উত্তর : আমরা ছাত্রদেরকে আল্লাহ, তার কিতাব, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মুসলিম জনসাধারণের কল্যাণকামিতার জন্য উদ্বুদ্ধ করি। যেমনটি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন এবং আল্লাহ তা‘আলা যে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন। করো
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
{ وَإِذْ أَخَذَ اللَّهُ مِيثَاقَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ لَتُبَيِّنُنَّهُ لِلنَّاسِ وَلا تَكْتُمُونَهُ }
আর স্মরণ কর, যখন আল্লাহ কিতাবপ্রাপ্তদের অঙ্গীকার নিয়েছিলেন যে, অবশ্যই তোমরা তা মানুষের নিকট স্পষ্টভাবে বর্ণনা করবে এবং তা গোপন করবে না। (সূরা আলি ‘ইমরান ১৮৭)
তারা যেন নছীহত প্রদান ও বয়ানের ক্ষেত্রে কুরআন-সুন্নাহর ও সালাফে সালেহীনের মানহাজ অনুসরণ করে। এমনিভাবে নছীহত প্রদান ও বর্ণনার ক্ষেত্রে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের মানহাজ চ্যুত কঠোরতা ও বাড়াবাড়িকারী খারিজী ও মু‘তাযিলাদের মানহাজ অনুসরণ করা থেকে সতর্ক থাকে।[1]
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
يسِّروا ولا تعسِّروا، وبشِّروا ولا تنفِّروا
‘‘তোমরা সহজ করো, কঠোরতা করো না। সুসংবাদ দাও তাড়িয়ে দিও না।[2]
শিক্ষার্থীদের বিশেষত দাঈদের আমরা এই উপদেশই প্রদান করে থাকি।
আল্লাহ তা‘আলার তাওফিকব কামনা করছি। দরুদ ও শান্তির ধারা বর্ষিত হোক নাবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তার পরিবার ও ছাহাবীদের উপর।[3]
[1]. তাদের সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করার এটা একটা পন্থা। তাদের ‘ইলম/জ্ঞান গরীমা ও বুঝ বুদ্ধির সংকীর্ণতার কারণে তারা তাদের এ নীতির ভিত্তিতেই উছমান (রা.) কে হত্যা করেছিল। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাত একথার স্বীকৃতি দিয়েছে যে, ‘‘শাসকদেরকে আহলুস সুন্নাহর অন্তর্গত মনে না করা, কঠোরতা ও বাড়াবাড়ি করা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের মানহাজ নয়। বরং এটা খারিজীদের মানহাজ। তারা নাবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামেরও নিন্দা করে থাকে। এ সম্পর্কে অত্র বইতে ইতিপূর্বে আলোচিত হয়েছে।
[2]. সহীহ বুখারী হা/৬৯, সহীহ মুসলিম হা/১৭৩৩।
[3]. সকল প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য যার নিয়ামত দ্বারা যাবতীয় সৎকাজ পূর্ণতা লাভ করে। দরুদ ও শান্তির ধারা বর্ষিত হোক আমাদের নাবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তার পরিবার, সাথীবর্গ এবং ইহসানের ভিত্তিতে কিয়ামত পর্যন্ত সকল অনুসারীদের উপর। আল্লাহ তা‘আলা অসংখ্য শান্তি ধারা নাযিল করুন।