৬- طلوع الشمس من مغربها - ৬. পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয়

আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿هَلْ يَنظُرُونَ إِلَّا أَنْ تَأْتِيَهُمْ الْمَلَائِكَةُ أَوْ يَأْتِيَ رَبُّكَ أَوْ يَأْتِيَ بَعْضُ آيَاتِ رَبِّكَ يَوْمَ يَأْتِي بَعْضُ آيَاتِ رَبِّكَ لَا يَنفَعُ نَفْسًا إِيمَانُهَا لَمْ تَكُنْ آمَنَتْ مِنْ قَبْلُ أَوْ كَسَبَتْ فِي إِيمَانِهَا خَيْرًا قُلْ انتَظِرُوا إِنَّا مُنتَظِرُونَ﴾

‘‘তারা শুধু এ বিষয়ের দিকে চেয়ে আছে যে, তাদের কাছে ফেরেশতা আগমন করবে কিংবা তোমার পালনকর্তা আগমন করবেন। অথবা তোমার পালনকর্তার কোনো নিদর্শন আসবে। যেদিন তোমার পালনকর্তার কোনো নিদর্শন এসে যাবে তখন এমন ব্যক্তির ঈমান কোনো উপকারে আসবেনা ইতিপূর্বে ঈমান আনয়ন করেনি কিংবা স্বীয় বিশ্বাস অনুযায়ী সৎকাজ করেনি। হে নবী! তুমি বলো তোমরা অপেক্ষা করতে থাকো। আমরাও অপেক্ষা করতে থাকলাম’’। (সূরা আনআম: ১৫৮)

হাফেয ইবনে কাছীর রাহিমাহুল্লাহ নেহায়া গ্রন্থে বলেন, ইমাম বুখারী এ আয়াতের তাফসীর করতে গিয়ে বলেন, আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রসূল সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, পশ্চিম আকাশে সূর্য উদিত না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামত হবেনা। যখন সূর্য পশ্চিম আকাশে উঠবে, তখন তারা সবাই ঈমান আনয়ন করবে। কিন্তু ইতিপূর্বে যারা ঈমান আনয়ন করেনি, তাদের ঈমান কোনো উপকারে আসবেনা। ইমাম তিরমিযী ব্যতীত সুনান গ্রন্থের অন্যান্য ইমামগণ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম ইবনে কাছীরের কথা এখানেই শেষ।

ইমাম সাফারায়েনী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, আলেমগণ বলেন পশ্চিম আকাশে সূর্য উদিত হওয়া সহীহ সুন্নাহ ও সুস্পষ্ট খবর দ্বারা সাব্যস্ত। শুধু তাই নয়; বরং রসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর অবতীর্ণ কিতাবের দলীল দ্বারাও সাব্যস্ত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿يَوْمَ يَأْتِي بَعْضُ آيَاتِ رَبِّكَ لَا يَنفَعُ نَفْسًا إِيمَانُهَا لَمْ تَكُنْ آمَنَتْ مِنْ قَبْلُ أَوْ كَسَبَتْ فِي إِيمَانِهَا خَيْرًا﴾

‘‘যেদিন তোমার পালনকর্তার কোনো নিদর্শন এসে যাবে তখন এমন ব্যক্তির ঈমান কোনো উপকারে আসবে না যে ইতিপূর্বে ঈমান আনয়ন করেনি কিংবা স্বীয় বিশ্বাস অনুযায়ী সৎকাজ করেনি’’ (সূরা আন‘আম:১৫৮)।

মুফাস্সিরদের ঐক্যমতে অথবা অধিকাংশ মুফাস্সিরের মতে এখানে নিদর্শন বলতে পশ্চিম আকাশে সূর্য উদিত হওয়া উদ্দেশ্য। উপরোক্ত আয়াতের উদ্দেশ্য হলো, পশ্চিম আকাশে সূর্য উদিত হওয়ার সময় যদি কারো ঈমান না থাকে, সূর্য উদিত হওয়ার পর ঈমান নবায়ন করে এবং বিভিন্ন প্রকার সৎকর্ম করে তাতে কোনো লাভ হবে না। কেননা তারা আমলসমূহ গ্রহণযোগ্য হওয়ার মূল শর্ত ঈমান হারিয়ে ফেলেছে। সুতরাং সূর্য উদিত হওয়ার সময় নতুন করে ঈমান আনয়ন করে কোনো লাভ হবে না। যেহেতু ইতিপূর্বে তার ঈমান ছিল না, তাই ঈমানের পূর্বে তার সৎকর্ম, আত্মীয়তার বন্ধন ঠিক রাখা, দাসমুক্ত করা, মেহমানদারী করা, উত্তম আচরণ করা এবং অন্যান্য আমলের কোনো মূল্যায়ন হবে না। কেননা তার আমলগুলো মূলনীতির উপর ভিত্তি করে সম্পন্ন হয়নি। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿مَّثَلُ الَّذِينَ كَفَرُوا بِرَبِّهِمْ ۖ أَعْمَالُهُمْ كَرَمَادٍ اشْتَدَّتْ بِهِ الرِّيحُ فِي يَوْمٍ عَاصِفٍ﴾

 ‘‘যারা তাদের রবের সাথে কুফুরী করে তাদের উপমা এই যে, তাদের কর্মগুলো ছাইয়ের মতো, যা ঝড়ের দিনে বাতাস প্রচ- বেগে উড়িয়ে নিয়ে যায়’’। (সূরা ইবরাহীম: ১৮)

সুতরাং পশ্চিম আকাশে সূর্য উদিত হওয়ার সময়ে ঈমান আনয়ন গ্রহণযোগ্য নয়।

ইমাম বুখারী, মুসলিম এবং অন্যান্য ইমামগণ আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন যে,  নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

«لَا تَقُوْمُ السَّاعَةُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ مِنْ مَغْرِبِهَا فَإِذَا طَلَعَتْ وَرَآهَا النَّاسُ آمَنُوا أَجْمَعُونَ فَذَلِكَ حِينَ لَا يَنْفَعُ نَفْسًا إِيمَانُهَا لَمْ تَكُنْ آمَنَتْ مِنْ قَبْلُ أَوْ كَسَبَتْ فِي إِيمَانِهَا خَيْرًا»

‘‘যতদিন পশ্চিম  আকাশে সূর্য উদিত হবে না ততোদিন কিয়ামত হবে না। যখন পশ্চিম আকাশে সূর্য উদিত হবে এবং মানুষ তা দেখবে তখন সবাই ঈমান আনবে। তখন এমন ব্যক্তির ঈমান কোনো উপকারে আসবে না যে ইতিপূর্বে বিশ্বাস স্থাপন করে স্বীয় বিশ্বাস অনুযায়ী সৎকাজ করেনি’’।[1]

ইমাম ইবনে কাছীর রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ইমাম আহমাদ ও তিরমিযী যে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন, যাকে ইমাম নাসাঈ সহীহ বলেছেন এবং ইমাম ইবনে মাজাহ যাকে আসেম ইবনে আবু নাজুদের সনদে যার ইবনে হুবাইশ থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বর্ণনা করেছেন সাফওয়ান ইবনে আস্সাল থেকে। সাফওয়ান বলেন, আমি রসূল সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা পশ্চিম আকাশে তাওবার এমন একটি দরজা খুলে রেখেছেন যার প্রশস্ততা ৭০ অথবা ৪০ বছরের পথ। পশ্চিম আকাশে সূর্য উদিত হওয়ার পূর্বে বন্ধ করা হবে না।

উপরোক্ত হাদীছগুলো এবং কুরআনের উপরোক্ত আয়াতটি প্রমাণ করে যে, যারা পশ্চিম আকাশে সূর্য উদিত হতে দেখে ঈমান আনবে ও তাওবা করবে তাদের কাছ থেকে সেটা কবুল করা হবেনা। সে সময় ঈমান ও তাওবা কবুল না হওয়ার কারণ হলো পশ্চিম আকাশে সূর্য উদিত হওয়া ঐসব আলামতের অন্তর্ভুক্ত, যা কিয়ামত অত্যন্ত নিকটবর্তী হওয়ার প্রমাণ বহন করে। সুতরাং ঐ সময়ের অবস্থা কিয়ামতের দিনের অবস্থার অনুরূপ। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿هَلْ يَنظُرُونَ إِلَّا أَنْ تَأْتِيَهُمْ الْمَلَائِكَةُ أَوْ يَأْتِيَ رَبُّكَ أَوْ يَأْتِيَ بَعْضُ آيَاتِ رَبِّكَ يَوْمَ يَأْتِي بَعْضُ آيَاتِ رَبِّكَ لَا يَنفَعُ نَفْسًا إِيمَانُهَا لَمْ تَكُنْ آمَنَتْ مِنْ قَبْلُ أَوْ كَسَبَتْ فِي إِيمَانِهَا خَيْرًا قُلْ انتَظِرُوا إِنَّا مُنتَظِرُونَ﴾

‘‘তারা শুধু এ বিষয়ের দিকে চেয়ে আছে যে, তাদের কাছে ফেরেশতা আগমন করবে কিংবা তোমার পালনকর্তা আগমন করবেন অথবা তোমার পালনকর্তার কোনো নিদর্শন আসবে। যেদিন তোমার পালনকর্তার কিছু নিদর্শন এসে যাবে তখন এমন ব্যক্তির ঈমান কোনো উপকারে আসবে না যে পূর্ব থেকে ঈমান আনয়ন করেনি কিংবা স্বীয় বিশ্বাস অনুযায়ী সৎকাজ করেনি। হে নবী! তুমি বলো, তোমরা অপেক্ষা করতে থাকো। আমরাও অপেক্ষা করতে থাকলাম’’। (সূরা আনআম: ১৫৮) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

﴿فَلَمَّا رَأَوْا بَأْسَنَا قَالُوا آمَنَّا بِاللَّهِ وَحْدَهُ وَكَفَرْنَا بِمَا كُنَّا بِهِ مُشْرِكِينَ فَلَمْ يَكُ يَنفَعُهُمْ إِيمَانُهُمْ لَمَّا رَأَوْا بَأْسَنَا ۖ سُنَّتَ اللَّهِ الَّتِي قَدْ خَلَتْ فِي عِبَادِهِ ۖ وَخَسِرَ هُنَالِكَ الْكَافِرُونَ﴾

‘‘অতঃপর তারা যখন আমার আযাব দেখতে পেলো তখন বললো, আমরা এক আল্লাহতেই বিশ্বাস করলাম এবং আমরা তার সঙ্গে যাদেরকে শরীক করতাম তাদেরকে অস্বীকার করলাম। কিন্তু তারা যখন আমার আযাব প্রত্যক্ষ করলো তখন তাদের বিশ্বাস তাদের কোনো উপকারে এলো না। আল্লাহর এ বিধান তার বান্দাদের মধ্যে অনুসৃত হয়ে আসছে। আর তখন অবিশ্বাসীরা ক্ষতিগ্রস্থ হলো’’। (সূরা মুমিন: ৮৪-৮৫) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,

﴿فَهَلْ يَنظُرُونَ إِلَّا السَّاعَةَ أَن تَأْتِيَهُم بَغْتَةً ۖ فَقَدْ جَاءَ أَشْرَاطُهَا ۚ فَأَنَّىٰ لَهُمْ إِذَا جَاءَتْهُمْ ذِكْرَاهُمْ﴾

‘‘তারা কি শুধু এ জন্য অপেক্ষা করছে যে, কিয়ামত তাদের নিকট হঠাৎ এসে পড়ুক? কিয়ামতের নিদর্শনসমূহ তো এসেই পড়েছে। অতঃপর কিয়ামত এসে পড়লে তারা উপদেশ গ্রহণ করবে কেমন করে?’’ (সূরা মুহাম্মাদ: ১৮)

ইমাম কুরতুবী রাহিমাহুল্লাহ,﴿لاَ يَنْفَعُ نَفْسًا إِيمَانُهَا لَمْ تَكُنْ آمَنَتْ مِنْ قَبْلُ﴾  ‘‘তখন এমন ব্যক্তির ঈমান কোনো উপকারে আসবেনা যে পূর্ব থেকে ঈমান আনয়ন করেনি’’এর ব্যাখ্যায় বলেন, সেদিন যখন কাফের ঈমান আনয়ন করবে, তখন তার ঈমান গ্রহণযোগ্য হবে না। তবে সেদিনের পূর্বে যারা ঈমানদার থাকবে এবং পরিশুদ্ধ আমলকারী হবে, সে বিরাট কল্যাণের মধ্যে থাকবে। আর যদি পরিশুদ্ধ আমলকারী না হয়ে থাকে; কিন্তু তখন যদি তাওবা করে, তাহলে তার তাওবা কবুল করা হবে না। এ মর্মে অনেক হাদীছ রয়েছে। এটিই ﴿أَوْ كَسَبَتْ فِي إِيمَانِهَا خَيْرًا﴾ ‘‘কিংবা স্বীয় বিশ্বাস অনুযায়ী কোনো সৎকাজ করেনি’’ এর অর্থ। অর্থাৎ পশ্চিম আকাশে সূর্য উঠার আগে আমলকারী না হলে সেটা উদিত হওয়ার পর সৎআমল করলে, তা কবুল হবে না। ইমাম ইবনে কাছীরের কথা এখানেই শেষ। ইমাম বগবী রাহিমাহুল্লাহ বলেন,

﴿يَوْمَ يَأْتِي بَعْضُ آيَاتِ رَبِّكَ لَا يَنفَعُ نَفْسًا إِيمَانُهَا لَمْ تَكُنْ آمَنَتْ مِنْ قَبْلُ﴾

‘‘যেদিন তোমার পালনকর্তার কিছু নিদর্শন এসে যাবে তখন এমন ব্যক্তির ঈমান কোনো উপকারে আসবে না যে পূর্ব থেকে ঈমান আনয়ন করেনি’’। (সূরা আনআম: ১৫৮) অর্থাৎ যেসব নির্দশন প্রকাশিত হলে তারা ঈমান আনতে বাধ্য হবে, তা বের হওয়ার সময় ঈমান তাদের কোনো উপকার করবে না। আর﴿أَوْ كَسَبَتْ فِي إِيمَانِهَا خَيْرًا﴾  ‘‘কিংবা স্বীয় বিশ্বাস অনুযায়ী সৎকাজ করেনি’’ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো তখন কাফেরের ঈমান ও ফাসেকের তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে না।

ইমাম কুরতুবী রাহিমাহুল্লাহ স্বীয় তাফসীরে আরো বলেন, আলেমগণ বলেছেন, পশ্চিম আকাশে সূর্য উদিত হওয়ার সময় ঈমান আনলে কারো ঈমান উপকারে আসবেনা। কেননা তখন তাদের অন্তরে এমন ভয় ঢুকে যাবে যে, নফ্সের চাহিদা পূরণ করার ইচ্ছা একদম নিঃশেষ হয়ে যাবে এবং শরীরের শক্তি একদম শেষ হয়ে যাবে। কিয়ামত নিকটে দেখে তখন সমস্ত মানুষ ঠিক ঐরকম হয়ে যাবে যেমন মৃত্যু শয্যায় শায়িত ব্যক্তিদের থেকে পাপাচারের আগ্রহ সম্পূর্ণরূপে বিলীন হয়ে যায় এবং তাদের শরীরে পাপাচার ও নাফরমানির ইচ্ছা একদম বাতিল হয়ে যায়। সুতরাং কিয়ামত নিকটবর্তী দেখে কেউ তাওবা করলে তার তাওবা কবুল হবে না। যেমন মৃত্যু উপস্থিত দেখে কেউ তাওবা করলে তার তাওবা কবুল হবেনা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  আরো বলেন,

«إِنَّ اللَّهَ يَقْبَلُ تَوْبَةَ الْعَبْدِ مَا لَمْ يُغَرْغِرْ»

‘‘আল্লাহ তা‘আলা বান্দার তাওবা ততোক্ষণ পর্যন্ত কবুল করেন, যতক্ষণ না তার মৃত্যুর গড়গড়ানী শুরু হয়’’।[2]

অর্থাৎ কণ্ঠনালীর মাথায় রূহ না আসা পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলা বান্দার তাওবা কবুল করেন। এটি ঐ সময়ের অবস্থা যখন মানুষ জান্নাত কিংবা জাহান্নামে নিজের ঠিকানা দেখতে পায়। যারা পশ্চিম আকাশে সূর্য উদিত হতে দেখবে, তাদের অবস্থাও অনুরূপ।

মোটকথা, এটি একটি বিরাট ঘটনা। তখন ভয়াবহ অবস্থা হবে, যাতে সৃষ্টিজগতের শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়বে এবং কিয়ামত নিকটবর্তী হবে। এতে আল্লাহ তা‘আলার মহা শক্তির দলীল রয়েছে। এ বিশাল সৃষ্টি সূর্য আল্লাহ তা‘আলার নিয়ন্ত্রণাধীন। আল্লাহর ইচ্ছায় এতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।

আমরা আল্লাহর কাছে দু‘আ করি তিনি যেন আমাদেরকে বিশুদ্ধ ঈমান এবং এমন উপকারী ইয়াকীন দান করেন, যা সৎ আমলের দিকে ধাবিত করে। আমরা আরো দু‘আ করি, সময় ও বয়স ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই পুনরুত্থান দিবসের জন্য উপকারী পাথেয় সংগ্রহ করার তাওফীক দেন। সমগ্র সৃষ্টিজগতের প্রভু আল্লাহ তা‘আলার জন্য সমস্ত প্রশংসা।


[1]. বুখারী, অধ্যায়ঃ কিতাবুর রিকাক।

[2]. হাসান: তিরমিযী ৩৫৩৭, অধ্যায়: কিতাবুত্ তাওবা। ইমাম তিরমিযী বলেন, হাসান গরীব। হাকেম তার মুস্তাদরাকে হাদীছটি বর্ণনা করে সহীহ বলেছেন এবং ইমাম যাহাবী তার সাথে একমত পোষণ করেছেন। দেখুন: মুস্তাদরাক হাকেম, (৪/২৫৭)।