তাওহীদের এ দুটি পর্যায় একে অপরের সম্পূরক ও পরস্পরে অবিচ্ছিন্নভাবে জড়িত। এক পর্যায় থেকে অন্য পর্যায়কে পৃথক করা যায় না বা একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটির উপর ঈমান এনে মুসলিম হওয়া যায় না। তবে এখানে প্রণিধাণযোগ্য যে শাহাদাতাইন বা ঈমানের ঘোষনায় ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলে শেষ পর্যায় বা ‘‘তাওহীদুল উলুহিয়্যাহ্’’-র ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ঈমানের ঘোষণায় প্রথম পর্যায়ের তাওহীদের সাক্ষ্য দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় নি। কালিমায়ে তাওহীদে ‘‘লা খালিকা ইল্লাল্লাহ: আল্লাহ ছাড়া কোনো স্রষ্টা নেই’’, ‘‘লা রাযিকা ইল্লাল্লাহ: আল্লাহ ছাড়া কোনো রিয্কদাতা নেই’’, ‘‘লা মালিকা ইল্লাল্লাহ: আল্লাহ ছাড়া কোনো বাদশাহ বা মালিক নেই’’, ‘‘লা রাববা ইল্লাল্লাহ: আল্লাহ ছাড়া কোনো রাবব বা প্রতিপালক নেই’’, বা অনুরূপ বাক্য বলা হয় নি। বরং ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ বা মাবুদ নেই বলে সাক্ষ্য প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর দ্বিবিধ কারণ রয়েছে: (১) তাওহীদুল ইবাদাত তাওহীদুর রুবূবিয়্যাতের ফসল ও দাবি এবং (২) তাওহীদুল ইবাদাতেই কাফিরদের বিরোধিতা ও অস্বীকৃতি।