সমকালীন প্রচলিত বিদআত - পঞ্চমঃ আত -তাবাররুক

আত-তাবাররুক অর্থ বরকত চাওয়া বা শুভ কামনা করা। কোন জিনিস দ্বারা বরকত চাওয়ার অর্থ ঐ জিনিসের মাধ্যমে শুভ কামনা করা।

নিঃসন্দেহে যাবতীয় কল্যাণ ও বরকত আল্লাহ্ তা‘আলার হাতে। আল্লাহ্ তা‘আলা স্বীয় ইচ্ছা অনুযায়ী কিছু সৃষ্টির মধ্যে অনুগ্রহ ও বরকত রেখে দিয়েছেন।

বরকতের প্রকৃত অর্থ হচ্ছেঃ স্থায়ীত্ব ও প্রয়োজনীয়তা। আবার বৃদ্ধি এবং দুআ অর্থেও আসে। যেমন- বলা হয়ে থাকে برَك عليه অর্থঃ তার জন্য বরকতের দুআ করা হয়েছে। বলা হয় بَارَكَ الله ُالشَّيْءَ، بَارَكَ فِيْهِ أَوْ بَارَكَ عَلَيْه  অর্থঃ আল্লাহ তা‘আলা ঐ জিনিসে বরকত প্রদান  করেছেন। আরتبارك   (বরকতময় হওয়া) শব্দটি শুধুমাত্র আল্লাহ্ তাআলার জন্য নির্দিষ্ট। এটা বলা যাবে না যে অমুক ব্যক্তি বরকতময়। কেননা বরকত শব্দের অর্থ বড় ও মহান। অতএব এ গুণ আল্লাহ্ তা’আলা ব্যতীত অন্য কারো জন্য হতে পারে না।

কুরআনুল কারীমে বরকত শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যথাঃ

১. চিরস্থায়ী কল্যাণ প্রতিষ্ঠিত হওয়া।
২. কল্যাণ অধিক হারে হওয়া ও ধারাবাহিকতা বজায় থাকা।
৩. তাবারাকা শব্দটি শুধুমাত্র আল্লাহ্ তা‘আলার জন্যই নির্দিষ্ট। তিনি ব্যতীত অন্য কারো জন্য এ শব্দ ব্যবহার করা যাবে না।

ইবনে কাইয়িম রহ. বলেন, আল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বরকতময়, তাঁর দান স্থায়ী, তাঁর দেয়া কল্যাণ অফুরন্ত, তাঁর মর্যাদা সুউচ্চ, তিনি অতি মহান, পূত-পবিত্র এবং যাবতীয় কল্যাণ একমাত্র তাঁর পক্ষ থেকেই আসে। তিনি তাঁর সৃষ্টির মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা কল্যাণ দান করেন এটাই হচেছ তাবারাকা এর প্রকৃত অর্থ যা কুরআনে রয়েছে।