২. ১৪. ৩. অভ্রান্ততা বিষয়ে পিতরের বক্তব্য

পিতর বলেন: “no prophecy of the scripture is of any private interpretation.  For the prophecy came not in old time by the will of man: but holy men of God spake as they were moved by the Holy Ghost...”

কেরি: ‘‘শাস্ত্রীয় কোনো ভাববাণী বক্তার নিজ ব্যাখ্যার বিষয় নয়; কারণ ভাববাণী কখনও মনুষ্যের ইচ্ছাক্রমে উপনীত হয় নাই, কিন্তু মনুষ্যেরা পবিত্র আত্মা দ্বারা পরিচালিত হইয়া ঈশ্বর হইতে যাহা পাইয়াছেন তাহাই বলিয়াছেন। কিন্তু প্রজাদের মধ্যে ভাক্ত ভাববাদিগণ উৎপন্ন হইয়াছিল; সেই প্রকারে তোমাদের মধ্যেও ভাক্ত গুরুগণ উপস্থিত হইবে।’’ (২ পিতর ১/২০-২১, ২/১)।

বাইবেল ২০০০ ও কি. মো.-২০০৬: ‘‘শাস্ত্রের/ কিতাবের মধ্যকার কোন কথা নবীদের মনগড়া নয়, কারণ নবীরা তাঁদের ইচ্ছামত কোন কথা বলেননি; পবিত্র আত্মার/ পাক রুহের দ্বারা পরিচালিত হয়েই তাঁরা ঈশ্বরের/ আল্লাহর দেওয়া কথা বলেছেন। কিন্তু ইস্রায়েলীয়দের/ বনি-ইসরাইলদের মধ্যে যেমন ভণ্ড নবী ছিল, তেমনি তোমাদের মধ্যেও ভণ্ড শিক্ষক থাকবে।’’

কি. মো.২০১৩: ‘‘পাক-কিতাবের কোন ভবিষ্যদ্বাণী বক্তার নিজের ব্যাখ্যার বিষয় নয়; কারণ ভবিষ্যদ্বাণী কখনো মানুষের ইচ্ছাক্রমে উপনীত হয় নি, কিন্তু মানুষেরা পাক-রূহ দ্বার চালিত হয়ে আল্লাহ থেকে যা পেয়েছেন, তাই বলেছেন। কিন্তু লোকদের মধ্যে যেমন ভণ্ড নবীরা উঠেছিল; সেই ভাবে তোমাদের মধ্যেও ভণ্ড শিক্ষকরা উপস্থিত হবে।’’

পাঠক, আশা করি আপনি লক্ষ্য করেছেন যে, কেরি ও কিতাবুল মোকাদ্দস-২০১৩ মূলানুগ। এখানে বলা হয়েছে যে, ধর্মগ্রন্থের মধ্যে যে ভবিষ্যদ্বাণী বা ভাববাণী থাকে তা ঈশ্বরের পক্ষ থেকে। এ থেকে মোটেও প্রমাণ হয়না যে, ধর্মগ্রন্থের মধ্যে বিদ্যমান সকল কথাই ঈশ্বরের পক্ষ থেকে। পক্ষান্তরে বাইবেল-২০০০ এবং কিতাবুল মোকাদ্দস-২০০৬ সংস্করণের অনুবাদ অবিশ্বস্ত। এরপরও এ অনুবাদকে ভিত্তি করে খ্রিষ্টান প্রচারকরা দাবি করেন যে, ধর্মগ্রন্থের মধ্যে বিদ্যমান সকল কথাই পবিত্র আত্মার মাধ্যমে ঈশ্বরের নিকট থেকে পাওয়া এবং বাইবেলের সকল কথাই অভ্রান্ত।