প্রশ্ন-২৮ : এ বক্তব্য সম্পর্কে আপনাদের বক্তব্য কি? আমি মুহাম্মাদ সুরুর ইবনে নায়েফ যায়নুল আবিদীনের ‘মানহাজুল আম্বিয়া ফিদ দাওয়াতি ইলাল্লাহ’ নামক বইটি পড়েছি। সেখানে লেখক বলেছেন, ‘‘আমি ‘আকীদার বই-পুস্তক দেখেছি। লক্ষ্য করেছি সেগুলো আমাদের যুগের আগে অন্য যুগে লিখিত। সেগুলো যে যুগে লেখা হয়েছিল সে যুগের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান সেখানে স্থান পেয়েছে। কিন্তু আমাদের যুগের সমস্যাগুলোর নতুনভাবে সমাধান করা প্রয়োজন। বলা চলে, ‘আকীদার বই সমূহের অনেক নিয়মে জড়তা রয়েছে। কেননা সেগুলো মূলতঃ কতগুলো নস ও আহকামের সমষ্টি। আর এ কারণেই অধিকাংশ যুবক এ বই-পুস্তক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এ কথায় আপনার মন্তব্য কী?[1]

উত্তর :  অনেক লোক রয়েছে যারা আক্বীদা পাঠদান করা, সালাফে সালেহীনের বই পুস্তক পাঠ করা ও ইমামগণের রচনাবলী পাঠ করা থেকে লোকজনকে বিরত করে। তারা তাদের মত মুর্খ দাঈদের বই পুস্তকের প্রতি ফেরাতে চায়।

 এ কথা যে বলেছে, সে ভ্রান্ত পথের দাঈ। আমরা আল্লাহর নিকট তার থেকে মুক্তি চাই। সুতরাং আমাদের জন্য আবশ্যক হলো নিজেরা এর থেকে সতর্ক থাকা ও অন্যকে সতর্ক করা।

আপনাদের নিকট উল্লেখ করছি যে ‘‘মুহাম্মাদ সুরুর এর অভিমত, ‘আক্বীদার কিতাবগুলো শুধু কিছু নস আর কিছু আহকাম’’ শায়খ মুহাম্মাদ আমান আল জামী (আল্লাহ তা‘আলা তাকে তাওফিক দান করুন) পূর্ণভাবে খণ্ডন করতঃ একটি ক্যাসেট ছেড়েছেন। আপনারা এই ক্যাসেট খুঁজে তা মুসলিমদের মাঝে ছড়িয়ে দিন যাতে পুরো মুসলিম বিশব এই শয়তানি ও অনিষ্ট থেকে সতর্ক হতে পারে।

হ্যাঁ, বাস্তবেই, এই ক্যাসেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ, খুবই মূল্যবান। আয় আল্লাহ, আমাদের শায়খ মুহাম্মাদ আমান আল-জামীকে তুমি উত্তম প্রতিদান প্রদান করো। তার দ্বারা ইসলাম ও মুসলিমদেরকে সাহায্য করো।[2]


[1]. কিতাব মানহাজুল আম্বিয়া ফিদ দাওয়াহ ইলাল্লাহ এর ১/০৮ লেখক মুহাম্মাদ সুরুর ইবনে নায়েফ যায়নুল আবিদীন। এই লোকটির লেখায় তার চিন্তা চেতনার বিচ্যুতি ও বিলাদুল হারামাইনের আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের প্রতি বিদ্বেষ প্রকাশ পেয়েছে। আমরা তার সহস্তে লেখা দ্বারা প্রমাণ পেশ ছাড়া কিছুই বলিনি। আপনার সমীপে তার কিছু মত পেশ করা হলো।

ক. আকীদার গ্রন্থের প্রতি বিদ্বেষমূলক উল্লেখিত প্রশ্নের নমুনা/উদাহরণ রয়েছে। আমরা অচিরেই এর পূর্ণ/বিস্তারিত জওয়াব পেশ করব।

খ. কাবীরা গুনাহের কারণে জালিম শাসক ও জনগণকে কাফির মনে করার দ্বারা খারিজী ‘আকীদায় প্রবেশ করা।

শাসকদের ব্যাপারে তার আস-সুন্নাহ নামক পত্রিকায় এ বিষয়ে বিস্তারিত লেখা রয়েছে, যা কারো নিকট গোপন নয়। যেমন, জনগণকে কাফির বলা। তিনি তার মানহাজুল আম্বিয়া ফিদ দাওয়াহ ইলাল্লাহর ১ম খণ্ড-র ১৫৮ নং পৃষ্ঠায় বলেন, যে লূত আলাইহি ওয়া সাল্লামের কওম ঈমান আনা সত্ত্বেও তাদের শয়তানী কাজ পরিত্যাগ না করার কারণে তাদের ঈমান কোন উপকারে আসেনি।

তার ভাষায় এটা কোন বিস্ময়ের বিষয়ই নয় যে, লূত আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাওয়াতে সমকামিতা বিদ্যমান। কেননা তার জাতি যদিও আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা ও শিরক না করার বিষয়ে তার কথায় সাড়া দিয়েছিল, কিন্তু উক্ত পশুত্ব পাপ পরিহার না করার কারণে তাদের ঈমান কোন কাজে আসেনি। কাবীরা গুনাহ সম্পাদনকারী উক্ত গুনাহকে হালাল মনে করলে ও শুধু গুনাহ সম্পাদন করার কারণেই এভাবে ব্যাপকভাবে তাকফির করে থাকে।

গ. সালাফী আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল জামাতের প্রতি তার বিদ্বেষ।

আপনি এখন যে প্রবন্ধ পড়তে যাচ্ছেন এতে সালাফী বিশেষত বড় আলিমদের কটাক্ষ, নিন্দা, কুৎসা ও হেয় প্রতিপন্ন করেছে।

সরকারী সাহায্য শিরোনামে সে বলেছে ‘আরেক প্রকার লোক আছে যারা সরকারী কাজে সাহায্য করতে আত্মনিয়োগ করে। তারা নেতাদের অবস্থানের আলোকে নিজেদের অবস্থান গ্রহণ করে।

সুতরাং যখনই নেতা আমেরিকা থেকে সাহায্য প্রার্থনা করে তখন এই ভৃত্য তাদের একাজের বৈধতার পক্ষে দলীল প্রদানের জন্য আত্মনিয়োগ করে। আর যারা তাদের বিরোধিতা করে তাদেরকে ন্যাক্কারজনক ভাবে শাস্তি প্রদান করে। নেতারা যখন ইরানের সাথে মতানৈক্য করত দাসও তখন ইরানের দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করতো। আর যখন মতানৈক্য মিটে গেল দাসও তখন বোবা হয়ে গেল এবং বিনামূল্যে বই বিতরণ করা বন্ধ করে দিলেন। এই প্রকার লোকেরা মিথ্যা বলে, গোয়েন্দাগিরী করে, রিপোর্ট লিখে। নেতারা যা চায় তার সবই করে।

আলহামদুলিল্লাহ্‌। দাওয়াহ ও ইসলামী কাজকর্মের ব্যাপারে তারা পরিদর্শক। তাদের নথিপত্র থাকে। যদি তারা তা দীর্ঘায়িত করে তাহলে তাদেরকে গালি দেয়। তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করে। (মাজাল্লাতুস সুন্নাহ নামক ম্যাগাজিনে এভাবে আহলুস সুন্নাহকে নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রূপ করা হয়। আল- ফাওযান)

তারা দাবি করে যে তারা সুন্নাহর রÿক। এ শ্রেণির মানুষ আদ-দাওয়াহ আল ইসলামিয়্যাহর কোনই ক্ষতি করে না।

আমার এই চিন্তাবলি তোমাদেরকে যেন ধোঁকায় ফেলে না দেয়। এই শায়খ প্রথা জালিমেরা সৃষ্টি করেছে। তাইতো সম্মানিত শায়খের মিশন ও শান্তি-শৃঙ্খলা বিভাগের বড় বড় পদের লোকদের মিশন অভিন্ন হয়। (মাজাল্লাতুস সুন্নাহ সংখ্যা ২৩ জিলহাজ্ব ১৪১২ হিজরী পৃষ্ঠা ২৯-৩০)

সম্মানিত পাঠক আপনার নিকট এই বিষয় গোপন নয় যে, দ্বিতীয় প্রকার বলে সৌদী আরবের  আলিমদেরকে বুঝিয়েছেন। আর নেতার বলে সৌদী আরবের শাসকদেরকে বুঝিয়েছেন। এর প্রমাণ হলো তার এই কথা যে ‘নেতারা যখন আমেরিকার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করে ভৃত্যরা তখন আত্মনিয়োগ করে এ কাজের বৈধতার পক্ষে দলীল অন্বেষণে।

সে বলেছে মূলতঃ উপসাগরীয় যুদ্ধের সাহায্য চুক্তির ব্যাপারে। এখানে ভৃত্য দ্বারা উদ্দেশ্য হলো আলিমগণ। সে আমাদের আলিমগণকে মুনাফিক বলে। তাহলে তাদের মর্যাদার কিইবা বাকি থাকে?

মাজাল্লাতুস সুন্নাহ ২৭তম সংখ্যা জমাদিউল উলা হিজরী ১৪১৩ এর ০২-০৩ পৃষ্ঠায় ‘‘উপনিবেশবাদীরা ও ভৃত্য’’ শিরোনামে বলেন বর্তমানে দাসত্বের অনেক স্তর রয়েছে।

প্রথম স্তর: যাদের সিংহাসনে আজ জর্জ বুশ সম্মানিত মেহমান হিসাবে পায়ের উপর পা রেখে বসে তো কাল আবার বসে বিল ক্লিন্টন।

দ্বিতীয় স্তর: আরব দেশের শাসক শ্রেণি। এরা মনে করে এদের মঙ্গল-ক্ষতি বুশের হাতে নির্ভরশীল।

আমি বলব, সে কীভাবে দাবি করতে পারল যে, এটা তাদের আকীদা? সে কি তাদের অন্তর বিদীর্ণ করে দেখেছে? নাকি তারা তাকে এ বিষয়ে বলেছে? (আল্লাহর পবিত্রতা জ্ঞাপন করছি) এটা মারাত্মক অপবাদ। ঐ প্রবন্ধে সে আরো বলেছে, এজন্যই তার তীর্থে গমনের মত তার (বুশের) নিকট গিয়ে নজরানা পেশ করে। লেখক যে শাসকদের কাফির মনে করে সে বিষয়ে একটু আগেই ইঙ্গিত দিয়েছি। এটা তার দলীল ঐ প্রবন্ধে সে আরো বলতে থাকে।

তৃতীয় প্রকার/স্তর: শাসকদের অনুচর; মন্ত্রী, মন্ত্রীদের সেক্রেটারী, সেনা প্রধান, উপদেষ্টারা তারা তাদের নেতাদের সাথে মুনাফিকী করে। নেতাদের সামনে খারাপ কাজগুলোকেও শোভনীয়ভাবে উপস্থাপন করে। তাদের কোন লজ্জা-শরম-হায়া, ব্যক্তিত্ববোধ কিছুই নেই।

চতুর্থ প্রকার/স্তর: মন্ত্রীদের বড় বড় কর্মকর্তা: অতীতে দাস প্রথা খুবই সহজ পদ্ধতি ছিল। দাসের সরাসরি মনিব থাকতো। আর বর্তমানে তা খুবই জটিল। আমি খুবই আশ্চর্যবোধ করি ঐ সকল লোকদেরকে দেখে, যারা মুখে তাওহীদের কথা বলে অথচ তারাই আবার দাসের দাস যাদের সর্বশেষ মনিব হলো খ্রিষ্টান।

আল্লাহর ওয়াসেত্ম আপনার সমীপে আরয করছি সম্মানিত পাঠক, পরিচ্ছন্ন মনে তাকওয়ার সাথে জবাব দিন: সকল আলিমের মাঝে কারা তাওহীদ নিয়ে আলোচনা করে? উদাহরণত শায়খ ইবনে বায, মুহাম্মাদ ইবনে সলিহ আল উছাইমীন, সলিহ আল লাহিদান, আল-ফাওযান প্রমুখ বিশেষত আলিমেরা নন?

বর্তমানে কেউ কেউ তাদেরকে শাসকের দাস ও বুশের দাস বলে। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সত্যই বলেছেন, إذا لم تستح فاصنع ما شئت ‘‘তোমার লজ্জা না থাকলে যা ইচ্ছে তাই করতে পারো’’। সহীহ বুখারী হা/৩২৯৬ আবু মাসউদ আল বাদরী (রা.) থেকে বর্ণিত।

এরপর বিষয় হলো সে তা পরস্পর বিরোধী অবস্থানে রয়েছে। সে জরুরতের সময় কাফিরদের নিকট থেকে সাহায্য গ্রহণ করাকে হারাম মনে করে অথচ সে তাদের নিকট আশ্রয় গ্রহণ করে, তাদের নিরাপত্তায় তাদের দেশে বসবাস, আমেরিকার কাফির আর লন্ডনের কাফির! বিনা প্রয়োজনেই সে যাদের ছায়ায় ও যাদের মাঝে বসবাস করে তাদের মাঝে পার্থক্য কোথায়?

আল্লাহ তা’আলা বলেন:  أَكُفَّارُكُمْ خَيْرٌ مِنْ أُولَئِكُمْ أَمْ لَكُمْ بَرَاءَةٌ فِي الزُّبُرতোমাদের মক্কার কাফিররা কি তাদের অপেক্ষা ভাল? না কি তোমাদের জন্য মুক্তির কোন ঘোষণা রয়েছে (আসমানী) কিতাবসমূহের মধ্যে ? (সূরা কমার আয়াত নং ৪৩)

এই লোক কি তার এই কাজ দ্বারা লজ্জিত হয় না? নাকি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীছ ‘‘তুমি যদি লজ্জা না রাখ তাহলে যা ইচ্ছে তাই করো।’’ তার ক্ষেত্রে এর পূর্ণ প্রকাশ ঘটেছে? যার বাড়ি কাঁচ নির্মিত সে যেন অন্যকে পাথর না ছোঁড়ে।

[2]. ক্যাসেটের শিরোনাম হলো ‘‘উপদেশ দিয়ে কোন লাভ/উপকার নেই’’ উক্ত ক্যাসেটে শায়খ মুহাম্মাদ আল জামী বলেন: সর্বশেষ বাক্য ‘‘অধিকাংশ যুবক আমাদের হাতে থাকা আকীদার বই থেকে বিমুখ হচ্ছে’’ এটা একটা অপবাদ যা ইবনে বতুতার অপবাদের সাথে মিলপূর্ণ। ইবনে বতুতা ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) কে না দেখা সত্ত্বেও তার উপর অপবাদ আরোপ করেছিল। ইবনে বতুতা দাবি করেছে যে, একদা সে দামেưư প্রবেশ করে ইবন তাইমীয়া (রহ.) কে জুমু‘আর খুতবা প্রদান করতে দেখলো। অতঃপর ইমাম মিম্বারের সিঁড়ি থেকে নেমে বললেন আমি যেভাবে মিম্বর থেকে অবতরণ করলাম/নীচে নামলাম আমাদের প্রতিপালকও এভাবে অবতরণ করেন।

আল্লাহ তা‘আলা মুসলিম উম্মাহর একদল আলিমকে নিয়োজিত রেখেছেন যারা ইবনে বতুতার অপবাদকে ঐতিহাসিক মিথ্যাচার বলে সাব্যস্ত করেছেন।

বাহজাতুল বাইতার ‘‘হায়াতু শায়খিল ইসলাম’’ (শায়খুল ইসলামের জীবনী তে প্রমাণ করেছেন যে ইবনে তাইমীয়া ও ইবনে বতুতার মাঝে কখনো সাÿাৎ ঘটেনি। ইবনে বতুতা কখনো ইবনে তাইমীয়া (রহ.) কে দেখেনি। সে যখন বাগদাদ ভ্রমণ করে তখন ইবনে তাইমীয়া (রহ.) কারারুদ্ধ ছিলেন এবং অন্তরীণ অবস্থাতেই ইনতিকাল করেছেন। এই অপবাদ লেখকেরা ছড়িয়েছে। আকীদা সম্পর্কে আরোপিত বর্তমানের অপবাদগুলো খণ্ডন ও মূলোৎপাটন করা প্রয়োজন। (টীকা লেখক)

আমি বলব, মুহাম্মাদ সুরুর যুবকদের ‘আকীদার প্রতি আগ্রহ ও বিমুখতা মূল্যায়নের উপযোগী নয়। সে যোগ্য নয়, আলিম নয়, আকীদার পাঠক নয়, আকীদার শিক্ষক নয়, সে কীভাবে মূল্যায়ন করে? এটা কিসের মূল্যায়ন? বরং এটা নিছক মিথ্যাচার।

এই আত্মঅহংকারী মুহাম্মাদ সুরুরকে কখনো কি তার প্রতিবেশি হিযবুত তাহরীরের বিরোধিতা করতে শুনেছেন? আমাদের বই যদি উপযোগী না হয় তাহলে সে তাওহীদ বিষয়ে নতুন আকর্ষণীয় পদ্ধতিতে মুসলিম যুবকদের গ্রহণ উপযোগী কোন বই প্রকাশ করেছে কী?  তার দ্বারা এর কিছু করা সম্ভব হয়েছে?

হ্যাঁ, সে যদি ইলম অন্বেষী ও সংস্কারবাদী হতো তাহলে তা করত। কিন্তু এই ব্যক্তি (আল্লাহই ভালো জানেন) থেকে যা প্রকাশ পায় তার দ্বারা বুঝা যায় যে, সে সালাফী ‘আকীদা ও ‘আকীদা সালাফীয়্যাহর অনুসারীদের সাথে শত্রুতা পোষণ করে।

হে মুহাম্মাদ সুরুর, তুমি কিসের প্রতি আহবান করো? নাবীগণ ইসলামি আকীদার প্রতি আহবান করায়, কষ্ট প্রাপ্ত হয়েছেন। তুমি কিসের প্রতি আহবান করো? কোথায় সেই আকীদা যার প্রতি তুমি আহবান করো? বরং তুমি হলে একজন প্রতিদ্বন্দ্বী। তুমি পদস্থ শাসকদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাও। আর যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতার কিছু পাও না তখন গালি-গালাজ, অভিসম্পাত করো ও অন্যকে কাফির বলো। এটাই কি সেই দাওয়াহ (আহবান)? এটাই কি ইসলাম? তুমি নিজেকে এবং তোমার মত ব্যক্তিকে যে আল্লাহর পথের দাঈ  বলো। এই দাওয়াহ দ্বারা আল্লাহর পথে দাওয়াত আর দীনের পথে, আকীদার পথে হুকুম আহকামের পথে দাওয়াতের, কোন কিছু অর্জিত হয়েছে কি?  না কিছুই হয়নি।