উত্তর : জ্বী, মানহাজ সহীহ হলে ব্যক্তি জান্নাতী হবে; ব্যক্তি যদি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সালাফে সালেহীনের মানহাজের উপর থাকে তাহলে ইনশাআল্লাহ জান্নাতী হবে। আর যদি ভ্রষ্টদের মানহাজের উপর থাকে তাহলে জাহান্নামের অঙ্গীকার প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।[1] সুতরাং মানহাজ সহীহ হওয়া বা না হওয়ার উপর জান্নাত-জাহান্নাম নির্ভর করে।
[1]. আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আকীদা হলো সে ব্যক্তি আল্লাহর ইচ্ছার অন্তর্গত থাকবে। যদি মানহাজের শুদ্ধতা-অশুদ্ধতার উপর জান্নাত-জাহান্নাম নির্ভর না করে তাহলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণীর: (আর অচিরেই আমার উম্মাহ ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। একটি দল ছাড়া তাদের প্রত্যেকেই জাহান্নামে যাবে। ছাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন, সে দলটি কোন দল? রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, বর্তমানে আমি এবং আমার ছাহাবীরা যে মতের উপর প্রতিষ্ঠিত আছি, যে দল এর উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে) কিইবা ফায়দা অবশিষ্ট থাকে? সুতরাং যে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওয়া ও ছাহাবীদের দেখানো পথে চলবে সে জান্নাতের অধিবাসী হবে। আর যে এর বিপরীত পথ চলবে সে শাস্তির অঙ্গীকারের অন্তর্গত হবে। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের জানা অনুযায়ী হাদীছে বর্ণিত ধ্বংসপ্রাপ্ত ৭২ ফিরকা চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে না। হাদীছশাস্ত্রবিদদের মধ্যে কেউ একথা বলেনি যে তারা স্থায়ী জাহান্নামী হবে। সুতরাং আপনি চিন্তা করুন। তবে তার বিদআত যদি কুফুরী পর্যায়ের বিদআত হয়। অথবা তার ফিরকা যদি রিদ্দাহ বা দীন ত্যাগ করার পর্যায়ের হয় তাহলে ভিন্ন কথা। আল্লাহই ভালো জানেন।