কুরআনে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর মৃত্যুর বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন:
إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُمْ مَيِّتُونَ
‘‘তুমি তো মরণশীল এবং তারাও মরণশীল’’[1]
তিনি আরো বলেন:
وَمَا مُحَمَّدٌ إِلا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِنْ مَاتَ أَوْ قُتِلَ انْقَلَبْتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ وَمَنْ يَنْقَلِبْ عَلَى عَقِبَيْهِ فَلَنْ يَضُرَّ اللَّهَ شَيْئًا وَسَيَجْزِي اللَّهُ الشَّاكِرِينَ
‘‘মুহাম্মাদ একজন রাসূল মাত্র; তার পূর্বে রাসূলগণ গত হয়েছে। সুতরাং যদি সে মারা যায় অথবা নিহত হয় তবে কি তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে? এবং কেউ পৃষ্ঠ প্রদর্শন করলে সে কখনো আল্লাহর ক্ষতি করবে না, বরং আল্লাহ শীঘ্রই কৃতজ্ঞদিগকে পুরস্কৃত করবেন।’’[2]
وَمَا جَعَلْنَا لِبَشَرٍ مِنْ قَبْلِكَ الْخُلْدَ أَفَإِنْ مِتَّ فَهُمُ الْخَالِدُونَ
‘‘আমি তোমার পূর্বে কোনো মানুষকে অমরত্ব বা অনন্ত জীবন প্রদান করি নি; সুতরাং তোমার মৃত্যু হলে তারা কী চিরজীবী হয়ে থাকবে?’’[3]
কুরআনে অনেক আয়াতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে যে, শহীদগণ মৃত নন, তারা জীবিত ও রিয্ক প্রাপ্ত হন। নবীগণের বিষয়ে কুরআন কারীমে কিছু না বলা হলেও সহীহ হাদীসে তাঁদের মৃত্যু পরবর্তী জীবন সম্পর্কে বলা হয়েছে। আনাস ইবনু মালিক (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন,
الأَنْـبِـيَاءُ أَحْـيَـاءُ فِـيْ قُـبُـوْرِهِمْ يُـصَـلُّـون
‘‘নবীগণ তাঁদের কবরের মধ্যে জীবিত, তাঁরা সালাত আদায় করেন।’’ হাদীসটির সনদ সহীহ।[4]
অন্য একটি যয়ীফ সনদের হাদীসে বর্ণিত হয়েছে:
إِنَّ الأَنْـبِـيَاءُ لاَ يُـتْـرَكُـوْنَ فِـيْ قُـبُوْرِهْمْ بَـعْدِ أَرْبِـعِينَ لَيْلَةً ولكنهم يُصَـلُّون بين يدي الله عز وجل حتى ينفخ في الصور
‘‘নবীগণকে ৪০ রাতের পরে তাঁদের কবরের মধ্যে রাখা হয় না; কিন্তু তারা মহান আল্লাহর সম্মুখে সালাতে রত থাকেন; শিংগায় ফুঁক দেওয়া পর্যন্ত।’’
হাদীসটির বর্ণনাকারী আহমদ ইবনু আলী আল-হাসনবী মিথ্যাবাদী ও জালিয়াত বলে পরিচিত। এজন্য কোনো কোনো মুহাদ্দিস একে মাউযূ বলে গণ্য করেছেন। অন্যান্য মুহাদ্দিস এই অর্থের অন্যান্য হাদীসের সমন্বয়ে একে দুর্বল বলে উল্লেখ করেছেন।[5]
বিভিন্ন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) মি’রাজের রাত্রিতে মূসা (আঃ)-কে নিজ কবরে সালাত আদায় করতে দেখেছেন এবং ঈসা (আঃ)-কেও দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতে দেখেছেন। আল্লামা বাইহাকী ও অন্যান্য মুহাদ্দিস এই দর্শনকে উপরের হাদীসের সমর্থনকারী বলে গণ্য করেছেন।[6]
হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি কোনো কোনো পূর্ববর্তী নবীকে হজ্জ পালনরত অবস্থায় দেখেছেন। এ সকল হাদীসকেও কোনো কোনো আলিম নবীগণের মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের নিদর্শন বলে গণ্য করেছেন। ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, এই দর্শনের বিষয়ে কাযী ইয়ায বলেন, এই দর্শনের ব্যাখ্যায় বিভিন্ন কথা বলা হয়েছে। একটি ব্যাখ্যা হলো, নবীগণ শহীদগণের চেয়েও মর্যাদাবান। কাজেই নবীগণের জন্য ইন্তিকালের পরেও এইরূপ ইবাদতের সুযোগ পাওয়া দূরবর্তী কিছু নয়। দ্বিতীয় ব্যাখ্যা হলো, তাঁরা জীবিত অবস্থায় যেভাবে হজ্জ করেছেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে তার সূরাত দেখানো হয়েছে। কেউ বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে ওহীর মাধ্যমে যা জানানো হয়েছে তাকে তিনি দর্শনের সাথে তুলনা করেছেন।[7]
রাসূলুল্লাহর (ﷺ) ওফাত পরবর্তী জীবন সম্পর্কে বিশেষভাবে কিছু হাদীস বর্ণিত হয়েছে। আবু হুরাইরা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন :
مَا مِنْ أَحَدٍ يُسَلِّمُ عَلَيَّ إِلا رَدَّ اللَّهُ عَلَيَّ رُوحِي حَتَّى أَرُدَّ عَلَيْهِ السَّلامَ
‘‘যখনই কোনো মানুষ আমাকে সালাম করে তখনই আল্লাহ আমার রূহকে আমার কাছে ফিরিয়ে দেন, যেন আমি তার সালামের প্রতিউত্তর দিতে পারি।’’[8]
অন্য হাদীসে আবু হুরাইরা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
من صلى عليَّ عند قبري سمعته، ومن صلى عليَّ من بعيد أعلمته
‘‘কেউ আমার কবরের নিকট থেকে আমার উপর দরুদ পাঠ করলে আমি শুনতে পাই। আর যদি কেউ দূর থেকে আমার উপর দরুদ পাঠ করে তাহলে আমাকে জানান হয়।’’[9]
হাদীসটির একটি সনদ খুবই দুর্বল হলেও অন্য আরেকটি গ্রহণযোগ্য সনদের কারণে ইবনু হাজার, সাখাবী, সুয়ূতী প্রমুখ মুহাদ্দিস হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।[10]
আউস () বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন :
إِنَّ مِنْ أَفْضَلِ أَيَّامِكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ .... فَأَكْثِرُوا عَلَيَّ مِنَ الصَّلاةِ فَإِنَّ صَلاتَكُمْ مَعْرُوضَةٌ عَلَيَّ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَيْفَ تُعْرَضُ صَلاتُنَا عَلَيْكَ وَقَدْ أَرَمْتَ أَيْ يَقُولُونَ قَدْ بَلِيتَ قَالَ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ قَدْ حَرَّمَ عَلَى الأَرْضِ أَنْ تَأْكُلَ أَجْسَادَ الأَنْبِيَاءِ عَلَيْهِمْ السَّلام
‘‘তোমাদের দিনগুলির মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো শুক্রবার।... কাজেই, এই দিনে তোমরা আমার উপর বেশি করে দরুদ পাঠ করবে, কারণ তোমাদের দরুদ আমার কাছে পেশ করা হবে।’’ সাহাবীগণ বলেন : ‘‘হে আল্লাহর রাসূল, আপনি তো (কবরের মাটিতে) বিলুপ্ত হয়ে যাবেন, মিশে যাবেন, কী-ভাবে তখন আমাদের দরুদ আপনার নিকট পেশ করা হবে? তিনি বলেন: ‘‘মহান আল্লাহ মাটির জন্য নিষিদ্ধ করেছেন নবীদের দেহ ভক্ষণ করা।’’[11]
আরো অনেক সহীহ হাদীসে বলা হয়েছে যে, মুমিন বিশ্বের যেখানে থেকেই দরুদ ও সালাম পাঠ করবেন, ফিরিশতাগণ সেই সালাত ও সালাম রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর রাওযা মুবারাকায় পৌঁছিয়ে দেবেন।
উপরের হাদীসগুলি থেকে প্রমাণিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ইন্তেকালের পরে তাঁকে এক প্রকারের জীবন দান করা হয়েছে। এই জীবন বারযাখী জীবন, যা একটি বিশেষ সম্মান ও গায়েবী জগতের একটি অবস্থা। এ বিষয়ে হাদীসে যতটুকু বলা হয়েছে ততটুকুই বলতে হবে। হাদীসের আলোকে আমরা বলব, এই অপার্থিব ও অলৌকিক জীবনে তাঁর সালাত আদায়ের সুযোগ রয়েছে। কেউ সালাম দিলে আল্লাহ তাঁর রূহ মুবারাককে ফিরিয়ে দেন সালামের জবাব দেওয়ার জন্য। রাওযার পাশে কেউ দরুদ বা সালাত পাঠ করলে তিনি তা শুনেন, আর দূর থেকে পাঠ করলে তা তাঁর নিকট পৌঁছানো হয়। এর বেশি কিছুই বলা যাবে না। বাকি বিষয় আল্লাহর উপর ছেড়ে দিতে হবে। বুঝতে হবে যে, উম্মাতের জানার প্রয়োজন নেই বলেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বাকি বিষয়গুলি বলেন নি।
কিন্তু বর্তমান যুগে কেউ কেউ এ বিষয়ে ওহীর অতিরিক্ত কথা বলেন, এবং সেগুলিকে ‘আকীদা’ বা বিশ্বাসের অংশ বলে গণ্য করেন। এরূপ বিষয়গুলির অন্যতম হলো, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও নবীগণের ইন্তিকাল পরবর্তী এই বারযাখী জীবনকে পার্থিব বা জাগতিক জীবনের মতই মনে করা। এ বিষয়ে তাঁরা যা কিছু বলেন সবই ওহীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা বা যুক্তি মাত্র, এবং তাদের এ সকল ব্যাখ্যা ও যুক্তি সাহাবীগণের মতামত ও কর্মধারার বিপরীত।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ইন্তিকালের পরের ঘটনাগুলি বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য হাদীসগ্রন্থে পাঠ করলেই আমরা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বুঝতে পারি যে, সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে কখনোই জাগতিক জীবনের অধিকারী বলে মনে করেন নি। খলীফা নির্বাচনের বিষয়, গোসলের বিষয়, দাফনের বিষয়, পরবর্তী সকল ঘটনার মধ্যেই আমরা তা দেখতে পাই। রাসূলুল্লাহর (ﷺ) জীবদ্দশায় তাঁর পরামর্শ, দোয়া ও অনুমতি ছাড়া তাঁরা কিছুই করতেন না। কিন্তু তাঁর ইন্তিকালের পরে কখনো কোনো সাহাবী তাঁর রাওযায় দোয়া, পরামর্শ বা অনুমতি গ্রহণের জন্য আসেন নি। সাহাবীগণ বিভিন্ন সমস্যায় পড়েছেন, যুদ্ধবিগ্রহ করেছেন বা বিপদগ্রস্ত হয়েছেন। কখনোই খুলাফায়ে রাশেদীন বা সাহাবীগণ দলবেঁধে বা একাকী রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর রাওযা মুবারাকে যেয়ে তাঁর কাছে দোয়া-পরামর্শ চাননি।
আবু বকরের (রা) খিলাফত গ্রহণের পরেই কঠিনতম বিপদে নিপতিত হয় মুসলিম উম্মাহ। একদিকে বাইরের শত্রু, অপরদিকে মুসলিম সমাজের মধ্যে বিদ্রোহ, সর্বোপরি প্রায় আধা ডজন ভন্ড নবী। মুসলিম উম্মাহর অস্তিত্বের সংকট। কিন্তু একটি দিনের জন্যও আবু বকর (রা) সাহাবীগণকে নিয়ে বা নিজে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর রাওযায় যেয়ে তাঁর কাছে দোয়া চাননি। এমনকি আল্লাহর কাছে দোয়া করার জন্যও রাওযা শরীফে সমবেত হয়ে কোনো অনুষ্ঠান করেননি। কী কঠিন বিপদ ও যুদ্ধের মধ্যে দিন কাটিয়েছেন আলী (রা)। অথচ তাঁর সবচেয়ে আপনজন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর রাওযায় যেয়ে তাঁর কাছে দোয়া চাননি বা আল্লাহর কাছে দোয়ার জন্য রাওযা শরীফে কোনো অনুষ্ঠান করেন নি।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ইন্তিকালের পরে ফাতিমা, আলী ও আববাস (রা) খলীফা আবূ বাক্র (রা)-এর নিকট রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পরিত্যক্ত সম্পত্তির উত্তরাধিকার চেয়েছেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে অনেক মতভেদ ও মনোমালিন্য হয়েছে। উম্মুল মুমিনীন আয়েশার (রা) সাথে আমীরুল মুমিনীন আলীর (রা) কঠিন যুদ্ধ হয়েছে, আমীর মুয়াবিয়ার (রা) সাথেও তাঁর যুদ্ধ হয়েছে। এসকল যুদ্ধে অনেক সাহাবী সহ অসংখ্য মুসলিম নিহত হয়েছেন। কিন্তু এসকল কঠিন সময়ে তাঁদের কেউ কখনো রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কাছে এসে পরামর্শ চান নি। তিনি নিজেও কখনো এসকল কঠিন মুহুর্তে তাঁর কন্যা, জামাতা, চাচা, খলীফা কাউকে কোনো পরামর্শ দেন নি। এমনকি কারো কাছে রূহানীভাবেও প্রকাশিত হয়ে কিছু বলেন নি। আরো লক্ষণীয় যে, প্রথম শতাব্দীগুলির জালিয়াতগণ এ সকল মহান সাহাবীর পক্ষে ও বিপক্ষে অনেক জাল হাদীস বানিয়েছে, কিন্তু কোনো জালিয়াতও প্রচার করে নি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইন্তিকালের পরে রাওযা শরীফ থেকে বা সাহাবীগণের মাজলিসে এসে অমুক সাহাবীর পক্ষে বা বিপক্ষে যুদ্ধ করতে বা কর্ম করতে নির্দেশ দিয়েছেন।[12]
সাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জীবদ্দশায় সর্বদা বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর নিকট দু‘আ চাইতেন। কুরআন বা হাদীসে কোথাও ঘুনাক্ষরেও নির্দেশ দেওয়া হয় নি যে, তোমরা বিপদে পড়লে রাওযা শরীফে যেয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট দু‘আ চাইবে। সাহাবীগণও কখনো এরূপ করেন নি।
মহান আল্লাহ কুরাআন কারীমে বলেছেন
وَلَوْ أَنَّهُمْ إِذْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ جَاءُوكَ فَاسْتَغْفَرُوا اللَّهَ وَاسْتَغْفَرَ لَهُمُ الرَّسُولُ لَوَجَدُوا اللَّهَ تَوَّابًا رَحِيمًا
‘‘যদি তারা পাপে লিপ্ত হওয়ার পরে আপনার কাছে এসে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করত এবং রাসূলও তাদের জন্য ক্ষমা চাইতেন তাহলে তারা আল্লাহকে তাওবা কবূলকারী করুণাময় হিসাবে পেত।’’[13]
এখানে পাপী মুমিনকে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে তাঁকে তার জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইতে অনুরোধ করতে। সাহাবীগণ তাঁর জীবদ্দশায় এরূপ করতেন। কিন্তু তাঁর ওফাতের পরে একটি ঘটনাতে একজন সাহাবীও তাঁর রাওযায় যেয়ে বলেন নি যে, হে আল্লাহর রাসূল আমি পাপ করেছি, তাওবা করছি আপনি আমার জন্য ক্ষমা চান। সাহাবীগণের যুগের অনেক পরে কোনো কোনো মানুষের মধ্যে এরূপ কর্ম প্রকাশ পেয়েছে।[14] এ থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ওফাত পরবতী জীবনকে কখনোই সাহাবীগণ জাগতিক জীবনের মত মনে করেন নি।
[2] সূরা (৩) আল-ইমরান: ১৪৪ আয়াত।
[3] সূরা (২১) আম্বিয়া: ৩৪ আয়াত।
[4] আবূ ইয়ালা আল-মাউসিলী, আল-মুসনাদ ৬/১৪৭; বাইহাকী, হাইয়াতুল আম্বিয়া, পৃ. ৬৯-৭৪; হাইসামী, মাজমাউয যাওয়াইদ ৮/২১১।
[5] দাইলামী, আল-ফিরদাউস ১/২২২; ৩/৩৫; ইবনু হাজার, ফাতহুল বারী ৬/৪৮৭; সুয়ূতী, আল-লাআলী ১/২৮৫; আলবানী, যয়ীফুল জামি, পৃ. ২০৫।
[6] বাইহাকী, হায়াতুল আম্বিয়া, পৃ. ৭৭-৮৫।
[7] ইবনু হাজার, ফাতহুল বারী ৬/৪৮৭।
[8] আবূ দাউদ, আস-সুনান ২/২১৮। হাদীসটির সনদ গ্রহণযোগ্য।
[9] বাইহাকী, হায়াতুল আনবিয়া ১০৩-১০৫ পৃ. সাখাবী, আল-কাউলুল বাদী ১৫৪ পৃ.।
[10] সুয়ূতী, আল-লাআলী ১/২৮৩; ইবনু ইরাক, তানযীহ ১/৩৩৫; দরবেশ হূত, আসনাল মাতালিব, পৃ. ২১৬; শাওকানী, আল-ফাওয়াইদ ২/৪১০; আলবানী, যয়ীফুল জামি, পৃ. ৮১৭, যায়ীফাহ ১/৩৬৬-৩৬৯।
[11] নাসাঈ, আস-সুনান ৩/৯১; ইবনু মাজাহ, আস-সুনান ১/৩৪৫, ৫২৪; আবূ দাউদ, আস-সুনান ১/২৭৫, ২/৮৮।
[12] দরবেশ হূত, আসনাল মাতালিব, পৃ. ২৯৮-২৯৯।
[13] সূরা নিসা : ৬৪।
[14] বিস্তারিত দেখুন, খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, এহইয়াউস সুনান, পৃ. ৩০৭-৩০৯।