খাৎনা করা সুন্নাত। এ মতের পক্ষে রয়েছেন- হানাফী, মালেকী ও হাম্বলী ফকীহগণ। অপর একদল বলেছেন, খান্না করা ওয়াজিব। এ মতের পক্ষে রয়েছেন শাফেয়ী মতল উলামায়ে কেরাম। ওয়াজিব হওয়ার পক্ষে তারা নিমোক্ত দলীল উপস্থাপন করেন:
(ক) তুমি মিল্লাতে ইবরাহীমের অনুসরণ করো'- সূরা নাহলের ১২৩ নং আয়াতে কুরআনের এ নির্দেশকে তারা ওয়াজিব অর্থে দেখছেন।
(খ) আল্লাহ তাআলা বলেন,
“ইবরাহীম (আঃ)-কে তাঁর রব যখন কয়েকটি বাণী দিয়ে পরীক্ষা করলেন, তখন তিনি তা পূর্ণ করেছিলেন।” (সূরা ২; বাকারা ১২৪)
সুনানে বায়হাকীতে উল্লেখ আছে, ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, আল্লাহ তাআলা ইবরাহীম (আঃ)-কে ১০টি কালেমা দিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন। এর মধ্যে ১টি ছিল খাৎনা। আর পরীক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রায়শ ওয়াজিব অর্থে এসে থাকে। এসব দলীলের ভিত্তিতে ইমাম শাফেয়ী (র)-এর অনুসারী ফকীহগণ খাৎনা করাকে ওয়াজিব বলেন । তবে অধিকাংশ ফকীহ খাৎনাকে সুন্নাত বলেছেন, তাদের দলীল হলো
(ক) রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন,
“খাৎনা করা পুরুষদের জন্য বিধিবদ্ধ একটি আইন, আর মেয়েদের জন্য তা সম্মানজনক।” (ইবনে আবী শাইবা- ৯/৮৯)।
(খ) একবার এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (স)-এর কাছে বলল, আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি । তখন রাসূলুল্লাহ (স) তাকে বললেন,
“কুফরীর চুল ছুড়ে ফেলে দাও এবং খাৎনা করা” (আবূ দাউদ: ৩৫৬)
(গ) হানাফী ফকীহ ইমাম ইবনুল হুমাম বলেছেন, আমাদের নিকট খাৎনা করা সুন্নাত। (শরহে ফাতহুল কাদীর: ৭/৪২১)
মেয়েদের প্রসঙ্গ
ইসলামী শরীআতে মেয়েদেরও খাৎনা আছে বলে হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে। তাছাড়া মিসরসহ আরব ও আফ্রিকার দেশসমূহের কোন কোন এলাকায় ও পরিবারে মেয়েদের মধ্যে খাৎনার প্রচলণ রয়েছে।