দীনি সম্পর্ককে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য পারস্পরিক মহব্বত, সালাম বিনিময়, মুসাফাহা ইত্যাদির প্রচলনের উপর জোর দেয়া হয়েছে। আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتًا غَيْرَ بُيُوتِكُمْ حَتَّىٰ تَسْتَأْنِسُوا وَتُسَلِّمُوا عَلَىٰ أَهْلِهَا
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা বাড়ির মালিককে সালাম না দিয়ে এবং তার অনুমতি নিয়ে কারও ঘরে প্রবেশ করো না।[১]
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন,
والذي نفسي بيده لاتدخلون الجنة حتى تؤمنوا ولاتؤمنوا حتى تحابوا أولا أدلكم على شيء اذا فعلتموه تحابينهم أفشوا السلام بينكم
যার হাতে আমার প্রাণ তার শপথ! তোমরা জান্নাতে যেতে পারবে না যতক্ষণ মুমিন না হও। আবার (সত্যিকার) মুমিনও হতে পারবে না যতক্ষণ একে অপরকে ভালো না বাসবে। আমি কি তোমাদেরকে বলবো না, কোন্ জিনিস তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি করে দেবে? তা হচ্ছে একে অপরকে সালাম দেয়ার প্রচলন করা।[২]
সহীহ আল বুখারীতে বলা হয়েছে, একবার কাতাদা (র) আনাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলেন,
كانت المصافحة في أصحاب النبي صلى الله عليه وسلم؟ فقال نعم
নবী করীম (সা.)-এর সাহাবাগণ কি পরস্পর মুসাফাহা করতেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, করতেন।[৩]
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন,
ان الله عزوجل يقول يوم القيامة أين متحابون بجلالی أظلهم في ظلى يوم لا ظل إلا ظلی
‘মহান আল্লাহ্ কিয়ামতের দিন বলবেন, আমার জন্য যারা একে অপরকে ভালবাসতো তারা কোথায়? আমি তাদেরকে আমার আরশের ছায়ায় স্থান দেবো। আমার ছায়া ছাড়া আজ আর কোনো ছায়া নেই।'[৪]
[২]. সহীহ মুসলিম।
[৩]. সহীহ মুসলিম।
[৪]. সহীহ মুসলিম।