প্রচলিত ‘তৌরাত’ বা তৌরাতের একটা স্থান থেকেও বুঝা যায় না যে মোশি (মূসা আ.) নিজে এ গ্রন্থের কথাগুলো লেখেছেন। বরং তৌরাতের ভাষা ও ভাব স্পষ্টরূপে প্রমাণ করে যে, অন্য কোনো ব্যক্তি এ গ্রন্থগুলো প্রণয়ন করেছেন। এ ‘অন্য ব্যক্তি’ ইহুদিদের মধ্যে প্রচলিত বিভিন্ন গল্প-কাহিনী ও বর্ণনা সংকলন করেছেন। সংকলক যে কথাটাকে ‘ঈশ্বরের কথা’ বলে মনে করেছেন সে কথার বিষয়ে বলেছেন ‘ঈশ্বর/ সদাপ্রভু বলেন’। আর যে কথাকে মোশির কথা বলে মনে করেছেন সে কথার বিষয়ে বলেছেন: ‘মোশি বলেন’। সকল ক্ষেত্রে ‘মোশির’ জন্য ‘নাম পুরুষ’ বা ‘তৃতীয় পুরুষ’ ব্যবহার করেছেন। যদি এ সকল গ্রন্থ মোশির নিজের প্রণীত হত তবে তিনি তাঁর নিজের ক্ষেত্রে ‘উত্তম পুরুষ’ ব্যবহার করতেন। কিছু না হলেও অন্তত দু’-একটা স্থানে নিজের জন্য ‘উত্তম পুরুষ’ ব্যবহার করতেন। কারণ নিজের বিষয়ে বলতে অতি স্বাভাবিকভাবেই মানুষ উত্তম পুরুষ ব্যবহার করে। এছাড়া ধর্মানুসারীদের জন্য ‘উত্তম পরুষ’ ব্যবহার অতিরিক্ত মনোযোগ আকর্ষণ করে। একটা বিশাল গ্রন্থের লেখকের জন্য উত্তম পুরুষ ব্যবহার না করে সর্বদা নাম পুরুষ ব্যবহার অস্বাভাবিক।
এভাবে তৌরাত বা তোরাহ-এর গ্রন্থগুলো থেকে প্রতীয়মান যে, এগুলো মোশি কর্তৃক সংকলিত বা প্রদত্ত নয়; বরং পরবর্তী যুগের কেউ এগুলো সংকলন করেছেন।