আমরা ইতোপূর্বে বলেছি যে, মহান আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ইলাহ বলা যায় না এবং যে নাম ও গুণাবলি মহান আল্লাহর জন্যই প্রযোজ্য তা অন্য কারো ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা শিরক আকবার। আর কিছু নাম ও বিশেষণ রয়েছে যা জাগতিক ও আপেক্ষিক অর্থে মানুষের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যায়। আমরা বিদ‘আত ও ফিরকা বিষয়ক অধ্যায়ে এ বিষয়ে কিছু উদাহরণ দেখতে পাব।
মহান আল্লাহই এ বিশ্বের প্রকৃত মালিক, বাদশাহ ও প্রতিপালক। তবে জাগতিক ও আপেক্ষিক অর্থে মানুষদেরকে রাজা বলার অনুমতি ও প্রচলন রয়েছে। কুরআন কারীমে এরূপ ব্যবহার রয়েছে। তবে জাগতিক অর্থেও কাউকে ‘রাজাগণের রাজা’, ‘শাহানশাহ’ ইত্যাদি গালভরা উপাধিতে আখ্যায়িত করতে হাদীস শরীফে কঠিনভাবে নিষেধ করা হয়েছে। আবূ হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:
إِنَّ أَخْنَعَ اسْمٍ عِنْدَ اللَّهِ رَجُلٌ تَسَمَّى مَلِكَ الأَمْلاكِ (ملك الملوك)- شَاهَانْ شَاهْ- لا مَالِكَ إِلا اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ. وفي الرواية الثانية: أَغْيَظُ رَجُلٍ عَلَى اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَأَخْبَثُهُ وَأَغْيَظُهُ عَلَيْهِ رَجُلٍ كَانَ يُسَمَّى مَلِكَ الأَمْلاكِ لا مَلِكَ إِلا اللَّهُ
‘‘মহান আল্লাহর নিকট ঘৃণ্যতম নাম হলো যে কোনো মানুষ নিজেকে ‘শাহানশাহ’ বা ‘রাজাগণের রাজা’ নামে আখ্যায়িত করবে, অথচ মহান আল্লাহ ছাড়া আর কোনো রাজা নেই। অন্য বর্ণনায়: কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট সবচেয়ে ঘৃণিত ও সবচেয়ে নিন্দিত হবে ঐ ব্যক্তি যাকে ‘রাজাগণের রাজা’ বা ‘শাহানশাহ’ নামে আখ্যায়িত করা হয়, অথচ আল্লাহ ছাড়া কোনো রাজা নেই।’’[1]