১. মৃত ব্যক্তি গোসল দেওয়ার পর
আবু হোরায়রা (রা) বলেন, “যে ব্যক্তি কোন মাইয়্যেতকে গোসল দেয়, সে যেন এরপর নিজে গোসল করে নেয়।” (আবু দাউদ: ৩১৬১, আহমাদ- ২/২৮০)
২. বেহুশ হয়ে গেলে জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর
একবার রাসূলুল্লাহ (স) হুঁশ হারিয়ে ফেলেছিলেন। অতঃপর জ্ঞান ফিরে এলে তিনি গোসল করে নিয়েছিলেন । (এ বিষয়ে দেখুন, বুখারী: ৬৮৭)।
৩. শিঙ্গা লাগানোর পর
আয়েশা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (স) চারটি কাজে গোসল করতেন,
ক, বড় নাপাক হলে, খ. জুমু'আর দিনে, গ. শিঙ্গা লাগালে এবং ঘ. মৃত ব্যক্তিকে গোসল দিলে । (আবু দাউদ: ৩১৬০)।
গোসল সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু লজ্জাজনক কথা
মেয়েদের বয়স ১২ বা ১৩ এবং ছেলেদের বয়স ১৫ বা ১৬ বছরে উপনীত হলে তারা তখন বালেগ-বালেগা হয়। তখন তাদের মধ্যে দৈহিক পরিবর্তনসহ কিছু আলামত দেখা দেয় । যেমন, দাড়ি-গোফ উঠা, লজ্জাস্থানে চুল গজানো, মেয়েদের স্তন বৃদ্ধি পাওয়া ও মাসিক ঋতুস্রাব শুরু হওয়া, যৌন অনুভূতির উপলব্ধি ও স্বপ্নদোষ ইত্যাদি আরো অন্যান্য ব্যাপার। এসব বিষয়ে শরীআতের এমন কিছু মাসআলা-মাসাইল জড়িত, যা এ বয়সের প্রত্যেক মুসলিম বালক-বালিকার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোতে কেউ অজ্ঞ থেকে গেলে বড় ধরনের নাপাকীর মধ্যে থেকে যেতে পারে। ফলে তার নামায-রোযা ও অন্যান্য ইবাদত কবুল হবে না। এ থেকে আমাদের নতুন প্রজন্মকে জ্ঞান দেওয়া একটি অপরিহার্য কর্তব্য। যদিও এসব বিষয়ে লেখা বা বলা অনেক ক্ষেত্রেই লজ্জাকর বিষয়। কিন্তু আল্লাহর বিধান মেনে চলার জন্য, হারাম ও অপবিত্রতা থেকে মুসলিম তরুণ-তরুণী ও যুবক-যুবতীদের হেফাযতের উদ্দেশ্যে একান্ত প্রয়োজন বিধায় এ জাতীয় কিছু মাসআলা এখানে তুলে ধরছি।