আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা বলেন,
لَّا خَيْرَ فِي كَثِيرٍ مِّن نَّجْوَاهُمْ إِلَّا مَنْ أَمَرَ بِصَدَقَةٍ أَوْ مَعْرُوفٍ أَوْ إِصْلَاحٍ بَيْنَ النَّاسِ ۚ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ ابْتِغَاءَ مَرْضَاتِ اللَّهِ فَسَوْفَ نُؤْتِيهِ أَجْرًا عَظِيمًا
‘লোকদের গোপন শলাপরামর্শে কোনো কল্যাণ থাকে না, তবে কেউ যদি কাউকে দান খয়রাতের উপদেশ দেয় কিংবা কোনো ভালো কাজের জন্য অথবা লোকদের পরস্পরের কাজকর্ম সংশোধনের নিমিত্তে কাউকে কিছু বলা হয় তা অবশ্যই ভালো কথা। আল্লাহ্র সন্তোষ লাভের জন্য যে এরূপ করবে আমরা তাকে খুব বড়ো প্রতিফল দেবো।[১]
আরেক জায়গায় বলা হয়েছে,
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ إِخْوَةٌ فَأَصْلِحُوا بَيْنَ أَخَوَيْكُمْ
মুমিনগণ তো পরস্পরের ভাই। অতএব তোমার ভাইদের পারস্পরিক সম্পর্ক যথাযথভাবে পুনর্গঠিত করে দাও।[২]
উম্মু কুলসুম বিনতু উকবা (রাঃ) বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সা.)-কে বলতে শুনেছি-
ليس الكذاب الذي يصلح بين الناس فيقول خيرا وينمى خیرا
‘পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য কেউ যদি অসত্য কথাও বলে তবে সে মিথ্যেবাদী নয়।”[৩]
তিনি আরও বলেন, আমি কোনো বিষয়ে তাকে মিথ্যে বলার অনুমতি দিতে শুনিনি শুধু তিনটি ক্ষেত্র ছাড়া- ১. যুদ্ধের সময়, ২. পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য এবং ৩. স্ত্রীর মনোরঞ্জনের (কিংবা অভিমান ভাঙার) জন্য।[৪]
[২]. সূরা আল হুজুরাত, আয়াত : ১০।
[৩]. সহীহ আল বুখারী; সহীহ মুসলিম।
[৪]. সহীহ্ আল বুখারী; সহীহ মুসলিম।