মুখে ইসলাম প্রকাশ করা এবং হৃদয় ও মনে কুফরী বিশ্বাস (গুপ্ত) রাখাকে নিফাকে আকবর (বড় মুনাফেকী) বলা হয়। এই নিফাক কয়েক প্রকারেরঃ
১। রসূল (সা.)-কে অথবা তাঁর আনীত কিছু বিষয়কে মিথ্যাজ্ঞান করা।
২। রসূল (সা.) অথবা তার আনীত কিছু বিষয়ের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ পোষণ করা।
৩ ইসলামের পরাজয়ে আনন্দবোধ অথবা তার বিজয়ে কষ্টবোধ করা।
কাফেরদের অপেক্ষা মুনাফেকদের শাস্তি ও আযাব অধিকতর কঠিন এবং তাদের ধ্বংসোন্মুখ অবস্থা অধিকতর মারাত্মক। আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِنَّ الْمُنَافِقِينَ فِي الدَّرْكِ الْأَسْفَلِ مِنَ النَّارِ
অর্থাৎ, অবশ্যই মুনাফিকরা জাহান্নামের আগুনের) সর্বনিম্নস্তরে থাকবে। (সূরা নিসা ১৪৫ আয়াত)
এ জন্যই আল্লাহ তাআলা সূরা বাক্বারার শুরুতে মাত্র দুটি আয়াতে কাফেরদের অবস্থা বর্ণনা করেন এবং মুনাফিকদের অবস্থা বর্ণনা করেন তেরটি আয়াত জুড়ে।
অনুরূপ, সূফীপন্থীদেরকে আমরা মুসলিম মনে করি। তারা নামায পড়ে, রোযাও রাখে; কিন্তু তাদের দ্বারা সংঘটিত বিপদ অতি সাংঘাতিক। কারণ তারা মুসলিমদের আকীদা ও বিশ্বাস বিকৃত করে গায়রুল্লাহকে ডাকা ও তার নিকট প্রার্থনা করাকে বৈধ মনে করে, যা এক প্রকার শির্কে আকবর। তারা মনে করে, ‘আল্লাহ সর্বস্থানেই বিদ্যমান (বিরাজমান) এবং কুরআন ও হাদীসের বিরুদ্ধাচরণ করে আল্লাহর আরশে সমারূঢ় থাকাকে অস্বীকার ও খন্ডন করে।