১. হক-এর স্বীকৃতি এবং হকপন্থীর প্রতি সহানুভূতি ও সহযোগিতাই কেবল পরকালীন মুক্তির জন্য যথেষ্ট নয়, যতক্ষণ না আক্বীদার পরিবর্তন ঘটে এবং মৌখিক স্বীকৃতি থাকে।
২. আদর্শগত ভালোবাসাই পরকালে বিচার্য বিষয়, অন্য কোন ভালোবাসা নয়। মুহাম্মাদ-এর প্রতি আবু ত্বালিবের ভালোবাসা ছিল বংশগত কারণে। আদর্শগত কারণে নয়। সেকারণ তা পরকালে কোন কাজে আসেনি।
৩. তাওহীদের সাথে শিরক মিশ্রিত হ’লে কোন নেক আমলই আল্লাহর নিকটে কবুল হয় না। যেমন আল্লাহর উপরে বিশ্বাস ও তাকে স্বীকৃতি দান করা সত্ত্বেও অসীলা পূজার শিরক থাকার কারণে আবু ত্বালিবের কোন সৎকর্মই আল্লাহ কবুল করেননি। বর্তমান যুগেও যেসব মুসলিম নর-নারী বিভিন্ন কবর, ছবি-প্রতিকৃতি ও স্থানপূজায় লিপ্ত আছেন ও তাদের অসীলায় পরকালে মুক্তি কামনা করেন, তাদের এই কামনা জাহেলী আরবদের লালিত শিরকের সাথে তুলনীয়। যা পরকালে কোন কাজে আসবেনা।
৪. পিতৃধর্মে ত্রুটি থাকলে তা অবশ্যই পরিত্যাগ করতে হবে এবং সর্বাবস্থায় নির্ভেজাল তাওহীদকে অাঁকড়ে থাকতে হবে। সকল আবেদন-নিবেদন সরাসরি আল্লাহর নিকটেই করতে হবে এবং জীবনের সকল ক্ষেত্রে কেবল তাঁর বিধানই মেনে চলতে হবে।
কিন্তু অসীলা পূজারী মুশরিকরা আল্লাহর নৈকট্য হাছিলের ধারণায় তাদের কল্পিত অসীলাকেই মুখ্য মনে করে। তার কাছেই সব আবেদন-নিবেদন পেশ করে এবং নিজেদের মনগড়া শিরকী বিধান সমূহ মেনে চলে। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই বংশীয় রেওয়াজের প্রতি আকর্ষণ আবু ত্বালেব ছাড়তে পারেননি।
৫. কেবল আব্দুল্লাহ, আবু ত্বালেব ইত্যাদি ইসলামী নাম পরকালীন মুক্তির জন্য যথেষ্ট হবে না, যতক্ষণ না সমস্ত মনগড়া মা‘বূদ ছেড়ে একমাত্র হক মা‘বূদ আল্লাহর আনুগত্যের প্রতি একনিষ্ঠ হবে। মৃত্যুর সময় আবু ত্বালিবকে শিরকের দিকে প্ররোচনা দানকারী অন্যতম নেতার নাম ছিল আব্দুল্লাহ। অতএব ইসলামী নাম রাখার সাথে সাথে ইসলামী বিধান সমূহ মেনে চলা এবং আল্লাহ ও তাঁর গুণাবলীর সাথে অন্যকে শরীক না করে নির্ভেজাল তাওহীদ বিশ্বাসের উপরে দৃঢ় থাকার উপরেই পরকালীন মুক্তি নির্ভর করে।