গায়েব সম্পর্কে জানার ব্যাপারে আল্লাহর রাসূল, তাঁর খলীল ও হাবীবের অবস্থা যদি এই হয়, তিনি যদি আল্লাহর জানানোর বাইরে তাঁর চোখের আড়ালে ও পিঠের পিছনে সংঘটিত বিষয়াদি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ থাকেন, তা হলে তাঁর উম্মতের মধ্যকার অলি, দরবেশ ও অন্যান্যদের অবস্থা যে কী হবে তা সহজেই অনুমেয়। তিনি যেমন তাঁর জীবদ্দশায় নিজ থেকে কোনো অদৃশ্য সম্পর্কে অবগত হতে পারেন নি, তেমনি তাঁর তিরোধানের পরেও তাঁর পক্ষে তা অবগত হওয়া সম্ভব নয়। সে কারণেই তাঁর তিরোধানের পর যখন খেলাফতের বিষয় নিয়ে সাহাবীদের মাঝে মতবিরোধের সৃষ্টি হয়েছিল, তখন তাঁর পক্ষে যেমন তা নিজ থেকে অবগত হওয়া সম্ভব হয় নি, তেমনি অপর কোনোভাবে জেনে তাঁদেরকে সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা প্রদান করাও তাঁর পক্ষে সম্ভব হয় নি। তিনি নিজ থেকে পৃথিবীর ঘটনা প্রবাহ সম্পর্কে আগাম কিছু অবহিত হতে পারেন না বলেই তাঁর আদরের নাতি হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে কারবালার প্রান্তরে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচার জন্যে রূহানী শক্তি বলে তাঁকে সেখানে যাওয়া থেকে বারণ করতে পারেন নি। তিনি আল্লাহর রাসূল হয়েও যদি তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর রূহানী শক্তি বলে নিজ আত্মীয় ও উম্মতদের বিপদের কথা জানতে না পারেন এবং তাদের কোনো উপকার করতে না পারেন, তবে তাঁর উম্মতের মধ্যে এমন রূহানী শক্তিসম্পন্ন কে থাকতে পারে, যিনি মৃত্যুর পর এমন যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পক্ষে অর্জন করা সম্ভব হয় নি ? যদি কেউ এমন দাবী করে তবে সে হবে একজন মস্ত বড় মিথ্যুক ও প্রতারক।