যীশু বলেন: ‘‘তেমনি তোমাদের নূর মানুষের সাক্ষাতে উজ্জ্বল হোক, যেন তারা তোমাদের সৎকর্ম দেখে তোমাদের বেহেশতী পিতার গৈারব করে।’’ (মথি ৫/১৬, মো.-১৩) অন্যত্র যীশু বলেন: ‘‘এভাবে তোমার দান যেন গোপনে হয়; তাতে তোমার পিতা, যিনি গোপনে দেখেন, তিনি তোমাকে ফল দেবেন।’’ (মথি ৬/৪, মো.-১৩)
বাইবেলীয় অভ্রান্ততার বিরোধী পাশ্চাত্য খ্রিষ্টান গবেষকরা উপরের বক্তব্যদ্বয়কে পরস্পর বিরোধী হিসেবে উল্লেখ করেন। কারণ প্রথম বাক্য সকল সৎ কর্ম প্রকাশ্যে পালনের নির্দেশ দিচ্ছে, যেন সকলেই তা দেখে পিতার গৌরব করে। পক্ষান্তরে দ্বিতীয় বাক্য সৎ কর্ম গোপনে করার নির্দেশ দিচ্ছে। গোপনে করলে বিশ্ব কিভাবে তা দেখে পিতার গৌরব করবে?
বাহ্যত বাক্য দু’টো পরস্পর-বিরোধী বলে প্রতীয়মান হলেও যেহেতু ‘সকল কর্ম’ কথাটা সুস্পষ্ট বলা হয়নি, সেহেতু আমরা বলতে পারি কিছু কর্ম গোপনে এবং কিছু কর্ম প্রকাশ্যে করার মাধ্যমে দুটো নির্দেশের মধ্যে সমন্বয় সম্ভব। এজন্য আমরা এ জাতীয় বৈপরীত্য পরবর্তী তালিকার মধ্যে উল্লেখ করিনি।