একাধিক আহলে ইলমের বাণী লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, তারা সলফদের অন্য আরো নাম ব্যবহার করেছেন, যা উক্ত মহৎ নামেরই অর্থ নির্দেশ করে। অবশ্য তাতে এ কথা বোঝা সঠিক নয় যে, সেগুলির আপোসে মত-পার্থক্য আছে। বরং অর্থের দিক থেকে সকল নামই পরিপূর্ণভাবে অভিন্ন। আর সে সকল নামের উৎপত্তি এমন স্পষ্ট উক্তিসমূহ থেকে হয়েছে, যা তার প্রতি নির্দেশ বহন করে। সুতরাং সালাফ’ এর নামসমূহের কতিপয় নাম হলঃ
• আহলুস সুন্নাতি ওয়াল-জামাআহ
• আহলুল হাদীস
• আহলুল আষার
• ফিকাহ নাজিয়াহ
• তায়েফাহ মানসূরাহ
• গুরাবা
* আহলুস সুন্নাতি ওয়াল-জামাআহ
এর ব্যাপারে ইমাম সুফিয়ান সওরী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, 'যখন তোমার কাছে প্রতীচ্য দেশে কোন একজন এবং প্রাচ্যের দেশে অন্য একজন সাহেবুস সুন্নাহ (সুন্নাহপন্থী) ব্যক্তি সম্বন্ধে খবর পৌছে, তাহলে তাদের নিকট সালাম পাঠাও এবং তাদের জন্য দুআ কর। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল-জামাআহ কতই না অল্প।[১]
শায়খুল ইসলাম আহমাদ বিন আব্দুল হালীম ইবনে তাইমিয়্যাহ হারানী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, “বিদআত যেমন বিচ্ছিন্নতার সাথে সংযুক্ত, তেমনই সুন্নাহ জামাআহর সাথে সংযুক্ত। তাই বলা হয়, আহলুস সন্নাতি ওয়াল-জামাআহ, যেমন বলা হয়, 'আহলুল বিদআতি ওয়া-ফুরক্বাহ।”[২]
তিনি অন্য এক জায়গায় আহলুস সুন্নাহর পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন, যারা আল্লাহর কিতাব, তার রসূল (সা.)-এর সুন্নাত এবং (ঈমান আনয়নে) অগ্রবর্তী মুহাজির ও আনসারগণ এবং যেসব লোক সরল অন্তরে তাদের অনুগামী হয়েছেন, তারা যে বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন, তা সুদৃঢ়ভাবে ধারণকারী।[৩]
তিনি আরো বলেছেন, 'আহলে সুন্নাহ ওয়াল-জামাআতের মযহাব পুরনো মযহাব। যা আবু হানীফা, মালেক, শাফেয়ী ও আহমাদকে আল্লাহর সৃষ্টি করার পূর্বেই পরিচিত ছিল। যেহেতু তা হল সেই সাহাবার মযহাব, যারা তা তাদের নবীর নিকট থেকে গ্রহণ করেছেন। যে ব্যক্তি এ মযহাবের বিরুদ্ধাচরণ করবে, সে আহলে সুন্নাহর নিকট ‘বিদআতী’ গণ্য হবে।[৪]
* আহলুল হাদীস (আহলে হাদীস) বা আহলুল আষার (আহলে আষার)
এ নামও (পূর্ববর্তী) উলামাগণের উক্তিতে বর্তমান ছিল---যেমন আমি বলেছি। উদাহরণ স্বরূপ ইমাম আহমাদ, বুখারী প্রমুখের উক্তিতে।
ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, ‘সলফ, আহলে হাদীস, সুন্নাহ ও জামাআহর মযহাব হল-----[৫]
অতঃপর তিনি তাদের মযহাব উল্লেখ করেছেন। সুতরাং তিনি তাদেরকে আহলে হাদীস, সুন্নাহ ও জামাআহ’ নামে অভিহিত করেছেন।
হাফেয ইমাম আবু হাতেম রাযী বলেছেন, আহলে বিদআহ (বিদআতী)দের লক্ষণ হল, আহলে আষারের নিন্দা করা।[৬]
খত্বীব (রাহিমাহুল্লাহ) শারাফু আসহাবিল হাদীস (৭৩পৃঃ)তে সহীহ সূত্রে আহমাদ বিন সিনান আল-ক্বাত্ত্বান থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, দুনিয়াতে এমন কোন বিদআতী নেই, যে আহলে হাদীসকে ঘৃণা করে না। যেহেতু যখনই কোন ব্যক্তি বিদআতী হয়, তখনই হাদীসের মিষ্টতা তার হৃদয় থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
এই নামকরণের কারণ বর্ণনায় হাফেয লালকাঈ বলেছেন, ‘অতঃপর প্রত্যেক ব্যক্তি যখন কোন মাযহাবের বিশ্বাসী হয়, তখন যে উক্তি সে নতুন উদ্ভাবন করেছে, তার প্রতি নিজের সম্পর্ক জুড়ে নেয় এবং নিজের রায়ের উপরই নির্ভরশীল হয়। কিন্তু আসহাবুল হাদীসের উক্তি-ওয়ালা হলেন রাসূলুল্লাহ (সা.)। তারা তারই প্রতি নিজেদের সম্পর্ক জুড়ে থাকেন, তাঁরই ইলমের উপর নির্ভরশীল হন, তারই ইলমের দলীল গ্রহণ করে থাকেন, তারই ইলমের আশ্রয় গ্রহণ করেন, তারই ইলমের রায়ের অনুসরণ করেন, এ নিয়েই তারা গর্ববোধ করেন, তারই নৈকট্য লাভ করে তারা তার সুন্নাহর দুশমনদের উপর আক্রমণ হানেন। সুতরাং উল্লেখযোগ্য মর্যাদায় তাদের সমতুল্য কে হবে এবং গর্বের ময়দানে ও নামের উচ্চতায় কে তাদের মোকাবিলা করবে? যেহেতু তাঁদের নাম কিতাব ও সুন্নাহর অর্থ থেকে সংগৃহীত। এ নাম কিতাব ও সুন্নাহতে পরিব্যপ্ত। যেহেতু তারাই কিতাব ও সুন্নাহকে বাস্তবায়ন করেন। অথবা তারা উভয়কে গ্রহণ করার ব্যাপারে পৃথক বৈশিষ্ট্য রাখেন। সুতরাং তারা আল্লাহর কিতাবে উল্লিখিত ‘হাদীস’-এর সাথে সম্পর্ক জোড়ার মাঝেই ঘোরাঘুরি (গমনাগমন) করেন। হাদীসের কথা মহান আল্লাহ তার কিতাবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন,
اللَّهُ نَزَّلَ أَحْسَنَ الْحَدِيثِ
“আল্লাহ অবতীর্ণ করেছেন উত্তম ‘হাদীস’ (বাণী) সম্বলিত এমন এক গ্রন্থ।” (যুমারঃ ২৩)
আর তা হল কুরআন। সুতরাং তারা কুরআনের ধারক ও বাহক, তারাই কুরআন-ওয়ালা এবং তার ক্বারী ও হাফেয (পাঠক ও স্মৃতিস্থকারী)।
আবার তারাই রাসূলুল্লাহ -এর হাদীসের প্রতি সম্পর্ক জোড়েন। সুতরাং তারাই তার বর্ণনাকারী ও বহনকারী। অতএব নিঃসন্দেহে (হাদীসের) উভয় অর্থ তাদের মাঝে পাওয়ার ফলে তারাই এ নামের হকদার হন। যেহেতু আমরা প্রত্যক্ষ করছি, লোকেরা কিতাব ও সুন্নাহ তাদের নিকট থেকেই সংগ্রহ করছে এবং তাঁদেরই শুদ্ধীকরণের উপর সকল মানুষ ভরসা রাখছে--- [৭]
শায়খুল ইসলাম বলেছেন, আহলে হাদীস বলতে আমাদের উদ্দেশ্য তারা নন, যারা কেবল হাদীস শ্রবণ, লিখন ও বর্ণনের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকেন। বরং আমাদের উদ্দেশ্য হল প্রত্যেক সেই ব্যক্তি, যিনি বেশি যত্নের সাথে হাদীস হিফ্য করবেন, চিনবেন, বাহ্যিক ও আভ্যন্তরিকভাবে বুঝবেন এবং বাহ্যিক ও আভ্যন্তরিকভাবে অনুসরণ করবেন। অনুরূপ আহলে কুরআনও (সেই ব্যক্তি)।[৮]
* ফিকাহ নাজিয়াহ ও তায়েফাহ মানসুরাহ
এই নামকরণ এসেছে প্রসিদ্ধ হাদীস, ফির্কাবন্দীর হাদীসে,
إن بني إسرائيل افترقت على إحدى وسبعين فرقة وإن أمتي ستفترق على ثنتين وسبعين فرقة كلها في النار إلا واحدة وهي الجماعة
“নিশ্চয় বানী ইসরাঈল ৭১ ফির্কায় বিভক্ত হয়েছিল। আর আমার উম্মত বিভক্ত হবে ৭২ ফির্কায়; এদের মধ্যে একটি ছাড়া সবগুলিই হবে জাহান্নামী। আর ঐ ফির্কাটি হল (আহলে) জামাআত।”[৯]
হাদিসটি প্রসিদ্ধ ও সহীহ-শুদ্ধ। যারা এটিকে দুর্বল প্রমাণিত করার চেষ্টা করেছেন, তাদের কথা ভিন্ন। অনুরূপ পূর্বে উল্লিখিত মুআবিয়া (রাঃ)-এর হাদীসে এসেছে,
لا تزال طائفة من أمتي منصورين على الحق
“আমার উম্মতের মধ্যে একটি তায়েফাহ (দল) চিরকাল হক (সত্যের) উপর (মানসূর) সাহায্যপ্রাপ্ত থাকবে---।”
হাফেয লালকাঈ বলেন,(১০) ‘সুতরাং তা হল তায়েফাহ মানসূরাহ (সাহায্যপ্রাপ্ত দল) ও ফিকাহ নাজিয়াহ (পরিত্রাণ লাভকারী দল), পথপ্রাপ্ত গোষ্ঠী, সুন্নাহকে সুদৃঢ়তার সাথে ধারণকারী ন্যায়পরায়ণ জামাআত। পাঠক---আল্লাহ আপনার হিফাযত করুন! প্রণিধান করুন এই উচ্চ পর্যায়ের মহৎ গুণাবলীতে।
শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) আল-আক্বীদাতুল ওয়াসিত্বিয়াহ’ পুস্তিকার ভূমিকায় বলেছেন, অতঃপর এ হল ফিকাহ নাজিয়াহ, কিয়ামত কায়েম হওয়া পর্যন্ত (মানসূরাহ) সাহায্যপ্রাপ্ত আহলে সুন্নাহ ওয়াল-জামাআহর বিশ্বাস।
আমাদের শায়খদের শায়খ আল্লামা হাফেয হাকামী (রাহিমাহুল্লাহ) তার উপকারী গ্রন্থ ‘মাআরিজুল কাকূল’ (১/১৯)এ বলেছেন, ‘সত্যবাদী সত্যায়িতের খবরে এসেছে যে, ফিকাহ নাজিয়াহ হল, যারা তিনি ও তাঁর সাহাবা যে মতাদর্শের উপর ছিলেন, তার অনুরূপ মতাদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।
* গুরাবা
(গরীবের বহুবচন গুরাবা। গারীব বলা হয় কোন বিরল, উদ্ভট, বহিরাগত বিদেশী অজানা-অচেনা মানুষকে। ---অনুবাদক)
কোন সুন্নীর জন্য সহীহ গ্রন্থে প্রসিদ্ধ গুরাবার হাদীস অবিদিত নয়।
بَدَأَ الإِسْلاَمُ غَرِيباً، وَسَيَعُودُ كَمَا بَدَأَ غَرِيباً، فَطُوبى لِلْغُرَبَاءِ
“নিশ্চয় ইসলাম (প্রবাসীর মত অসহায়) অল্পসংখ্যক মানুষ নিয়ে শুরুতে আগমন করেছে এবং অনুরূপ অল্প সংখ্যক মানুষ নিয়েই ভবিষ্যতে প্রত্যাগমন করবে, যেমন শুরুতে আগমন করেছিল। সুতরাং সুসংবাদ ঐ (প্রবাসীর মতো) গুরাবা’ লোকেদের জন্য।”[১১]
ইমাম সুফিয়ান সওরী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, 'আহলে সুন্নাহর জন্য কল্যাণকামী হও। কারণ তাঁরা হলেন গুরাবা।[১২]
ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ) মাদারিজুস সালিকীন’ গ্রন্থে গুরাবার হাদীসের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, 'মুসলিমদের মাঝে মু’মিনগণ গুরাবা। মুমিনদের মাঝে আহলে ইলমগণ গুরাবা। তাঁদের মধ্যে আহলে সুন্নাহ, যারা সুন্নাহকে খেয়ালখুশি ও বিদআত থেকে পৃথক করেন, তারা গুরাবা। সুন্নাহর দিকে আহবানকারিগণ এবং বিরোধীদের কষ্টদানে ধৈর্যধারণকারিগণ তাদের মধ্যে বেশি গুরাবা। কিন্তু তারাই প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ-ওয়ালা। সুতরাং তাদের মধ্যে গুরবাত (গুরাবার অবস্থা) নেই। আসলে তাদের গুরবাত হল সেই সংখ্যগুরুদের মাঝে, যাদের ব্যাপারে মহান আল্লাহ বলেছেন,
وَإِن تُطِعْ أَكْثَرَ مَن فِي الْأَرْضِ يُضِلُّوكَ عَن سَبِيلِ اللَّهِ
“আর যদি তুমি দুনিয়ার অধিকাংশ লোকের কথামত চল, তাহলে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করে দেবে। (আনআমঃ ১১৬)
সুতরাং তারাই হল আল্লাহ, তার রসূল ও তাঁর দ্বীনের ক্ষেত্রে গুরাবা। আর তাদের গুরবাত হল নিঃসঙ্গতার আতঙ্ক সৃষ্টিকারী। যদিও তারা (মানব সমাজে) পরিচিত উল্লেখযোগ্য---।
* প্রকৃত গুরবাত
প্রকৃত গুরবাত হল, এই সৃষ্টির মাঝে আল্লাহ-ওয়ালা ও তার রসুলের সুন্নাত-ওয়ালাদের গুরবাত। এ হল সেই গুরবাত, যার গুরাবাদের প্রশংসা করেছেন রাসূলুল্লাহ ঐক্ত এবং তার আনীত দ্বীনের বিষয়ে অবহিত করেছেন যে, গারীব (প্রবাসীর মতো অজানা-অচেনা) অবস্থায় তার সূচনা হয়েছে। আর তা ঐভাবেই ফিরে যাবে, যেভাবে তার সূচনা হয়েছে। তার অবলম্বীরা হবে গুরাবা। অবশ্য এই গুরবাত এমন হতে পারে যে, কোন স্থানে থাকবে, কোন স্থানে থাকবে না। কোন কালে থাকবে, কোন কালে থাকবে না, কোন জাতির মধ্যে থাকবে, কোন জাতির মধ্যে থাকবে না। কিন্তু এই শ্রেণীর গুরাবাগণ প্রকৃত আল্লাহওয়ালা। যেহেতু তারা আল্লাহ ছাড়া অন্যের কাছে আশ্রয় নেয় না, তার । রসূল ছাড়া অন্যের সাথে সম্পর্ক জোড়ে না এবং তার আনীত বিষয়। ছাড়া অন্য কিছুর দিকে আহ্বানও করে না।
নবী ঐ যে গুরাবাদের ঈর্ষা প্রকাশ করেছেন, তাদের কিছু গুণাবলী হল, লোকেরা যখন সুন্নাহর ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করে, তখন তারা সুন্নাহকে মজবুত করে ধারণ করে। লোকেরা যা (বিদআত) উদ্ভাবন। করে, তারা তা বর্জন করে; যদিও সেটা তাদের নিকট ভালো বলে পরিচিত।
তাওহীদ বাস্তবায়ন করা; যদিও অধিকাংশ লোকে তা করতে অস্বীকার করে।
তারাই হল প্রকৃতপ্রস্তাবে হাতের মুঠোয় অঙ্গার ধারণকারী। অথচ অধিকাংশ মানুষ বরং সকল মানুষই তাদেরকে ভৎসনা করে। এই জগৎসংসারে তাদের গুরবাত (বা বিরলতা)'র কারণে সকলেই তাদেরকে বিরলপন্থী, বিদআতী ও সংখ্যাগরিষ্ঠ জন-মানব থেকে বিচ্ছিন্ন গণ্য করে থাকে। বরং সেই প্রকৃত ইসলাম, যার উপর রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবাগণ প্রতিষ্ঠিত ছিলেন, তা তার প্রাথমিক প্রকাশকাল অপেক্ষা বর্তমানে বেশি বিরল হয়ে গেছে। যদিও তার প্রকাশ্য নিদর্শন ও রেখাচিহ্ন সুপ্রসিদ্ধ ও সুপরিচিত। বলা বাহুল্য, প্রকৃত ইসলাম অনেক বিরল। আর তার অবলম্বীরা মনুষ্যসমাজে সবচেয়ে বেশি গুরাবা।
[২]. আল-ইস্তিক্বামাহ ১/৪২
[৩]. মাজমুউ ফাতাওয়া ৩/৩৭৫
[৪]. মিনহাজুস সুন্নাতিন নাবাবিয়্যাহ ২/৬০ ১, মাজমুউ ফাতাওয়া ২৪/২৪১
[৫]. মাজমুউ ফাতাওয়া ৪/৯৫
[৬]. আকীদাতুস সালাফ আসহাবিল হাদীস, স্বাবুনী ১০৫পৃঃ, শারহু উসূলি ইতিক্বাদি আহলিস সুন্নাহ, লালকাঈ ১/১৭৯
[৭]. শারহু উসুলি ই’তিক্কাদি আহলিস সুন্নাহ ১/২৩-২৪।
[৮]. মাজমূউ ফাতাওয়া ৪/৯৫, আরো দ্রঃ লাওয়ামিউল আনওয়ার, সাফারীনী ১/৬৪।
[৯]. ইবনে মাজাহ ৩৯৯৩, সিঃ সহীহাহ ২০৪, ১৪৯২নং, হাদীসটির পরিপূর্ণ তাহক্বীক ভাই আহমাদ সরদারের মাস্টার্স থীসিস ‘আল-মাবাহিমুল আক্কাদিয়্যাহ ফী হাদীসি ইফতিরাকূিল উম্মাহ’ দ্রষ্টব্য। এটি মদীনা ইউনাভার্সিটির ইলমী গবেষণা বিভাগ থেকে প্রকাশিত। (এর অন্য বর্ণনায় ৭৩ ফির্কার কথা আছে।)।
[১০]. শারহু উসূলি ইতিক্বাদি আহলিস সুন্নাহ অলজামাঅহ ১/২৪
[১১]. সহীহ মুসলিম ৩৮ ৯নং, এ মর্মে আরো বহু হাদীস আছে, যথাস্থানে তা দ্রষ্টব্য।
[১২]. শারহু উসুলি ইতিক্বাদি আহলিস সুন্নাহ, লালকাঈ ১/৪৯নং/৯৪