জাগতিক কোনো ডকুমেন্টের মধ্যে নিজস্ব নাম (proper noun)-এর আক্ষরিক বা আভিধানিক অনুবাদ বিকৃতি/পরিবর্তন বা অগ্রহণযোগ্য বলে গণ্য। তবে খ্রিষ্টান ধর্মগুরুরা ধর্মগ্রন্থের অনুবাদের ক্ষেত্রে নিজস্ব নাম (proper noun)-এর অনুবাদ করেন। বাইবেলের নামের ক্ষেত্রে যেরূপ, বাইবেলের মধ্যে বিদ্যমান গ্রন্থগুলোর নামের ক্ষেত্রেও আমরা তদ্রূপই দেখতে পাই। একইভাবে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে ধর্ম প্রচারের জন্য তারা একই ভাষায় বিভিন্নভাবে নামকরণ করেন। এজন্য অনেক সময় তথ্যসূত্র বা রেফারেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে খুবই অসুবিধা হয়। যেমন বাইবেলের মধ্যে বিদ্যমান প্রথম পুস্তকটার ইংরেজি নাম ‘The Book of Genesis’, অর্থাৎ সূচনাপুস্তক বা সৃষ্টিপুস্তক। বাংলা বাইবেলের বিভিন্ন সংস্করণে এ বইটার বাংলা নাম ‘আদিপুস্তক’। কিন্তু কিতাবুল মোকাদ্দস নামক বাইবেলে এ বইটার নাম ‘পয়দায়েশ’। এখন তথ্যসূত্রে ‘আদিপুস্তক’ লেখা হলে সাধারণ পাঠক পুরো ‘কিতাবুল মোকাদ্দস’ ঘেটেও এ বইটা খুঁজে পাবেন না। আবার ‘পয়দায়েশ’ লেখা হলে প্রচলিত বাংলা বাইবেলের কোথাও তা খুঁজে পাবেন না। ফলে তিনি বিব্রত হবেন অথবা তথ্যসূত্র প্রদানকারীর প্রতি সন্দিহান বা বিরক্ত হবেন। বাইবেলের প্রায় সকল পুস্তকের ক্ষেত্রেই নামের এরূপ হেরফের বিদ্যমান। এজন্য বাইবেল বিষয়ক বিস্তারিত আলোচনা ও উদ্ধৃতি প্রদানের পূর্বে আমরা বাংলা বাইবেলের বিভিন্ন সংস্করণে ব্যবহৃত বাংলা নামগুলো এখানে উল্লেখ করছি। স্বভাবতই আমরা এখানে শুধু ক্যাথলিক ও প্রটেস্ট্যান্ট বাইবেলের মধ্যে বিদ্যমান পুস্তকগুলোর বাংলা নাম উল্লেখ করছি। কারণ অন্য কোনো বাইবেল বাংলায় অনুবাদ করা হয়নি।