৭. নাজাসাতে গালীযা ও খাফীফার বিবরণ কী?

(ক) নাজাছাতে গালীযা হলো তীব্র নাপাকী। যেসব নাপাকি অতিমাত্রায় তীব্র সেগুলো হলো নাজাছাতে গালীযা । সংক্ষেপে এগুলো হলো:

ক. প্রাণীকূল
১. কুকুর, ২. শূকর, ৩. ইঁদুর, ৪. এমন মৃত জানোয়ার যা শরয়ী পদ্ধতিতে জবাই করা হয়নি । তবে মাছ ব্যতীত । ৫. যেসব প্রাণী পায়খানা খায় ।

খ. জড় পদার্থ
১. মদ ও মাদক দ্রব্য, ২. কুকুরের মুখ দেওয়া পাত্র। (মুসলিম: ২৭৯)

গ. দেহ থেকে নির্গত বস্তু
১. মানুষের পেশাব, পায়খানা ।
২. হায়েযের রক্ত, মেয়েদের প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে নির্গত যেকোন তরল পদার্থ ।
৩. মৃত প্রাণীর দেহ থেকে নির্গত তরল পদার্থ।
৪. মণি অর্থাৎ সাদা গাঢ় বীর্য (বুখারী: ২৩০, আধুনিক)।
অপর একদল ফকীহর মতে, মণি নাপাক নয় । (শরহুল মুসলিম-লিন্নববী- ৩/১৯৭)

৫. মযী অর্থাৎ এমন এক প্রকার সাদা তরল পদার্থ, যা স্ত্রী সহবাসের পূর্বে বা এ জাতীয় অনুভূতির সময় শরীর থেকে নির্গত হয়।
৬. অদী, রোগের কারণে কারো কারো প্রস্রাবের পর এক প্রকার গাঢ় সাদা পানি বের হয়। এটা হলো অদী ।
৭. হালাল প্রাণীর প্রবহমান রক্ত। অবশ্য মাংসের সাথে লেগে থাকা রক্ত নয়। হালাল প্রাণী হলো যেসব প্রাণীর মাংস খাওয়া হালাল।
৮. হারাম প্রাণীর গোবর ও পেশাব । যেসব প্রাণীর মাংস খাওয়া হারাম সেগুলোকেই হারাম প্রাণী বলা হয়।

(খ) আর নাজাসাতে খাফীফা হলো হালকা নাপাকী। যেমন:
১. মানুষের বমি, রক্ত ও পূজ,
২. হারাম পাখির মলমূত্র,
৩. হালাল পশুর গোবর ও পেশাব,
৪. ঘোড়ার পেশাব।