দ্বিতীয় বিবরণ বলছে: ‘‘তোমাদের মাবুদ আল্লাহ্র উদ্দেশে তোমরা সেখানে একটা কোরবান-গাহ্ তৈরী করবে। পাথরগুলোর উপরর তোমরা কোন লোহার যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবে না। ... যে পাথরগুলো তোমরা খাড়া করে নেবে তার উপর এই শরীয়তের (this law এই তৌরাতের/ ব্যবস্থার) সব কথাগুলো (all the words of this law) খুব স্পষ্ট করে লেখবে।’’ ( দ্বিতীয় বিবরণ ২৭/৫, ৮, মো.-১৩)
যিহোশূয় বা ইউসার পুস্তকে পুস্তকে বলা হয়েছে যে, মোশি যেভাবে আদেশ করেছিলেন সেভাবে যিহোশূয় বা ইউসা যজ্ঞবেদি বা কোরবানগাহ তৈরি করে তার উপর তৌরাত লেখে রাখেন: ‘‘ইউসা এবল পাহাড়ের উপরে বনি-ইসরাইলদের মাবুদ আল্লাহ্র উদ্দেশে একটা কোরবানগাহ্ তৈরী করলেন। মূসার তৌরাত কিতাবে (the book of the law of Moses) যেমন লেখা আছে সেই অনুসারেই তিনি তা তৈরী করলেন। কোরবানগাহ্টা তৈরী করতে কোন পাথর কেটে নেওয়া হয়নি এবং তার উপর কোন লোহার যন্ত্রপাতিও ব্যবহার করা হয়নি। ... এবল পাহাড়ের উপরে বনি-ইসরাইলদের সামনে ইউসা পাথরের উপরে মূসার শরীয়ত লেখলেন (wrote there upon the stones a copy of the law of Moses: মূসার তৌরাতের একটা অনুলিপি লেখলেন)। (ইউসা/ যিহোশূয় ৮/৩০-৩২, মো.-১৩)
উপরের বিবরণ থেকে জানা গেল যে, মূসা (আ.)-এর তৌরাত কিতাবের (the law of Moses) আকৃতি এমন ছিল যে, একটা পাথরে তা পুরোপুরি লেখে রাখা যেত। তৌরাত বলতে যদি বর্তমানে প্রচলিত বিশালাকৃতির ৫টা গ্রন্থ বুঝানো হত তাহলে কোনো অবস্থাতেই তা সম্ভব হত না। মূল তৌরাতের সাথে অগণিত মানবীয় সংযোজনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে বর্তমানের বিশালাকৃতির এ ‘পঞ্চপুস্তক’।