উত্তর : জেনে শুনে হকের বিরোধীতা না করা পর্যন্ত তাদেরকে কাফির বলা যাবে না। যে ব্যক্তি তাবীল (ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ) করে অথবা অজ্ঞতা বশতঃ হকের বিরোধিতা করে তাকে কাফির বলা যাবে না। বরং বলতে হবে এটা ভুল এটা গোমরাহী ইত্যাদি।
যে ব্যক্তি তার তাবীলকে হক মনে করে অথবা কোন ব্যক্তিকে হক্বকানী মনে করে তার তাক্বলীদ বা অন্ধ অনুকরণ করে, অথবা মূর্খতা বশতঃ কোন কাজ করে বসে তাহলে এদের কাউকেই কাফির বলা যাবে না। বরং ভুল (خطأ) বা পথভ্রষ্ট (ضلال) বলা হবে।
‘আকীদা ছাড়া অন্যান্য যে শাস্ত্রে তারা পারঙ্গম তা তাদের নিকট থেকে শিক্ষা গ্রহণ করাতে কোন সমস্যা নাই। অর্থাৎ প্রকাশ্য বিদাতী না হলে তাদের নিকট থেকে ফিক্বাহ, নাহু, ইলমুল হাদীছ গ্রহণ করা যাবে।
তবে তাদের থেকে উত্তম কাউকে যদি পাওয়া যায় তাহলে তার নিকট শিক্ষাগ্রহণ করা ওয়াজিব। আর যদি তাদেরকে ছাড়া ফিক্বহ, ভাষাবিদ্যা ইত্যাদি বিষয়ে অন্য কাউকে না পাওয়া যায় তাহলে তাদের ছাত্রত্ব গ্রহণ করা যাবে। আর ‘আকীদা শুধুমাত্র বিশুদ্ধ আকীদা সম্পন্ন শায়খদের নিকটই শিক্ষা লাভ করতে হবে।