এখানে উল্লেখ্য যে, প্রত্যেক বিদ‘আতী ফিরকা নিজেদেরকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (ﷺ) প্রকৃত অনুসারী এবং কুরআন-সুন্নাহর সঠিক অনুধাবনকারী বলে দাবি করেছে। প্রত্যেকেই নিজেদেরকে একমাত্র নাজাত-প্রাপ্ত ফিরকা বলে দাবি করেছে। প্রত্যেকেই কুরআন ও হাদীস থেকে তাদের মতের পক্ষে অনেক ‘অকাট্য (!) দলীল প্রদান করেছে। এ সকল দাবির যথার্থতা বুঝতে হলে সুন্নাতের সঠিক পরিচয় বুঝতে হবে। আমরা দেখব যে, কথায় ও কর্মে কুরআন ও সুন্নাহর বা ওহীর হুবহু অনুসরণই সুন্নাত। এখানে একটি উদাহরণ পেশ করছি সুন্নাত ও বিদ‘আতের পার্থক্য অনুধাবনের জন্য।
সাহাবীগণ সম্পর্কে শীয়া আকীদা ও নাসিবী আকীদা
শীয়গণের একটি বিদ‘আতী মত এই যে, হাতে গোনা অল্প কয়েকজন সাহাবী ছাড়া আবূ বাকর (রাঃ), উমার (রাঃ), উসমান (র) ও অন্যান্য সকল সাহাবী () ধর্মত্যাগ করেছিলেন বা মুরতাদ হয়ে গিয়েছিলেন (নাউযূ বিল্লাহ!)। এর বিপরীতে ‘নাসিবাহ’ (الناصبة) সম্প্রদায়ের বিদ‘আতী আকীদা এই যে, আলী (রাঃ) সত্য-বিচ্যুত ছিলেন, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে তাঁর আত্মীয়তার সম্পর্ককে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করতে চেষ্টা করেন এবং তিনি ক্ষমতার লোভে হাজার হাজার মানুষের রক্তপাতের ব্যবস্থা করেন। তার সময়ের সকল গৃহযদ্ধের জন্য তিনি দায়ী। (নাউযূ বিল্লাহ!)
এরা কয়েকটি হাদীসকে তাদের মতের পক্ষে অকাট্য (!) দলীল হিসেবে পেশ করেন। ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:
َأَوَّلُ مَنْ يُكْسَى يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِبْرَاهِيمُ وَإِنَّ أُنَاسًا مِنْ أَصْحَابِي يُؤْخَذُ بِهِمْ ذَاتَ الشِّمَالِ فَأَقُولُ أَصْحَابِي أَصْحَابِي فَيَقُولُ إِنَّهُمْ لَمْ يَزَالُوا مُرْتَدِّينَ عَلَى أَعْقَابِهِمْ مُنْذُ فَارَقْتَهُمْ فَأَقُولُ كَمَا قَالَ الْعَبْدُ الصَّالِحُ وَكُنْتُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا مَا دُمْتُ فِيهِمْ فَلَمَّا تَوَفَّيْتَنِي إِلَى قَوْلِهِ الْعَزِيزُ الْحَكِيم
‘‘কিয়ামতের দিন প্রথম কাপড় পরানো হবে ইবরাহীম (আঃ)-কে। আমার সাহাবীদের কিছু মানুষকে ধরে বামে নিয়ে যাওয়া হবে। তখন আমি বলব, আমার সাহাবীগণ! আমার সাহাবীগণ! তখন তিনি বলবেন: আপনি এদেরকে ছেড়ে চলে আসার পর থেকে তারা অবিরত পিছিয়ে যেতেই (ধর্মত্যাগ করতেই) থেকেছে। তখন আমি আল্লাহর নেক বান্দা (ইসা আ.) যে কথা কলেছেন সে কথাই বরব, আমি বলব[1]: ‘আমি যতদিন তাদের মধ্যে ছিলাম ততদিন আমি তাদের সাক্ষী ছিলাম। যখন আপনি আমাকে ফেরত নিলেন তখন থেকে আপনিই তাদের পর্যবেক্ষক, আর আপনি তো সর্ব-বিষয়ে সাক্ষী।’’[2]
অন্য হাদীসে আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ বলেন:
أَنَا فَرَطُكُمْ عَلَى الْحَوْضِ وَلأُنَازِعَنَّ أَقْوَامًا ثُمَّ لأُغْلَبَنَّ عَلَيْهِمْ فَأَقُولُ يَا رَبِّ أَصْحَابِي أَصْحَابِي فَيُقَالُ إِنَّكَ لا تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ
‘‘আমি হাউযের নিকট তোমাদের অগ্রবর্তী থাকব। কিছু মানুষের বিষয়ে আমি বিতর্ক করে শেষ পর্যন্ত পরাভূত হব। তখন আমি বলব, হে আমার প্রতিপালক, আমার সাহাবীগণ, আমার সাহাবীগণ! তখন বলা হবে: ‘আপনার পরে এরা কি নব-উদ্ভাবন বা পরিবর্তন করেছে তা আপনি জানেন না।’’[3]
অন্য হাদীসে আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
لَيَرِدَنَّ عَلَيَّ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِي الْحَوْضَ حَتَّى عَرَفْتُهُمْ اخْتُلِجُوا دُونِي فَأَقُولُ أَصْحَابِي فَيَقُولُ لا تَدْرِي مَا أَحْدَثُوا بَعْدَكَ
‘‘আমার সাহাবীগণের মধ্য থেকে কিছু মানুষ হাউযে আমার নিকট আগমন করবে। আমি যখন তাদের চিনতে পারব তখন তাদেরকে আমার থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হবে। আমি তখন বলব: আমার সাহাবীগণ! তখন তিনি বলবেন: ‘‘আপনার পরে এরা কি নব-উদ্ভাবন বা পরিবর্তন করেছে তা আপনি জানেন না।’’[4]
উভয় সম্প্রদায় দাবি করে যে, এ সকল হাদীস তাদের মতের অকাট্য (!) দলিল। নাসিবীদের মতে এ সকল হাদীস আলী (রাঃ) ও তাঁর অনুসারীদের বিষয়ে বলা হয়েছে। আর শীয়াগণ দাবি করেন যে, এগুলি আলী (রাঃ) ও তাঁর একান্ত সঙ্গী কতিপয় সাহাবী বাদে সকল সাহাবীর বিষয়ে বলা হয়েছে। তাদের মতে এ সকল হাদীস প্রমাণ করে, যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পরে আলী (রাঃ)-কে ক্ষমতা প্রদান না করে সকল সাহাবী মুরতাদ হয়ে যান (নাঊযু বিল্লাহ!)
তৃতীয় অধ্যায়ে আমরা সাহাবীগণের বিষয়ে কুরআন ও হাদীসের নির্দেশনা আলোচনা করেছি। আমরা দেখেছি যে,
(১) কুরআনে অনেক স্থানে সাহাবীগণের প্রশংসা ও তাঁদের ধার্মিকতার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কয়েক স্থানে স্পষ্টত তাদের জান্নাতের সুসংবাদ প্রদান করা হয়েছে।
(২) বিশেষ করে প্রথম অগ্রবর্তী মুহাজির ও আনসারগণের জন্য মহান আল্লাহ জান্নাত প্রস্ত্তত রেখেছেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। নিষ্ঠার সাথে তাঁদের অনুসরণ করাই অন্যদের জন্য জান্নাতের পথ বলে জানানো হয়েছে।
(৩) বাইয়াতুর রিদওয়ান ও তাবূক যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের জান্নাতের বিষয়ে সুস্পষ্ট সুসংবাদ প্রদান করা হয়েছে।
(৪) অগণিত হাদীসে সাহাবীগণের মর্যাদা বর্ণনা করা হয়েছে এবং জান্নাতের সুসংবাদ প্রদান করা হয়েছে।
(৫) কুরআনে স্পষ্টত উল্লেখ করা হয়েছে যে, মদীনার সমাজে কিছু মুনাফিক বাস করত, তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাহাবীগণের মধ্যেই মিশে থাকত এবং বাহ্যত তাঁদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরা সংখ্যায় অল্প ছিল। এদের অধিকাংশই তাবুক যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে নি। এদের বিষয়ে কুরআনে বলা হয়েছে:
وَمِمَّنْ حَوْلَكُمْ مِنَ الأَعْرَابِ مُنَافِقُونَ وَمِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ مَرَدُوا عَلَى النِّفَاقِ لا تَعْلَمُهُمْ نَحْنُ نَعْلَمُهُمْ سَنُعَذِّبُهُمْ مَرَّتَيْنِ ثُمَّ يُرَدُّونَ إِلَى عَذَابٍ عَظِيمٍ
‘‘মরুবাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের আশে-পাশে আছে তাদের মধ্যে কেউ কেউ মুনাফিক এবং মদীনবাসীদের মধ্যেও কেউ কেউ, তারা কপটতায় সিদ্ধ। তুমি তাদেরকে জান না, আমি তাদেরকে জানি। আমি তাদেরকে দুবার শাস্তি দিব ও পরে তারা প্রত্যাবর্তিত হবে মহা-শাস্তির দিকে।’’[5]
(৬) এ কথা ঐতিহাসিক সত্য যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ওফাতের পরে তাঁর কাছে ইসলামগ্রহণকারী কিছু মানুষ ও আরবের অন্যান্য অনেক মানুষ ইসলাম পরিত্যাগ করে। কেউ ভন্ডনবীদের অনুসারী হয়ে যায় এবং কেউ যাকাত অস্বীকার করে।
এ সকল দ্ব্যর্থহীন আয়াত ও হাদীসের বিপরীতে দ্ব্যর্থবোধক কয়েকটি হাদীসকে তারা তাদের মতের দলিল হিসেবে গ্রহণ করেছে। এ সকল হাদীসে কোনো সাহাবীর নাম উল্লেখ করা হয় নি, অধিকাংশ সাহাবীর কথাও বলা হয় নি, বরং বলা হয়েছে যে, সাহাবী বলে পরিচিত কতিপয় মানুষ। শীয়াগণ ও নাসিবীগণ এ সকল হাদীসের শাব্দিক বক্তব্যকে গ্রহণ করে তার মধ্যে নিজেদের আকীদা সীমাবদ্ধ রাখে নি। এ হাদীসকে তাদের মতের ‘বাহন’ হিসেবে ব্যবহার করেছে। তারা নিজেদের মর্জি, পছন্দ ও অভিরুচি মত একটি মত বা আকীদা উদ্ভাবন করেছে যা তারা যেভাবে বলে সেভাবে কখনোই কুরআন কারীমে বা হাদীসে পাওয়া যায় না। এখানেই বিদ‘আত ও সুন্নাতের পার্থক্য।
কুরআন-সুন্নাহ নির্দেশিত আকীদা: সকল সাহাবীর মর্যাদা, মক্কা বিজয়ের পূর্বে ইসলাম গ্রহণকারীদের বিশেষ মর্যাদা, তাবূকযুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের বিশেষ মর্যাদা, বাইয়াতে রিদওয়ানে অংশগ্রহণকারীদের বিশেষ মর্যাদা এবং সর্বোপরি প্রথম অগ্রবর্তী মুহাজির ও আনসারদের সর্বোচ্চ মর্যাদা। তাঁদের মধ্যে জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত দশ সাহাবীর বিশেষ মর্যাদা। পাশাপাশি এ বিশ্বাস যে, সাহাবী নামধারী বা সাহাবী বলে পরিচিত কিছু মানুষ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আদর্শ বা পথ থেকে বিচ্যুত হওয়ার কারণে সাহাবীর মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হন। তাঁরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সমকালীন মদীনার বা আশেপাশে অবস্থানরত মুনাফিকগণ, যাদের কথা আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, অথবা তাঁর ওফাতের পরে ভন্ড নবীদের কারণে বা যাকাত অস্বীকার করার কারণে যারা ইসলাম থেকে বিচ্যুত হন।
বিদ‘আতী আকীদা: প্রায় সকল সাহাবীই সুপথ থেকে বিচ্যুত হন (নাউযূ বিল্লাহ!) কেবলমাত্র কয়েকজন সুপথে ছিলেন। তাঁদের মর্যাদার মাপকাঠি আলী (রাঃ) ইমামতের পক্ষে কথা বলা।
দ্বিতীয় বিদ‘আতী আকীদা: আলী (রাঃ) ও তাঁর সাথী সাহাবীগণ সুপথ থেকে বিচ্যুত ছিলেন।
উভয় সম্প্রদায়ই এ বিষয়ে উপরের হাদীসগুলির মত আরো অনেক সাধারণ অর্থবোধক আয়াত বা হাদীস প্রমাণ হিসেবে পেশ করেন এবং এর বিপরীতে সাহাবীগণের মর্যাদা বিষয়ক সকল আয়াত ও হাদীসকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বাতিল করে দেন।
এখানে আমরা সুন্নাতপন্থী ও বিদ‘আতপন্থীদের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারছি। সুন্নাতপন্থীগণ কুরআন কারীম ও হাদীস শরীফে বর্ণিত সকল বিষয় সমানভাবে গ্রহণ ও বিশ্বাস করেন। কোনোরূপ বৈপরীত্য সন্ধান করেন না। বাহ্যিক কোনো বৈপরীত্য দেখা গেলে তা কুরআন ও হাদীসের আলোকেই সমাধান করেন।
এখানে কুরআনের অনেক আয়াতে সাহাবীগণের মর্যাদা প্রমাণিত। এর বিপরীতে কুরআনের একটি আয়াতেও সাহাবীগণের বিচ্যুতির বিষয়ে কিছু বলা হয় নি। অগণিত হাদীসে সাধারণভাবে এবং নাম উল্লেখ করে সাহাবীগণের মর্যাদা উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলির বিপরীতে কোনো একটি হাদীসেও সাহাবীগণের অমর্যাদা বা বিচ্যুতির কথা বলা হয় নি। এখানে কয়েকটি হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কিয়ামতের দিন সাহাবী হিসেবে পরিচিত কতিপয় ব্যক্তিকে হাউয থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে এবং তাদের বিষয়ে বলা হবে যে, এরা আপনার পরে পশ্চাদপসরণ করেছিল বা নব-উদ্ভাবন করেছিল।
মূলত এগুলির মধ্যে কোনো বৈপরীত্য নেই। আর কোনো বৈপরীত্য থাকলে তাও সুন্নাতের আলোকে সমাধান করতে হবে। কুরআনের নির্দেশনা, মুতাওয়াতির হাদীসের নির্দেশনা অগ্রবর্তী থাকবে। এছাড়া অস্পষ্ট বা দ্ব্যর্থবোধক আয়াত বা হাদীসের কারণে সুস্পষ্ট, দ্ব্যর্থহীন, সুনির্দিষ্ট নাম বা বৈশিষ্ট্যসহ মর্যাদা প্রকাশক হাদীসগুলি ব্যাখ্যা করা যাবে না। বরং প্রয়োজনে অস্পষ্ট বা দ্ব্যর্থবোধক আয়াত বা হাদীসকে সুস্পষ্ট আয়াত বা হাদীসের বিপরীতে ব্যাখ্যা করতে হবে। কোনো তাফসীর, ব্যাখ্যা বা ব্যক্তিগত মতামতকে ওহীর বিপরীতে দাঁড় করানো যায় না বা এরূপ কিছুর ভিত্তিতে ওহীর সুস্পষ্ট নির্দেশ ব্যাখ্যা করা যায় না। কেউ এর বিপরীত করলে বুঝতে হবে যে, সে নিজের মতকে ওহীর অনুসারী ও অনুগামী করতে রাযি নয়, বরং সে ওহীকে তার মতের অনুগামী ও অনুসারী বানতে ইচ্ছুক। পরবর্তী বিভিন্ন আলোচনায় আমরা দেখব যে, সকল বিদ‘আতী আকীদা ও সুন্নী আকীদা একইরূপ।
উপরের আলোচনা থেকে আমরা সুন্নাত ও বিদ‘আতের পার্থক্য বুঝতে পারি। সুন্নাত হলো ওহীর বা কুরআন-হাদীসের হুবহু অনুসরণ। রাসূলুললাহ (ﷺ) যা যতটুক যেভাবে বলেছেন তা ততটুকু সেভাবেই বলা এবং যা বলেননি তা বলা না বলা। কুরআন ও হাদীসের বক্তব্যের মধ্যে ঈমান-আকীদা সীমাবদ্ধ রাখা। কুরআন বা হাদীসের সাথে নিজেদের ব্যাখ্যা, মতামত বা যুক্তি যোগ করে তা আকীদার অংশ না বানান। কুরআন ও হাদীসের সকল কথা সমানভাবে বিশ্বাস করা। কোনো কথা গ্রহণ ও বাকি কথা বাতিল না করা। ব্যাখ্যা করে কোনো ওহী বাতিল না করা, বরং ব্যাখ্যা করে সকল ওহী গ্রহণ করা।
পক্ষান্তরে বিদ‘আত অর্থ ওহীর সাথে কোনো কিছু সংযোজন, বিয়োজন বা ব্যতিক্রম করে তা বিশ্বাস বা আকীদার অংশে পরিণত করা। যে বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কিছু বলেন নি তা বলা, অথবা ব্যাখ্যা বা সমন্বয়ের নামে ওহীর অতিরিক্ত কিছু আকীদার মধ্যে সংযোজন করা অথবা ওহীর কিছু অংশ ব্যাখ্যার নামে বাদ দেওয়া। বিদ‘আতপন্থীগণ সুন্নাতের অনুসরণ দাবি করেন। কিন্তু তাদের আকীদা বা বিশ্বাসগুলি হুবহু সুন্নাতের মধ্যে নেই। বরং তাদের আকীদা বা বিশ্বাস সুন্নাতের ব্যাখ্যার নামে সুন্নাতের সাথে কিছু সংযোজন বা বিয়োজন।
[2] বুখারী, আস-সহীহ ৩/১২২৩; মুসলিম, আস-সহীহ ৪/১৭৯৩-১৮০০।
[3] বুখারী, আস-সহীহ ৪/১৬৯১, ১৭৬৬, ৫/২৩৯১, ২৪০৪, ২৪০৬, ৬/২৫৮৭; মুসলিম, আস-সহীহ ১/২১৭, ৪/১৭৯৩-১৮০০, ২১৯৪।
[4] বুখারী, আস-সহীহ ৫/২৪০৬, ৬/২৫৮৭; মুসলিম, আস-সহীহ ৪/১৭৯৩-১৮০০।
[5] সূরা (৯) তাওবা, ১০১ আয়াত।