নবীদের কাহিনী নবী চরিত ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব ১ টি
পরিশিষ্ট-১ - ২. অন্যান্য বিষয়ে লেখকগণ (كتّاب النبى صـ فى أمور أخرى)

(১) আবু সালামাহ মাখযূমী (২) আরক্বাম বিন আবুল আরক্বাম (৩) ‘আমের বিন ফুহায়রাহ (৪) ত্বালহা বিন ওবায়দুল্লাহ (৫) হাত্বেব বিন ‘আমর আবু বালতা‘আহ (৬) আব্দুল্লাহ বিন আবুবকর (৭) আবু আইয়ূব আনছারী (৮) বুরায়দাহ বিন হুছাইব আসলামী (৯) হুযায়ফা ইবনুল ইয়ামান (১০) মু‘আয বিন জাবাল (১১) জনৈক আনছার আবু ইয়াযীদ (১২) ছাবেত বিন ক্বায়েস বিন শাম্মাস (১৩) আব্দুল্লাহ বিন যায়েদ বিন ‘আব্দে রবিবহি (১৪) মুহাম্মাদ বিন মাসলামাহ (১৫) আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল্লাহ বিন উবাই (১৬) খালেদ বিন অলীদ (১৭) ‘আমর ইবনুল ‘আছ (১৮) মুগীরাহ বিন শো‘বা ছাক্বাফী (১৯) জুহাম বিন সা‘দ (২০) জুহাইম বিন ছালত (২১) হুছায়েন বিন নুমায়ের (২২) হুয়াইত্বিব বিন আব্দুল ‘উযযা (২৩) সাঈদ বিন সাঈদ ইবনুল ‘আছ (২৪) জা‘ফর বিন আবু ত্বালিব (২৫) হানযালা বিন রবী‘ ও তার ভাই (২৬) রাবাহ ও চাচা (২৭) আকছাম বিন ছায়ফী তামীমী (২৮) ‘আলা ইবনুল হাযরামী (২৯) ‘আলা বিন উক্ববাহ (৩০) আববাস বিন আব্দুল মুত্ত্বালিব (৩১) আবু সুফিয়ান বিন হারব (৩২) ঐ পুত্র ইয়াযীদ বিন আবু সুফিয়ান ও (৩৩) মু‘আবিয়া বিন আবু সুফিয়ান রাযিয়াল্লাহু ‘আনহুম।[1] এতদ্ব্যতীত (৩৪) আব্দুল্লাহ বিন আমর ইবনুল ‘আছ যিনি হাদীছ লিখনে প্রসিদ্ধ ছিলেন।

লেখকগণের মধ্যে মদীনায় যাঁরা বিশেষ বিশেষ কাজে প্রসিদ্ধ ছিলেন তাঁরা হ’লেন, (১) অহি লিখনে আলী, ওছমান, উবাই বিন কা‘ব এবং যায়েদ বিন ছাবেত। (২) বাদশাহ ও আমীরদের নিকটে পত্র লিখনে যায়েদ বিন ছাবেত। (৩) চুক্তি লিখনে আলী ইবনু আবী তালেব। (৪) মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজন সমূহ লিখনে মুগীরাহ বিন শো‘বা। (৫) ঋণচুক্তিসমূহ লিখনে আব্দুল্লাহ বিন আরক্বাম। (৬) গণীমতসমূহ নিবন্ধনে মু‘আইকীব। কোন লেখক অনুপস্থিত থাকলে হানযালা বিন রবী‘ লেখকের দায়িত্ব পালন করতেন। সেজন্য তিনি হানযালা আল-কাতেব নামে প্রসিদ্ধ ছিলেন।[2]

এঁদের মধ্যে (১) খালেদ বিন সাঈদ ছিলেন আবুবকর ছিদ্দীক (রাঃ)-এর পরে ইসলাম কবুলকারী ৩য়, ৪র্থ অথবা ৫ম ব্যক্তি। কারণ হিসাবে বর্ণিত হয়েছে যে, একদিন তিনি স্বপ্নে দেখেন যে, তিনি জাহান্নামের কিনারে দাঁড়িয়ে আছেন। তার পিতা তাকে সেদিকে ঠেলে দিচ্ছেন। পক্ষান্তরে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তার হাত টেনে ধরেছেন, যাতে তিনি জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত না হন। পরদিন এ স্বপ্ন আবুবকর (রাঃ)-কে বললে তিনি বলেন, এটি শুভ স্বপ্ন। ইনিই আল্লাহর রাসূল। অতএব তুমি তাঁর অনুসরণ কর। তাহ’লে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে। যার ভয় তুমি করছ’। অতঃপর তিনি রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট আসেন ও ইসলাম কবুল করেন। এ খবর জানতে পেরে তার পিতা তাকে লাঠিপেটা করেন, খানা-পিনা বন্ধ করে দেন ও তাকে বাড়ী থেকে বের করে দেন। পরবর্তীতে তিনি হাবশায় হিজরত করেন। অতঃপর হাবশা থেকে জা‘ফরের সাথে খায়বরে আসেন ও রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। তিনি ত্বায়েফবাসীদের সাথে সন্ধির সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। পরে সেখান থেকে আগত ছাক্বীফ প্রতিনিধি দলের সাথে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর পক্ষে চুক্তিনামা লিপিবদ্ধ করেন। আবুবকর ছিদ্দীক (রাঃ)-এর খেলাফতকালে তিনি শামের আজনাদাইন যুদ্ধে শহীদ হন।

(২) ‘আমের বিন ফুহায়রা আবুবকর (রাঃ)-এর মুক্তদাস ছিলেন। হিজরতকালে তিনি রাসূল (ছাঃ)-এর সাথী ছিলেন। পথিমধ্যে পিছু ধাওয়াকারী সুরাক্বাহ বিন মালেক মুদলেজী-কে রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশে তিনি একটি ‘নিরাপত্তানামা’ (كِتَابُ أَمْنٍ) লিখে দেন। ৪র্থ হিজরীতে বি’রে মাঊনা-র মর্মান্তিক ঘটনায় তিনি শহীদ হন।

(৩) আরক্বাম বিন আবুল আরক্বাম মাখযূমী (রাঃ) প্রথম দিকের ৭ম বা ১০ম মুসলমান ছিলেন। ছাফা পাহাড়ে তাঁর গৃহে রাসূল (ছাঃ) ইসলামের প্রচার কেন্দ্র স্থাপন করেন। যা ‘দারুল আরক্বাম’ (دَارُ الْأَرْقَمِ) নামে পরিচিত হয়। তিনি ৫৩ অথবা ৫৫ হিজরীতে ৮৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন (আল-ইছবাহ, আরক্বাম ক্রমিক ৭৩)।

(৪) আব্দুল্লাহ বিন যায়েদ বিন ‘আব্দে রবিবহী বায়‘আতে কুবরা-য় শরীক ছিলেন। তাঁর সবচেয়ে উচ্চ মর্যাদা ছিল এই যে, তিনিই প্রথম আযানের স্বপ্ন দেখেন এবং রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাকে ‘সত্যস্বপ্ন’ (إِنَّهَا لَرُؤْيَا حَقٌّ) বলে আখ্যায়িত করেন এবং আল্লাহর প্রশংসা জ্ঞাপন করে বলেন, ফালিল্লাহিল হাম্দ(فََلِلَّهِ الْحَمْدُ) । অতঃপর বেলালের মাধ্যমে তা চালু করে দেন (আবুদাঊদ হা/৪৯৯)। তিনি ৩২ হিজরীতে ৬৪ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। খলীফা ওছমান (রাঃ) স্বয়ং তাঁর জানাযায় ইমামতি করেন (আল-ইছাবাহ, আব্দুল্লাহ বিন যায়েদ ক্রমিক ৪৬৮৯)।

(৫) আব্দুল্লাহ সা‘দ বিন আবু সারাহ ওছমান বিন ‘আফফান (রাঃ)-এর দুধভাই ছিলেন। ওছমানের মা তাঁকে দুধ পান করিয়েছিলেন। তিনি অহি লিখতেন। কিন্তু পরে ‘মুরতাদ’ হয়ে যান। মক্কা বিজয়ের দিন রাসূল (ছাঃ) যাদের রক্ত বৃথা ঘোষণা করেন, তিনি ছিলেন তাদের অন্তর্ভুক্ত। পরে তিনি ওছমান (রাঃ)-এর নিকটে এসে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। ফলে রাসূল (ছাঃ) তাকে আশ্রয় দেন। এরপর থেকে মৃত্যু অবধি তাঁর ইসলাম খুবই সুন্দর ছিল। ওছমান (রাঃ)-এর খেলাফতকালে ২৫ হিজরীতে তাঁকে মিসরের গবর্ণর নিযুক্ত করা হয় এবং আফ্রিকা জয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়। অতঃপর তাঁর আমলেই আফ্রিকা বিজিত হয়। উক্ত যুদ্ধে বিখ্যাত তিন ‘আবাদেলাহ’ অর্থাৎ আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের, আব্দুল্লাহ বিন ওমর এবং আব্দুল্লাহ বিন ‘আমর যোগদান করেন। ৩৫ হিজরীতে ওছমান (রাঃ)-এর শাহাদাতকালে তিনি মিসরের ‘আসক্বালান’ শহরে ছিলেন। তিনি আল্লাহর নিকট দো‘আ করেন যেন ছালাতরত অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। অতঃপর একদিন ফজরের ছালাত আদায়কালে শেষ বৈঠকে প্রথম সালাম ফিরানোর পর দ্বিতীয় সালাম ফিরানোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়ে যায়। এটি ছিল ৩৬ অথবা ৩৭ হিজরীর ঘটনা।[3]

(৬) উবাই বিন কা‘ব আনছারী (রাঃ) বায়‘আতে কুবরা এবং বদর-ওহোদ সহ সকল যুদ্ধে রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন সাত জন শ্রেষ্ঠ ক্বারীর নেতা। আনাস বিন মালেক (রাঃ) বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) উবাই বিন কা‘বকে বললেন, إِنَّ اللهَ أَمَرَنِىْ أَنْ أَقْرَأَ عَلَيْكَ (لَمْ يَكُنِ الَّذِينَ كَفَرُوْا) قَالَ وَسَمَّانِىْ لَكَ؟ قَالَ: نَعَمْ، فَبَكَى ‘আল্লাহ আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন আমি তোমার উপরে সূরা বাইয়েনাহ পাঠ করি। উবাই বললেন, আল্লাহ আপনার নিকটে আমার নাম বলেছেন? রাসূল (ছাঃ) বললেন, হ্যাঁ। তখন উবাই (খুশীতে) কাঁদতে লাগলেন’।[4] তিনিই প্রথম রাসূল (ছাঃ)-এর অহি লেখক ছিলেন এবং অন্যতম ফৎওয়া দানকারী ছাহাবী ছিলেন। অধিকাংশের মতে তিনি ওমর (রাঃ)-এর খিলাফতকালে ২২ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে ওমর (রাঃ) বলেন, আজ মুসলমানদের নেতা মৃত্যুবরণ করল (আল-ইছাবাহ, উবাই ক্রমিক ৩২)।

(৭) যায়েদ বিন ছাবেত আনছারী (রাঃ) বয়স কম থাকায় বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণে ব্যর্থ হন। এরপর থেকে সকল যুদ্ধে রাসূল (ছাঃ)-এর সাথী ছিলেন। তিনি অহি লিখতেন এবং শিক্ষিত ছাহাবীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন (مِنْ عُلَمَاءِ الصَّحَابَةِ)। আবুবকর (রাঃ)-এর সময় কুরআন সংকলনের দায়িত্ব তাঁর উপরেই প্রদান করা হয়। হিজরতের পর রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট বনু নাজ্জারের এই তরুণকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হ’লে তিনি তাঁকে কুরআনের ১৭টি সূরা মুখস্থ শুনিয়ে দেন। তাতে বিস্মিত হয়ে রাসূল (ছাঃ) বলেন, তুমি ইহূদীদের পত্র পাঠ করা শিখ। তখন আমি ১৫ দিনের মধ্যেই ইহূদীদের ভাষা শিখে ফেলি। অতঃপর রাসূল (ছাঃ)-এর পক্ষ থেকে তাদের নিকট আমি পত্র লিখতাম এবং তারা লিখলে আমি তাঁকে তা পড়ে শুনাতাম’ (আল-ইছাবাহ, যায়েদ বিন ছাবেত ক্রমিক ২৮৮২)।

(৮) আব্দুল্লাহ বিন ‘আমর ইবনুল ‘আছ সাহমী কুরায়শী (রাঃ) অত্যন্ত ‘আবেদ ও যাহেদ ছাহাবী ছিলেন। রাসূল (ছাঃ) এই তরুণ ছাহাবীকে একদিন অন্তর একদিন ছিয়াম রাখার ও সাতদিনে বা সর্বনিম্নে তিনদিনে কুরআন খতম করার অনুমতি দেন (বুখারী হা/৫০৫২)। তিনি রাসূল (ছাঃ)-এর হাদীছসমূহ লিপিবদ্ধ করতেন। তিনি বলেন, আমি নিয়মিত হাদীছ লিখতাম। তাতে কুরায়েশরা আমাকে নিষেধ করে এবং বলে যে, তুমি সব কথা লিখ না। কেননা রাসূল (ছাঃ) একজন মানুষ। তিনি ক্রোধের সময় ও খুশীর সময় কথা বলেন। তখন আমি লেখা বন্ধ করি এবং রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে উক্ত বিষয়টি উত্থাপন করি। জবাবে রাসূল (ছাঃ) বলেন, اكْتُبْ فَوَالَّذِى نَفْسِى بِيَدِهِ مَا خَرَجَ مِنِّى إِلاَّ حَقٌّ ‘তুমি লেখ। যার হাতে আমার জীবন তার কসম করে বলছি, আমার থেকে হক ব্যতীত কিছুই বের হয় না’ (আহমাদ হা/৬৫১০, হাদীছ ছহীহ)। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, مَا أَجِدُ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه و سلم أَكْثَرَ حَدِيْثًا مِنِّي إِلاَّ مَا كَانَ مِنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو فَإِنَّهُ كَانَ يَكْتُبُ ‘রাসূল (ছাঃ)-এর ছাহাবীগণের মধ্যে আমি আমার চাইতে অধিক হাদীছ বর্ণনাকারী কাউকে পাইনি আব্দুল্লাহ বিন ‘আমর ব্যতীত। কেননা তিনি হাদীছ লিখতেন’। তিনি ৬৫ হিজরীতে ৭২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর স্থান নিয়ে মতভেদ আছে। কেউ বলেছেন শামে বা ত্বায়েফে বা মিসরে বা মক্কায়’ (আল-ইছাবাহ, আব্দুল্লাহ বিন ‘আমর ক্রমিক ৪৮৫০)। তাঁর লিখিত হাদীছের সংখ্যা অন্যূন সাতশত।

(৯) অনুরূপভাবে বনু নাজ্জারের জনৈক ব্যক্তি খ্রিষ্টান হয়ে যায়। পরে সে মুসলমান হয়ে ‘অহি’ লেখার দায়িত্ব পায়। অতঃপর সে পালিয়ে গিয়ে পুনরায় খ্রিষ্টান হয়ে যায় এবং অপবাদ দেয় যে, মুহাম্মাদ সেটুকুই জানে, যতটুকু আমি লিখি (مَا يَدْرِى مُحَمَّدٌ إِلاَّ مَا كَتَبْتُ لَهُ)। পরে আল্লাহ তাকে মৃত্যু দান করেন। লোকেরা তাকে দাফন করে। কিন্তু সকালে দেখা গেল যে, মাটি তাকে উগরে ফেলে দিয়েছে। তখন লোকেরা বলল, এসব মুহাম্মাদ ও তাঁর সাথীদের কাজ। অতঃপর তারা খুব গভীর করে তাকে দাফন করল। কিন্তু পরদিন সকালে একইভাবে নিক্ষিপ্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া গেল। তখন লোকেরা বলল, এটি মানুষের কাজ নয়। অতঃপর তারা তাকে ফেলে রাখল’ (বুখারী হা/৩৬১৭)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, সে বলেছিল, আমি মুহাম্মাদের চাইতে বেশী জানি। আমি চাইলে এরূপ লিখতে পারি’(أَنَا أَعْلَمُكُمْ بِمُحَمَّدٍ إِنْ كُنْتُ لأَكْتُبُ مَا شِئْتُ)। অতঃপর সে মৃত্যুবরণ করে। তার উপরোক্ত কথা জানতে পেরে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মাটি তাকে কখনই কবুল করবে না’ (إِنَّ الأَرْضَ لَنْ تَقْبَلَهُ)। রাবী আনাস (রাঃ) বলেন, আবু ত্বালহা (রাঃ) আমাকে বলেছেন যে, আমি তার মৃত্যুর স্থানে গিয়ে দেখি যে, তার লাশ মাটির উপরে পড়ে আছে। তিনি লোকদের জিজ্ঞেস করলেন। তারা বলল, আমরা তাকে বারবার দাফন করেছি। কিন্তু মাটি তাকে বারবার উপরে ফেলে দিয়েছে’।[5]

[1]. ইবনু কাছীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৫/৩৩৯-৩৫৫; মুছত্বফা আ‘যামী, কুত্তাবুন নবী (বৈরূত : ১৩৯৮/১৯৭৮ খৃঃ)।

[2]. মাহমূদ শাকের, আত-তারীখুল ইসলামী (বৈরূত : আল-মাকতাবুল ইসলামী, তাবি) ২/৩৫৫ পৃঃ।

[3]. ইবনু কাছীর, আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ ৫/৩৩৯-৩৫৫, ‘অহি লেখকগণ’ অনুচ্ছেদ।

[4]. বুখারী হা/৪৯৫৯, মুসলিম হা/৭৯৯; মিশকাত হা/২১৯৬।

[5]. ছহীহ ইবনু হিববান হা/৭৪৪; আহমাদ হা/১২২৩৬, সনদ ছহীহ। মিশকাত হা/৫৮৯৮ ‘মু‘জিযা সমূহ’ অনুচ্ছেদ। মিশকাতে বর্ণিত হাদীছে তার মুরতাদ হওয়ার খবর শুনে রাসূল (ছাঃ) ‘মাটি তাকে কবুল করবে না’ (إن الأرض لا تقبله) বলেন। অতঃপর শেষে ‘মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ’ লেখা হয়েছে। কিন্তু বুখারী ও মুসলিমে কোথাও উক্ত বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বরং তার মৃত্যুর পরে তিনি বলেছিলেনإِنَّ الأَرْضَ لَنْ تَقْبَلَهُ (ছহীহ ইবনু হিববান হা/৭৪৪) অথবা إِنَّ الأَرْضَ لَمْ تَقْبَلَهُ (আহমাদ হা/১২২৩৬)।