মসজিদে প্রবেশের সময় প্রথমে তিনি সকলকে সালাম দিতেন। আবার যখন মিম্বরে বসতেন তখনও মুসল্লীদের দিকে মুখ করে দ্বিতীয় বার সালাম দিতেন। অতঃপর মিম্বরে বসতেন। শুরুতেই আলহামদুলিল্লাহ বা নাহমাদুহু ওয়ানুছল্লী আলা ..... পড়তেন। খুৎবায় কখনো কখনো সূরা কাফ’ পড়তেন। এরপর উপদেশ ও নসিহত প্রদান করতেন। প্রথম খুৎবার পর সামান্য সময়ের জন্য একটুখানি বসতেন। এরপর আবার উঠে দ্বিতীয় খুৎবা দিতেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) মুসল্লীদেরকে মিশে মিশে একে অপরের নিকটবর্তী হয়ে দাঁড়ানোর জন্য এবং কাতার সোজা করা ও চুপ থাকার জন্য নির্দেশ দিতেন। হাদীসে আছে, জামা'আতে নামাযে মুসল্লীরা পরস্পর দু'জনের পায়ের সাথে পা কাঁধের সাথে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ানো সুন্নাত। কোন অবস্থাতেই দু'জনের মাঝে কোন প্রকার ফাঁকা জায়গা রাখা জায়েয নেই। ফাকা থাকলেই সেখানে শয়তান প্রবেশ করে নামাযের একাগ্রতা নষ্ট করে দেয়। সুতরাং দু' পাশে ফাঁকা জায়গা রেখে সালাত আদায় করা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নির্দেশের লঙ্ঘন ও তাঁর সুন্নাত বিরোধী কাজ।
খুৎবা প্রদানের সময় রাসূলুল্লাহ (সা.) কখনো কখনো রাগতস্বরে উচ্চ আওয়াজে বক্তব্য রাখতেন। মনে হতো যে, তিনি কোন সৈন্যবাহিনীকে সকাল-সন্ধ্যায় হামলার ভয় দেখাচ্ছেন। কথা বলার সময় মাঝে-মধ্যে শাহাদাত অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করতেন। খুৎবায় রাসূলুল্লাহ (সা.) শরীআতের হুকুম-আহকাম শিক্ষা দিতেন এবং সময়োপযোগী, চাহিদা ও প্রেক্ষাপট অনুযায়ী বক্তব্য রাখতেন। কেউ কোন ভুল করলে নিষেধ করতেন। প্রশ্নের উত্তরের সম্মুখীন হলে উত্তর দিতেন। কখনো কখনো দরকার হলে মিম্বর থেকে নেমে প্রয়োজন সেরে আবার মিম্বরে উঠে খুৎবার বাকি অংশ পূর্ণ করতেন। প্রয়োজনে কাউকে ডাকতেন, আদেশ দিতেন, শ্রোতাদের বুঝার মতো ভাষায় খুৎবা দিতেন। যাতে মুসল্লীরা খুবার মর্ম উপলব্ধি করতে পারে এবং এ থেকে উপদেশ গ্রহণ করতে পারে ।