উত্তর : এক্ষেত্রে নিয়ম হলো ত্রুটি-বিচ্যুতি নিরূপণ করার পর তা থেকে সতর্ক করা। যদি জনগণকে বিদাতীদের ধোঁকা প্রবঞ্চনা থেকে সতর্ক করার উদ্দেশ্যে তাদের নাম উল্লেখের প্রয়োজন হয়, বিশেষত ভ্রান্ত আকীদা মানহাজ সম্পন্ন যে ব্যক্তিরা প্রসিদ্ধ (লোকজন যাদেরকে ভালো মনে করে) তাদের নাম উল্লেখ করা ও তাদের মানহাজ থেকে সতর্ক করাতে কোন সমস্যা নাই। ইলমুল জারহ ওয়াত তা’দীলের আলিমগণ রাবীদের সম্পর্কে আলোচনার ক্ষেত্রে তাদের দোষ ত্রুটি উল্লেখ করেছেন। তবে তা তাদের ব্যক্তিত্বকে খাটো করার উদ্দেশ্যে করেন নি বরং মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনার জন্যই করেছেন। যাতে উম্মাহ ঐ সকল রাবীদের থেকে দীন বিরোধী রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর মিথ্যাচার স্বরূপ কোন কিছু গ্রহণ না করে। তবে এক্ষেত্রে ১ম মূলনীতি হলো যদি ব্যক্তির নাম উল্লেখ করার দ্বারা ক্ষতির আশঙ্কা থাকে নাম উল্লেখ ছাড়াই শুধু দোষ-ত্রুটির ব্যাপারে আমভাবে সতর্ক করা হবে। আর যদি জনগণকে সতর্ক করার জন্য ব্যক্তির আর যদি জনগণকে সতর্ক করার জন্য ব্যক্তির নাম উল্লেখ করার প্রয়োজন হয় তাহলে তা আল্লাহ, তার কিতাব, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুসলিম নেতৃবৃন্দ এবং সকল মুসলিমের জন্য কল্যাণ কামিতার অন্তর্ভুক্ত হবে। বিশেষত উক্ত ব্যক্তি যদি জনগণের মাঝে তৎপর হয়ে থাকে; জনগণ তাকে ভালো মনে করে তার বই-পুস্তক ও রেকর্ড গ্রহণ করে তাহলে তার নাম উল্লেখ করে সতর্ক করা ছাড়া উপায় নাই। কেননা তার ব্যাপারে নিরব থাকা জনগণের জন্য খুবই ক্ষতিকর সুতরাং তার ব্যক্তিত্বকে খাটো বা কটাক্ষ করার উদ্দেশ্যে নয় বরং আল্লাহ তার কিতাব তার রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুসলিম নেতৃবর্গ এবং সাধারণ জনগণের কল্যাণার্থে তার মুখোশ উম্মোচন করা অত্যাবশ্যক।