উত্তর : আমরা নিজের আত্মা এবং আমাদের ভাইদেরকে যে উপদেশ প্রদান করি তা হলো তাক্বওয়া বা আল্লাহভীরুতা অর্জন করা[1]
সালাফে সালেহীনের মানহাজ আঁকড়ে ধরা, বিদআত এবং বিদাতীদের থেকে সতর্ক থাকা, সহীহ ‘আকীদা এবং সহীহ ‘আকীদা বিরোধী বিষয়াবলি সম্পর্কে শিক্ষা লাভ করা। ‘ইলম ও ‘আকীদাগত বিষয়ে গ্রহণযোগ্য এমন আলিমদের নিকট থেকে শিক্ষা অর্জন করা এবং মন্দ দাঈদের থেকে সতর্ক থাকা যারা হকের সাথে বাতিলের সংমিশ্রণ করে এবং জানা সত্ত্বেও সত্যকে গোপন করে।[2] অথবা যে মূর্খরা না জেনেও হক দাবি করে তাদের থেকে সতর্ক থাকা।[3] কেননা তারা ইষ্টের চেয়ে অনিষ্টই বেশি সাধন করে থাকে। আল্লাহই তাওফিকব দাতা।[4]
[1]. এটা পূর্ববতী ও পরবর্তী সবার জন্য আল্লাহর নির্দেশ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
{ وَلَقَدْ وَصَّيْنَا الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِكُمْ وَإِيَّاكُمْ أَنِ اتَّقُوا اللَّهَ }
আর তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদেরকে এবং তোমাদেরকে আমি নির্দেশ দিয়েছি যে, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। (সূরা আন-নিসা আয়াত নং ১৩১)
তিনি রসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকেও তাকওয়া অর্জনের জন্য আদেশ প্রদান করেছেন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
{ يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ اتَّقِ اللَّهَ }
হে নাবী, আল্লাহকে ভয় করো। (সূরা আহযাব আয়াত নং ০১)
সকল মুমিনের প্রতি নির্দেশ প্রদান করে বলেন,
{ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَآمِنُوا بِرَسُولِهِ }
হে মুমিনগণ তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং তাঁর রসূলের প্রতি ঈমান আনো। (সূরা হাদীদ আয়াত নং ২৮)
{ يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ }
হে মানুষ, তোমরা তোমাদের রবকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এক নফ্স থেকে (সূরা আন-নিসা ১)।
[2]. এটা ইয়াহুদীদের গুণ। তারা হক সম্পর্কে জানত। তারা এও জানত যে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত সত্য নাবী। এতদসত্ত্বেও তারা তাকে মিথ্যারোপ করে অভিশপ্ত হয়েছে। আর তারাই হলো গযবপ্রাপ্ত।
[3]. এটা খ্রিষ্টানদের গুণ। তারা স্পষ্ট জ্ঞান ও হিদায়াত ছাড়াই ইবাদত করে থাকে সুতরাং তারা পথভ্রষ্ট। আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারাক (রহ.) বলেন, আমাদের আলিমদের মধ্য থেকে যারা বিপথগামী হয় তাদের মাঝে ইয়াহুদীদের সাথে যে ব্যক্তি ভ্রষ্ট হয় তার মাঝে খ্রিষ্টানদের সাদৃশ্য বিদ্যমান রয়েছে। আর তারাই হলো পথভ্রষ্ট।
[4]. উমর ইবনে আব্দুল ‘আযীয (রহ.) বলেন, যে ব্যক্তি ‘ইলম ছাড়াই আমল করে সে ভালোর চেয়ে মন্দই বেশি করে থাকে (জামি‘উ বায়ানিল ‘ইলমি ওয়া ফাদ্বলিহী পৃ. ৫৪)।