উত্তর : বিরুদ্ধবাদীদের মতামত খণ্ডন করা সালাফদের সুন্নাত-নীতি। সালাফগণ বিরুদ্ধবাদীদের মতামত খণ্ডনে অনেক কিতাব লিখেছেন। ইমাম আহমাদ ইবনে হামবাল (রহ.) নাস্তিকমনা ও বিদাতীদের মতামত খণ্ডনে, শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবন তাইমীয়া (রহ.) দার্শনিক যুক্তিবাদী, সুফীবাদী ও কবর পূজারীদের মতামত খণ্ডনে, ইমাম ইবনুল ক্বাইয়্যিম (রহ.) হকের উম্মোচন ও প্রচারের জন্য অনেক সমালোচনা গ্রন্থ লিখেছেন যাতে মুসলিম উম্মাহ পথভ্রষ্ট হয়ে বিপথগামী বিরুদ্ধবাদীদের অনুসরণ না করে। এগুলো মূলতঃ উম্মাহর কল্যাণ কামিতারই বহিঃপ্রকাশ।
আল ক্বুত্বুবিয়্যাহ ও অন্যান্য বই পুস্তকে যেটুকু সঠিক থাকবে তা গ্রহণ করতে হবে। যদি সমালোচক সমালোচনার ক্ষেত্রে বিরুদ্ধবাদী সমালোচিত ব্যক্তির মত তার বই, ক্যাসেট পৃষ্ঠা নং খন্ড নং সহ হুবহু উল্লেখ করে মতামত খণ্ডন করে তবে তাতে সমস্যার কিছু নেই। এটা হতে হবে একমাত্র উম্মাহকে নছীহত প্রদানের উদ্দেশে, কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিত্বকে খাটো করার উদ্দেশে নয়। আল ক্বুত্বুবিয়্যাহ ও অন্যান্য গ্রন্থে কারো উপর নিছক মিথ্যা আরোপ করা হয়নি। বরং বিরোধীদের কথাকে স্বশব্দে উল্লেখ করা হয়েছে, মনগড়াভাবে কাটছাট করে বা ভাব ঠিক রেখে বানিয়ে উল্লেখ করা হয়নি। ইবারত, শব্দ, খন্ড, পৃষ্ঠা লাইন নম্বর সহ উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং এতে কিইবা সমস্যা?
আমাদের জন্য সাধারণ মানুষদের থেকে এ দোষগুলো গোপন রাখা সাধারণ জনগণকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার নামান্তর। আমরা বলব, যুবক ও সাধারণ লোকদের হাত থেকে এসকল বই পুস্তক দূরে রাখুন। এগুলোতে রয়েছে লূহাওয়া (আগুন) ও ভুলভ্রান্তি। এগুলো মূলতঃ উম্মাহকে ধোঁকা দেওয়া। এ কাজ জায়েয নয়। অবশ্যই বর্ণনা করতে হবে ও নছীহাহ প্রদান করতে হবে। অবশ্যই সৎকাজের আদেশ সমালোচনা গ্রন্থ প্রাচীন কাল থেকেই রয়েছে এ কাজকে কেউ কখনো খারাপ বলেনি। এর সমালোচনা ও করেনি। আল-হামদু লিল্লাহ। অবশ্যই বর্ণনা করতে হবে।