উত্তর : ভুল-ত্রুটি বর্ণনা করতে হবে। সঠিক বিষয় থেকে বেঠিক বিষয় পৃথক করে বর্ণনা করা অত্যাবশ্যক। ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব নিয়ে কথা বলাতে কোন ফায়দা নেই। বরং এতে ক্ষতি বিদ্যমান। আমরা ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব নিয়ে পর্যালোচনা করি না। আমরা মানুষের জন্য শুধু ভুল-শুদ্ধ বর্ণনা করি। যাতে তারা সঠিকটা গ্রহণ করে আর বেঠিকটা বর্জন করে। এর দ্বারা ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব নিয়ে আলোচনা করা বা তাকে খাটো করা উদ্দেশ্য নয়। যে ব্যক্তি ব্যক্তিত্ব খাটো করার নিয়তে ভুল-ত্রুটি আলোচনা করে সে আলোচক প্রবৃত্তিপূজারী। আর যে ব্যক্তি মানুযের হক বর্ণনার উদ্দেশ্যে করে থাকে সে উম্মাহর কল্যাণকামী।
যদি প্রত্যাখ্যাত ব্যক্তির নাম উল্লেখের প্রয়োজন পড়ে যাতে সাধারণ মানুষ পরিচয় জেনে তার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকতে পারে তাহলে এভাবে নাম উল্লেখ করাতে দোষের কিছু নেই। বরং এতে সমূহ কল্যাণ বিদ্যমান।
মুহাদ্দিসগণ সমালোচিত রাবীদের নাম উল্লেখ করেছেন। তারা বলেছেন যে অমুক, অমুক, অমুক মিথ্যাবাদী। অমুকের স্মৃতিশক্তি দুর্বল, অমুকে মুদাল্লিস ইত্যাদি। তাদের উদ্দেশ্য ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের পিছনে পড়া নয়। বরং উদ্দেশ্য হলো সত্য বর্ণনা করা। যাতে মানুষেরা এ লোকদেরকে চিনতে পারে এবং তাদের বর্ণিত হাদীছগুলো ত্রুটিযুক্ত জেনে সেগুলো থেকে নিরাপদ দূরতেব অবস্থান করে এবং তাদের থেকে সতকর্তা অবলম্বন করে। সুতরাং এখানে উদ্দেশ্যই ধর্তব্যের বিষয়। উদ্দেশ্য যদি হয় ব্যক্তিত্ব নিয়ে কটাক্ষ করা তাহলে তা প্রবৃত্তিপূজার অন্তর্ভুক্ত, তা জায়েয নয়।
আর যদি উদ্দেশ্য হয় হক বর্ণনা করা এবং সৃষ্টির কল্যাণ করা তাহলে এতে কোন সমস্যা নেই। ওয়াল হামদুলিল্লাহ।[1]
[1]. ইবনুল মুবারাক (রহ.) বলেন, আল-মু‘আল্লা ইবনে হিলালেন নিকট কোন হাদীছ উল্লেখ করা হলে তিনি উক্ত হাদীছের রাবীদের মাঝে কেউ মিথ্যাবাদী থাকলে তা উল্লেখ করতেন। জনৈক সুফী তাকে বলল, হে আবু আব্দুর রহমান, তুমি গীবত করছ? তিনি বললেন, চুপ করো। যদি আমরা বর্ণনা না করি তাহলে হাক এবং বাতিলের মাঝে কীভাবে পার্থক্য নিরূপণ করা যাবে? (আল-কিফায়াহ পৃ. ০৯)