মোশির মৃত্যুর পর তাঁর শিষ্য যিহোশূয় (ইউসা) বনি-ইসরাইলদের নেতৃত্ব দেন। বিভিন্ন যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষকে তিনি গণহত্যা করেন এবং বনি-ইসরাইলদের জন্য কিছু দেশ দখল করেন। এরূপ একটা দেশ হেবরন। এ দেশটার প্রাচীন অধিবাসীদের পরাজিত করে দেশটা কে দখল করল সে বিষয়ে যিহোশূয়ের পুস্তকে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য বিদ্যমান। কোথাও বলা হয়েছে যিহোশূয় বা ইউসা নিজেই তা দখল করেন। আর কোথাও বলা হয়েছে যে, যিফুন্নির ছেলে কালেব তা দখল করেন।
‘‘পরে ইউসা সমস্ত ইসরাইলকে সঙ্গে নিয়ে ইগেস্নান (Eglon) থেকে হেবরনে (Hebron: হিব্রোণ) যাত্রা করলেন। আর তারা তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলো। আর তা অধিকার করে সেই নগর ও সেই স্থানের বাদশাহ ও অধীন সমস্ত নগর ও সমস্ত প্রাণীকে তলোয়ার দ্বারা আঘাত করলো (তরবারির আঘাতে মেরে ফেলল: smote it with the edge of the sword); যেমন তিনি ইগেস্নানের প্রতি করেছিলেন, তেমনি কাউকেও অবশিষ্ট রাখলেন না; হেবরন ও সেই স্থানের সমস্ত প্রাণীকে নিঃশেষে বিনষ্ট করলেন (destroyed it utterly, and all the souls that were therein)। (যিহোশূয়/ ইউসা ১০/৩৬-৩৭, মো.-১৩)
পাঁচ অধ্যায় পরেই (১৫/১৩-১৪) বিপরীত তথ্য! ‘‘আর ইউসার প্রতি মাবুদের হুকুম অনুসারে তিনি এহুদা সন্তানদের মধ্যে যিফুন্নির পুত্র কালেবের (Caleb) অংশ কিরিয়ৎ-অর্ব (অর্বপুর) অর্থাৎ হিব্রোন (Hebron হেবরন) দিলেন, ঐ অর্ব অনাকের পিতা। আর কালুত (কালেব: Caleb) সেখান থেকে অনাকের সন্তানদের, শেশয়, অহীমান ও তলময় নামে অনাকের তিন পুত্রকে অধিকারচ্যুত করলেন।’’ (মো.-১৩)
তাহলে যিহোশূয় হেবরন দখল করে সকল মানুষ ও প্রাণি নিঃশেষে হত্যা করলেন। এরপর আবার কালেবকে হেবরনের অধিকার দিয়ে পাঠালেন। তিনি যেয়ে তথাকার অধিবাসীদের পরাজিত করে অধিকারচ্যুত করলেন!!