মথি, মার্ক, পিতর, যোহন, যাকোব ও যিহূদা তাদের লেখনিতে দাবি করেননি যে, তাঁরা পবিত্র আত্মার মাধ্যমে এগুলো লেখেছেন। পল কখনো বলেছেন, তিনি পবিত্র আত্মার মাধ্যমে লেখছেন এবং কখনো বলেছেন, তিনি নিজের পক্ষ থেকে লেখছেন। যেমন তিনি লেখেছেন: ‘‘আর বিবাহিত লোকদের এই হুকুম দিচ্ছি- আমি দিচ্ছি তা নয়, কিন্তু প্রভুই দিচ্ছেন... কিন্তু আর সকলকে প্রভু বলছেন না কিন্তু আমি বলেছি ... আর কুমারীদের বিষয়ে আমি প্রভুর কোন হুকুম পায়নি, কিন্তু প্রভুর করুণায় বিশ্বাসযোগ্য লোকের মত আমার অভিমত প্রকাশ করছি। ... কিন্তু আমার মত অনুসারে সে যদি সেই অবস্থায় থাকে তবে আরও সুখী হবে। আর আমার মনে হয়, আমিও আল্লাহর রুহকে পেয়েছি। (১ করিন্থীয় ৭/১০, ১২, ২৫, ৪০, মো.-১৩)
সাধু পল অনেক কথা লেখেছেন যেগুলো নিশ্চিত ভুল ও অসত্য প্রমাণিত হয়েছে। যেমন তিনি লেখেছেন তিনি স্পেন যাবেন এবং যাওয়ার পথে বিভিন্ন মানুষের সাথে সাক্ষাৎ করে যাবেন ( রোমীয় ১৫/২৪, ২৮)। এরূপ আরো অনেক ভবিষ্যদ্বাণী তিনি করেছেন, কিন্তু সেগুলো কার্যকর করার আগেই তিনি জেরুজালেমে বন্দি হন, রোমে নিয়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়। স্বভাবতই তিনি এগুলো নিজের মত হিসেবে লেখেছিলেন, পবিত্র আত্মার প্রেরণায় লেখেননি।
এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, যেক্ষেত্রে প্রেরিতগণ পবিত্র আত্মার পক্ষ থেকে লেখার কথা বলেছেন সেটুকু ছাড়া নতুন নিয়মের সকল কথা তাঁদের ব্যক্তিগত মত মাত্র। এগুলো ধর্মীয় পুস্তক, কিন্তু শাস্ত্র (scripture) বা ‘পাক কিতাব’ নয়।