আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা বলেছেন,

وَسَارِعُوا إِلَىٰ مَغْفِرَةٍ مِّن رَّبِّكُمْ وَجَنَّةٍ عَرْضُهَا السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ أُعِدَّتْ لِلْمُتَّقِينَ * الَّذِينَ يُنفِقُونَ فِي السَّرَّاءِ وَالضَّرَّاءِ

“তোমরা আল্লাহ ক্ষমা ও জান্নাতের দিকে দ্রুতগতিতে চল, যার বিস্তৃতি আসমান জমিনের। যা মূলত, মুত্তাকীদের জন্যই সৃষ্টি করা হয়েছে। যারা সচ্ছল বা অসচ্ছল উভয় অবস্থাতেই নিজেদের সম্পদ খরচ করে।[১]

অন্য জায়গায় বলা হয়েছে

لَّذِينَ يَبْخَلُونَ وَيَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْبُخْلِ وَيَكْتُمُونَ مَا آتَاهُمُ اللَّهُ مِن فَضْلِهِ ۗ وَأَعْتَدْنَا لِلْكَافِرِينَ عَذَابًا مُّهِينًا

তাদেরকেও আল্লাহ্ পসন্দ করেন না যারা নিজেরা কৃপণতা করে এবং অন্যদেরও কার্পণ্য করতে বলে। আর আল্লাহ্ নিজ দয়ায় যা দান করেছেন তা লুকিয়ে রাখে। এরূপ অকৃতজ্ঞ লোকদের জন্য আমি অপমানজনক শাস্তির ব্যবস্থা করে রেখেছি।[২]

وَمَن يَبْخَلْ فَإِنَّمَا يَبْخَلُ عَن نَّفْسِهِ

যে কৃপণতা করে সে প্রকৃতপক্ষে নিজের সাথেই কৃপণতা করে।[৩]

সূরা আল হাশর-এ বলা হয়েছে,

وَمَن يُوقَ شُحَّ نَفْسِهِ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ

যাদের অন্তর সংকীর্ণতা থেকে রক্ষা করা হয়েছে তারাই প্রকৃতপক্ষে সফল।”[৪]

আবু হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন,

مَا مِنْ يَوْمٍ يُصبِحُ العِبادُ فِيهِ إِلَّا مَلَكَانِ يَنْزِلانِ، فَيَقُولُ أَحَدُهُمَا: اللَّهُمَّ أَعْطِ مُنْفِقًا خَلَفًا، وَيَقُولُ الآخَرُ: اللَّهُمَّ أَعْطِ مُمْسِكًا تَلَفًا

‘প্রতিদিন দু'জন ফেরেশতা অবতীর্ণ হন। তাদের একজন বলতে থাকেন- হে আল্লাহ্ যিনি অন্যকে দান করেন আপনিও তাকে দান করুন। আর যে কৃপণতা করে আপনি তাকে দান করা থেকে বিরত থাকুন।[৫]

[১]. সূরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৩৩, ১৩৪।

[২]. সূরা আন নিসা, আয়াত : ৩৭।

[৩]. সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত : ৩৮।

[৪]. সূরা আল হাশর, আয়াত : ৯; সূরা আত তাগাবুন, আয়াত : ১৬।

[৫]. সহীহ্ আল বুখারী; সহীহ মুসলিম।