কুরআন ও হাদীসের আলোকে আমরা বিশ্বাস করি যে, মালাকগণ আল্লাহর নির্দেশে বিভিন্ন আকৃতি ধারণ করতে পারেন। ঈসা (আঃ)-এর আম্মা মারইয়াম (আঃ)-এর মাতৃত্বের ঘটনা বর্ণনায় আল্লাহ বলেন:
فَأَرْسَلْنَا إِلَيْهَا رُوحَنَا فَتَمَثَّلَ لَهَا بَشَرًا سَوِيًّا
‘‘তখন আমি তার (মারইয়ামের) কাছে আমার রুহকে (পবিত্র আত্মা: জিব্রাঈল) প্রেরণ করলাম, সে তাঁর নিকট পূর্ণ মানব আকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করল।’’[1]
হাদীসেও এ বিষয়ে বিভিন্ন বর্ণনা রয়েছে। এ সকল বর্ণনা থেকে আমরা দেখি যে, কোনো কোনো সময় জিব্রাঈল (আঃ) মানুষের আকৃতিতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট উপস্থিত হতেন। কখনো মানুষের বেশে ওহী নিয়ে আসতেন। কখনো মানুষের বেশে এসে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট বসে সাহাবীদের সামনে ইসলামের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে প্রশ্ন করেছেন, যাতে উপস্থিত সাহাবীগণ প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে ইসলামের প্রয়োজনীয় বিধানাবলী জানতে পারেন।[2]
[2] বুখারী, আস-সহীহ ১/২৭, ৪/১৭৯৩; মুসলিম, আস-সহীহ ১/৩৫-৩৯।