বংশাবলি প্রথম খণ্ড-র মধ্যেই সাংঘর্ষিক বর্ণনা! ১ বংশাবলির ৭ম অধ্যায়ের ৬ শ্লোকে বলা হয়েছে: ‘‘বিনইয়ামীনের (সন্তান) বেলা, বেখর ও যিদীয়েল-এই তিন জন।’’ পক্ষান্তরে ১ বংশাবলিরই ৮ম অধ্যায়ের ১ শ্লোকে বলা হয়েছে: ‘‘বিনইয়ামীনের জ্যেষ্ঠ পুত্র বেলা, দ্বিতীয় অস্বেল, তৃতীয় অহর্হ, চতুর্থ নোহা ও পঞ্চম রাফা।’’ কিন্তু আদিপুস্তক ৪৬ অধ্যায়ের ২১ শ্লোকে বলা হয়েছে: ‘‘বিনইয়ামীনের পুত্র বেলা, বেখর, অসবেল, গেরা, নামন, এহী, রোশ, মুপপীম, হুপপীম ও অর্দ।’’
তাহলে বিন্যামীনের সন্তান সংখ্যা প্রথম বক্তব্যে তিন জন এবং দ্বিতীয় বক্তব্যে ৫ জন। তাদের নামের বর্ণনাও পরস্পর বিরোধী, শুধু বেলার নামটা উভয় শ্লোকে উল্লেখ করা হয়েছে, বাকিদের নাম সম্পূর্ণ ভিন্ন। আর তৃতীয় শ্লোকে বিন্যামীনের সন্তান সংখ্যা ১০ জন। নামগুলোও আলাদা। তৃতীয় শ্লোকের নামগুলোর সাথে প্রথম শ্লোকের দুজনের নামের এবং দ্বিতীয় শ্লোকের দুজনের নামের মিল আছে। আর তিনটা শ্লোকের মিল আছে একমাত্র ‘বেলা’ নামটা উল্লেখের ক্ষেত্রে।
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্লোকদ্বয় একই পুস্তকের। এভাবে একই লেখকের লেখা একই পুস্তকের দুটো বক্তব্য পরস্পর বিরোধী বলে প্রমাণিত। আবার তৌরাতের আদিপস্তকের বক্তব্যের সাথে ইয্রার দুটো বক্তব্যের বৈপরীত্য প্রমাণিত।