মিরাজের রজনীতে এ উম্মতের উপর সালাত ফরজ হয় এবং তা আদায়ের জন্য নির্দিষ্ট সময়ও আল্লাহ তাআলা বেধে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “অবশ্যই সালাত ঈমানদারদের উপর সুনির্দিষ্ট সময়ে আদায় করাকে ফরজ করা হয়েছে।” (সূরা ৪; নিসা ১০৩)। ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, “জিবরীল (আঃ) কাবার নিকট দুইবার (২ দিন) আমার (নামাযে) ইমামতি করেছেন। একবার তিনি আমাকে যোহর পড়ালেন যখন সূর্য ঢলে পড়ল। আর তা ছিল জুতার ফিতার পরিমাণ। আসর পড়ালেন, যখন প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার একগুণ হলো। মাগরিব পড়ালেন যখন রোযাদার ইফতার করল। আর এশা পড়ালেন যখন (আকাশের) লালিমা দূর হলো। ফজর পড়ালেন যখন রোযাদার ব্যক্তির উপর খানাপিনা হারাম হয়।” (সাহারীর সময়ের পর)
পরের দিন আবার তিনি আমাকে যোহর পড়ালেন, যখন প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার একগুণ হলো। আর আছর পড়ালেন যখন প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার দ্বিগুণ হলো। মাগরিব পড়ালেন যখন সায়েম ব্যক্তি ইফতার করল। এশা পড়ালেন যখন রাত্রের এক-তৃতীয়াংশ পূর্ণ হলো। অবশেষে ফজর পড়ালেন এবং তা বেশ ফর্সা করে ফেললেন। অতঃপর তিনি আমার প্রতি লক্ষ্য করে বললেন, হে মুহাম্মাদ (স)! ইহা আপনার পূর্ববর্তী নবীগণের (সালাতের) সময়। আর (আপনার) সালাতের সময়ও এই দুই সময়ের মধ্যবর্তী সময়।” (আবু দাউদ: ৩৯৩ ও ৪২৬)
সংক্ষেপে সালাতের ওয়াক্ত
১. ফজর: সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত।
২. যোহর: সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে যাওয়ার পর থেকে প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার সমান হওয়া পর্যন্ত।
৩. আসর: প্রত্যেক বস্তুর ছায়া তার সমান হলেই আসরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়। আর তখন যোহরের সময় শেষ হয়ে যায়।
৪. মাগরিব: সূর্য অস্ত যাওয়ার পর থেকে পশ্চিম আকাশে লাল আভা বিলুপ্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত।
৫. এশা: পশ্চিম আকাশের লাল আভা বিলুপ্ত হওয়ার পর থেকে মধ্য রাত্রি পর্যন্ত। আর ওযর থাকলে সুবহে সাদিক পর্যন্ত এশার সালাত আদায় জায়েয।