সাধারণভাবে সকল বিভ্রান্ত ফিরকার মধ্যে নিম্নের বৈশিষ্ট্যগুলি কমবেশি বিদ্যমান:
(১) আকীদা বা বিশ্বাস প্রমাণের জন্য ওহীর অতিরিক্ত বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করা। যেমন দর্শন, যুক্তি, কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত মতামত, তাফসীর, ব্যাখ্যা ইত্যাদি।
(২) ওহীর ব্যাখ্যা বা ওহীর অর্থ নির্ণয়ে নিজেদের মতামতকেই ওহী বলে মনে করা এবং তাকে আকীদার ভিত্তি বানানো।
(৩) আকীদা বা বিশ্বাস প্রমাণের ক্ষেত্রে সুন্নাতকে গুরুত্ব না দেওয়া।
(৪) আকীদা প্রমাণের ক্ষেত্রে সাহাবীগণের মতামত ও শিক্ষার গুরুত্ব না দেওয়া।
(৫) কুরআন, হাদীস বা সাহাবীগণের বক্তব্যের মধ্যে যে সকল বিষয় পাওয়া যায় না সেগুলিকেও আকীদার বিষয়বস্ত্ত বানানো। সাহাবীগণ যে কথা বলেন নি, বা যে আকীদা পোষণ করেন নি বা যে বিষয়ে কোনো কথাই বলেন নি সে সকল বিষয়কে আকীদার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা।
(৬) মানবীয় বুদ্ধি, যুক্তি বা পছন্দের ভিত্তিতে ওহীর মধ্যে যাচাই বাছাই করার চেষ্টা করা। ওহীর যে বিষয়গুলি নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গিতে সঠিক বলে মনে হয় সেগুলির উপর ভিত্তি করে ওহীর অন্যান্য শিক্ষা ব্যাখ্যা করে বাতিল করা।
(৭) নিজেদের মত সমর্থন করতে ওহীর নামে মিথ্যা কথা বানানো।
(৮) উগ্রতা, নিজের মতকেই চূড়ান্ত সত্য মনে করা ও অন্য মতের প্রতি অশ্রদ্ধা।
(৯) মতবিরোধিতার কারণে অন্যদেরকে ‘কাফির’ বলা। সকল বিভ্রান্তফিরকার মধ্যেই মতবিরোধীয় বিষয়াদির কারণে মুসলিমকে কাফির বলার ক্ষেত্রে অতি আগ্রহ ও ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যায়। সকলেই চেষ্টা করেন কিভাবে ব্যাখ্যা ও যুক্তির মাধ্যমে বিরোধীদেরকে কাফির বলে প্রমাণ করা যায়।