১. তায়াম্মুম করে সালাত আদায়ের পরপরই পানি পাওয়া গেলে- এ সালাত আবার নতুন করে আদায় করা লাগবে না।
২. যার উপর গোসল ফরয এমন লোক যদি গোসল করলে রোগ বৃদ্ধি পায় তাহলে গোসল না করে তায়াম্মুম করলেই তার জন্য যথেষ্ট।
৩. একই তায়াম্মুমে একাধিক ওয়াক্তের নামায আদায় করা জায়েয। (আল মুমতি)। প্রতি ওয়াক্তে পুনঃপুন তায়াম্মুম করার পক্ষে যেসব কথাবার্তা বা আছার রয়েছে এগুলো শুদ্ধ নয়।
৪. ওযূ ও ফরয গোসল উভয়ের জন্য যদি একসাথে তায়াম্মুম করে, অতঃপর শুধু ওযু ভঙ্গের কারণ ঘটে তাহলে শুধু ওযূর তায়াম্মুম ভঙ্গ হবে। গোসলের তায়াম্মুম ভঙ্গ হবে না। তবে যদি পুনরায় গোসল ফরয হয় তাহলে সে তায়াম্মুমও ভঙ্গ হয়ে যাবে ।
৫. পানি খোঁজাখুজি না করেই তায়াম্মুম করে সালাত আদায় করল, অথচ পাশেই পানি রয়েছে এমন হলে সালাত বাতিল হয়ে যাবে । (ফাতাওয়া ইসলামিক সউদী উলামা কমিটি- ১/২২০)।
৬. কেউ যদি সালাত আদায় অবস্থায় পানির সন্ধান পেয়ে যায় তাহলে তার উচিত নামায ছেড়ে দিয়ে পুনরায় ওযু করে সালাত আদায় করা। (ফিকহুস্ সুন্নাহ- ১/৬৩)
৭. ওযু ও গোসল করে যা যা করা বৈধ, তায়াম্মুম করেও সেসব কাজ করা জায়েয। কেননা, তায়াম্মুম ওযূ গোসলের পরিবর্তে । (ফিকহুস সুন্নাহ)।
৮. যেসব দ্রব্য দিয়ে তায়াম্মুম করা জায়েয নেই, ঐসব বস্তুর উপর যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ধুলোবালি পড়ে থাকে তাহলে ঐসব বস্তুর উপর হাত মেরে তায়াম্মুম করা জায়েয হবে ।