আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলা বলেন,
وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
“হে মুমিনগণ! তোমরা সকলে মিলে আল্লাহর কাছে তাওবা কর। আশা করা যায় তোমরা কল্যাণ লাভ করবে।[১]
অন্য জায়গায় বলা হয়েছে,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا تُوبُوا إِلَى اللَّهِ تَوْبَةً نَّصُوحًا
“হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর কাছে তাওবা কর, খাঁটি ও সত্যিকার তাওবা।[২]
সূরা আয যুমারে বলা হয়েছে,
وَأَنِيبُوا إِلَىٰ رَبِّكُمْ وَأَسْلِمُوا لَهُ مِن قَبْلِ أَن يَأْتِيَكُمُ الْعَذَابُ
‘ফিরে এসো তোমার প্রতিপালকের দিকে এবং তাঁর অনুগত হও, তোমাদের উপর আযাব আসার আগে।[৩]
রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন,
إِنَّهُ لَيُغَانُ عَلَى قَلْبِي وَإِنِّي لَأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ فِي الْيَوْمِ مِائَةَ مَرَّةٍ
‘আমার অন্তরও মাঝে মাঝে ভারাক্রান্ত হয়ে যায়। আমি আল্লাহর কাছে প্রতিদিন একশ’বার তাওবা করে থাকি।[৪]
[২]. সূরা আত তাহরীম, আয়াত : ৮।
কাতাদা (র) বলেছেন- নাসূহা অর্থ খাটি ও আন্তরিক
তাওবা। নুমান ইবনু বশীর আমীরুল মুমিনীন উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন- তাওবাতান নাসূহা কী? জবাবে তিনি বলেছিলেন- মানুষ কোনো অন্যায় করার পর এমনভাবে তাওবা করবে যাতে সেই অন্যায়ের আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- ‘কোনো অপরাধী যদি (উপরিউক্তভাবে) তাওবা করে তাহলে তাকে এমনভাবে মাফ করে দেয়া হয় তার আর কোনো গুনাহ্ অবশিষ্ট থাকে না।
[৩]. সূরা আয যুমার, আয়াত : ৫৪।
[৪]. সহীহ মুসলিম; সুনানু আবী দাউদ।