আমরা দেখেছি যে, কাফিরগণ সবকিছু স্বীকার করার পরেও দাবি করত যে, মহান আল্লাহ এদেরকে কিছু ক্ষমতা দিয়েছেন। এদের ইবাদতে খুশি হয়ে তিনি এদেরকে কিছু ক্ষমতা-অধিকার দিয়েছেন, যেমন রাজা-মহারাজা তার প্রিয় খাদেম বা দাসকে অনেক সময় খুশি হয়ে আঞ্চলিক শাসক বানিয়ে দেন বা কিছু ক্ষমতা দিয়ে দেন। কুরআন কারীমের বিভিন্নভাবে কাফিরদের এ দাবির অসারতা প্রমাণ করা হয়েছে।
কোথাও তাদের কাছে দলিল চাওয়া হয়েছে, তোমরা ওহীর আয়াত থেকে প্রমাণ দেখাও, কবে, কোথায় কোন্ ফিরিশতা, নবী, ওলী বা ব্যক্তিকে আল্লাহ কোনো ক্ষমতা দিয়েছেন? এ বিষয়ক কিছু আয়াত আমরা ইতোপূর্বে আলোচনা করেছি। এ অর্থের এক আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন:
قُلْ أَرَأَيْتُمْ مَا تَدْعُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَرُونِي مَاذَا خَلَقُوا مِنَ الأَرْضِ أَمْ لَهُمْ شِرْكٌ فِي السَّمَاوَاتِ ائْتُونِي بِكِتَابٍ مِنْ قَبْلِ هَذَا أَوْ أَثَارَةٍ مِنْ عِلْمٍ إِنْ كُنْتُمْ صَادِقِينَ
বল, ‘তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডাক তাদের কথা ভেবে দেখেছ কি? তারা পৃথিবীতে কী সৃষ্টি করেছে আমাকে দেখাও, অথবা আকাশমন্ডলীতে তাদের কোনো অংশীদারিত্ব আছে কি? পূর্ববর্তী কোনো কিতাব অথবা পরম্পরগত কোনো জ্ঞান থাকলে তা তোমরা আমার নিকট উপস্থিত কর, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।’’[1]
স্বভাবতই তারা এরূপ কোনো দলিল উপস্থাপনের অক্ষম ছিল। এক্ষেত্রে তারা অমুক বলেছেন, সমাজের সকলেই বলে, সকলেই করে, পিতাপিতামহগণ করেছেন ইত্যাদিকে দলিল হিসেবে পেশ করত। এমনকি খৃস্টানগণও কখনো তাদের প্রচলিত বাইবেল থেকে একটি দ্ব্যর্থহীন দলিলও পেশ করতে পারে নি, যাতে ঈসা মসীহ (আঃ) বলেছেন যে, তোমরা আমার ইবাদত করবে, বা আল্লাহকে পেতে হলে আমার ইবাদত করতে হবে, অথবা আমার মধ্যকার যে পুত্রসত্তা আছে তোমরা তার ইবাদত করবে। তিনি সর্বদা একমাত্র আল্লাহর ইবাদতের কথা বলেছেন।