিবাহ করতে পারবে। বিধবা কিংবা স্বামী যাকে ছেড়ে দিয়েছে কিংবা বেশ্যা হয়ে যে নিজেকে নাপাক করেছে এমন কোন স্ত্রীলোককে তার বিয়ে করা চলবে না।’’ (লেবীয় ২১/৭, ১৩-১৪, মো.-১৩)
কিন্তু এর বিপরীতে ঈশ্বর নিজেই তার প্রিয় নবী হোসিয়াকে নির্দেশ দিচ্ছেন বেশ্যা বিয়ে করতে! ‘‘হোসিয়ার মধ্য দিয়ে প্রথমবার কথা বলবার সময়ে মাবুদ তাঁকে বললেন, ‘তুমি একজন জেনাকারিণী স্ত্রীলোককে বিয়ে কর। তার জেনার সন্তানদেরও গ্রহণ করবে, কারণ এই দেশ মাবুদের কাছ থেকে সরে গিয়ে সবচেয়ে জঘন্য জেনার দোষে দোষী হয়েছে।’’ (হোসিয়া ১/২, মো.-১৩)
বিষয়টা জটিল! দেশ বা জাতির অধঃপতনের জন্য স্বয়ং নবী বা ইমামকে বেশ্যা বিবাহ করতে হবে! বিশেষত ঈশ্বর নিজেই নিজের পবিত্র বিধান লঙ্ঘন করলেন!